Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হজ্জের পয়গাম নিয়ে আবার এলো মাহে জিলহজ্জ

এসএম আরিফুল কাদের | প্রকাশের সময় : ১৭ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০৬ এএম

জিলহজ্জ আরবি বারো মাসের শেষ মাস। যা মুসলমানদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং ফজিলতের মাস। আরবি বছরের বারো মাসের মধ্যে “নিষিদ্ধ মাস” মুহাররম, রজব, জিলকদ ও জিলহজ্জ। রাসুল (সা) এর জন্মের পূর্বে এ চার মাসকে “নিষিদ্ধ মাস” মানা হতো। তবে কিছু সময় সুবিধা অনুযায়ী এ মাসগুলোতে পরিবর্তন আনা হতো। এটা ছিল একান্তই গোষ্ঠি প্রধানদের ই”ছার বাস্তবায়নকে প্রাধান্য দেওয়ার নামে। কিন্তু আল্লাহ তা‘য়ালার প্রেরিত রাসুল (সা) এর নবুয়াত প্রাপ্তির পরবর্তী সময় এ মাসগুলোকে আলাদা গুরুত্ব ও মর্যাদা দিয়ে এ নামকরণকে মহিমান্বিত করা হয়। তাই মহিমান্বিত জিলহজ্জকে কাজে লাগাতে প্রয়োজন এ মাসের চাঁদ উদিত হওয়ার পর থেকে দশম তারিখ পর্যন্ত যতদিন সম্ভব রোজা রাখা এবং রাতের বেলায় বেশি বেশি ইবাদতে থাকা। এ দিনগুলোর ফজিলতের ব্যাপারে কুরআন-সুন্নাহয় অনেক দলিলও রয়েছে। তন্মধ্যে পবিত্র কোরআনুল কারীমে আল্লাহ তা‘য়ালা ইরশাদ করেন- “তারা যেন নির্দ্দিষ্ট দিনসমূহে আল্লাহর নাম স্মরণ করে”। (সূরা হজ্জ : ২৮) হযরত আব্দুল্লাহ আবনে আব্বাস (রা) বলেছেনÑ ‘নির্দ্দিষ্ট দিনসমূহ হলো’ জিলহজ্জ মাসের প্রথম দশদিন। (তাফসীরে ইবনে কাসীর)

উম্মতে মুহাম্মদির বয়স ষাট থেকে সত্তর বছরের মাঝখানে। অন্যান্য নবিদের উম্মতদের তুলনায় উম্মতে মুহাম্মদির বয়স যদিও কম, কিন্তু আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাদেরকে এমন কিছু মূল্যবান সময় দান করেছেন যাতে অল্প সময়ে অল্প আমল করেও আল্লাহর কাছে অতীতের উম্মতদের চেয়ে অধিক প্রিয় বলে গণ্য হতে পারে। আল্লাহ তা‘য়ালা উম্মতে মুহাম্মদিকে যে সমস্ত ফজিলতপূর্ণ সময় দান করেছেন, তার মধ্যে জিলহজ্জ মাসের প্রথম দশদিন অন্যতম। জিলহজ্জ মাসের প্রথম দশকের গুরুত্ব সম্পর্কে হাদিস শরিফে আছে “হযরত ইবনে আব্বাস (রা) হতে বর্ণিত। রাসুল (সা) ইরশাদ করেন, “জিলহজ্জ মাসের প্রথম দশকের চাইতে উত্তম এমন কোনো দিন নেই। যে দিনগুলোর সৎ আমল আল্লাহর নিকট অধিক পছন্দনীয়। সাহাবায়ে কোরাম (রা) আরজ করলেন, হে আল্লাহর হাবিব (সা)! আল্লাহর পথে জিহাদও নয়? রাসুল (সা) বললেন, আল্লাহর পথে জিহাদও নয়। অবশ্য সেই মুজাহিদ ব্যক্তির কথা ভিন্ন, যে স্বীয় জান ও মাল নিয়ে জিহাদে বেড়িয়ে যায়। অতঃপর উহার কিছুই নিয়ে প্রত্যাবর্তন করে না”। (সহিহ বোখারি, তিরমিযি, দারেমি, আহমদ, ইবনে হিব্বান)
জিলহজ্জ মাসের প্রথম দশকে আমলের মধ্যে রয়েছে রোজা। ইমাম নববি (র) বলেনÑ এই দিনগুলোতে রোজা পালন করা মুস্তাহাব। বিশেষ করে যে ব্যক্তি হজ্জে যায়নি তার জন্য আরফার দিন অর্থাৎ জিলহজ্জ মাসের নয় তারিখ রোজা রাখা মুস্তাহাব। “হযরত কাতাদাহ (রা) হতে বর্ণিত। রাসুল (সা) বলেছেন, আরাফার দিবসে রোজা পিছনের এবং সামনের এক বছরের গোনাহ মোচন করে দেয়”। (সহিহ মুসলিম, আহমদ, বায়হাকি) তবে যিনি হজ্জ করতে গিয়ে আরাফার মাঠে অব¯’ান করছেন, তার জন্য রোজা রাখা বৈধ নয়। হযরত আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল (সা) বলেছেন, “জিলহজ্জ মাসের দশ দিনের ইবাদত আল্লাহর নিকট অন্য দিনের ইবাদতের তুলনায় বেশি প্রিয়। প্রত্যেক দিনের রোজা এক বছরের রোজার ন্যায় আর প্রত্যেক রাতের ইবাদত লায়লাতুল কদরের ইবাদতের ন্যায়”। (সহিহ তিরমিযি)



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হজ

২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ