পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রতি বছর সউদী আরবের মক্কায় হজের উদ্দেশে উপস্থিত হন লাখো ধর্মপ্রাণ মুসলিম। প্রশ্ন আসতেই পারে হজের মৌসুমে সউদী আরব কত টাকা উপার্জন করে। বিবিসির ফার্সি বিভাগের আলী কাদিমির একটি বিশেষ প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা যায়, তেল বিক্রি করে সউদী আরবের যা রোজগার হয়, দেশটি তার থেকেও বেশি আয় করে হজ থেকে। তবে, তারা চেষ্টা করছে তেল বিক্রি করে তাদের আয় আরও বাড়াতে।
বছরে একটা নির্দিষ্ট সময়েই হজ করা যায়। আর দ্বিতীয়ত, প্রতিটি দেশ থেকে কত মানুষ হজে আসবেন, তার একটা কোটা নির্ধারণ করে দেয় সউদী আরব।
তবে এটাও মাথায় রাখতে হবে যে, সৌদি আরবের বাসিন্দাদের একটা বড় অংশও কিন্তু হজে যান। যদিও তারা বিভিন্ন দেশের নাগরিক হতেই পারেন।
গত বছর সউদী আরবের যত বাসিন্দা হজে গিয়েছিলেন, সেই সংখ্যাটা অন্যান্য দেশ থেকে আসা মুসলমানদের সংখ্যার প্রায় অর্ধেক। গত দশ বছর ধরেই মোটামুটিভাবে হাজিদের এক তৃতীয়াংশই সৌদি আরবের বাসিন্দা। এর একটা কারণ মক্কা খুব কাছে। তাই ধর্মীয় কর্তব্য মনে করে বেশ সস্তায় হজ সেরে নেন অনেকে।
তবে সউদীর পর বিভিন্ন দেশের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার কোটাই সবচেয়ে বেশি। সেখান থেকে ২লাখ ২০হাজার মানুষ প্রতি বছর হজে যান। এটা মোট হজযাত্রী সংখ্যার প্রায় ১৪ শতাংশ।
এরপরেই রয়েছে পাকিস্তান (১১%), ভারত (১১%) আর বাংলাদেশ (৮%)। নাইজেরিয়া, ইরান, তুর্কি, মিশর -এই দেশগুলোরও কোটা মোটামুটি একই রকম।
হজে একটা নির্দিষ্ট সময়ে যাওয়া গেলেও সারা বছর ধরে উমরাহ করতে যাওয়া যায়। গত বছরই প্রায় ৬০ লাখ মানুষ উমরাহ করতে গিয়েছিলেন। নানা দেশ থেকে যারা সউদী আরবে গেছেন, তাদের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষই উমরাহ করতে গেছেন। সাত বছর আগে উমরাহ করতে যাওয়া মানুষের সংখ্যা ছিল ৪০ লাখের কাছাকাছি।
গত বছর হজ থেকে সউদী আরবের সরাসরি রোজগার হয়েছিল প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার। সৌদি আরবে যাওয়া তীর্থযাত্রীরা মোট ২৩ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছিলেন ওখানে গিয়ে। এই অর্থের একটা বড় অংশ কিন্তু সউদী অর্থনীতিতেই যোগ হচ্ছে।
মক্কার চেম্বার অব কমার্সের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাইরের দেশ থেকে আসা মুসলমানরা মাথাপিছু ব্যয় করেন ৪হাজার ৬শ’ ডলার, আর স্থানীয়রা মাথাপিছু প্রায় ১হাজার ৫শ’ ডলার ব্যয় করেন।
তবে একেক দেশ থেকে আসা হজযাত্রীদের জন্য আবার একেক রকম খরচ। যেমন ইরান থেকে আসা মানুষদের মাথাপিছু ৩হাজার ডলার খরচ লাগে।এর মধ্যে যাত্রা, খাওয়া, কেনাকাটা সব খরচই ধরা হয়। পাকিস্তান, বাংলাদেশের যাত্রীদেরও মোটামুটি একইরকম খরচ হয়।
ইরান থেকে আসা এক হজযাত্রী নাম উল্লেখ না করার শর্তে বিবিসির ফার্সি বিভাগকে জানিয়েছেন, এ বছর তার হজের বাজেট প্রায় ৮হাজার ডলার। এর মধ্যে নিশ্চয়ই তার ব্যক্তিগত খরচও ধরা আছে। তবে কোনো না কোনোভাবে অর্থটা সউদী অর্থনীতিতেই ঢুকছে।
ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড বা আইএমএফ ধারণা করছে, তেল উৎপাদন কম করার ব্যাপারে ওপেক যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার ফলে সউদী আরবের অর্থনৈতিক উন্নয়নের হার এ বছর শূন্যে নেমে যাবে।
সেদেশের সরকার সেই ক্ষতিটা অন্যান্য ক্ষেত্র থেকে পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবে। যার মধ্যে একটা বড় ক্ষেত্র হলো ধর্মীয় পর্যটন থেকে আয়। সূত্র : বিবিসি ফার্সি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।