পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গণতান্ত্রিক এদেশে সরকার ভোটাধিকার হরণ, জেল-জুলুম, দুর্ণীতি, বেঈমানি ও আতঙ্ক তৈরি করে দেশ শাসন করছে। এতে অচিরেই গণজোয়ার সৃষ্টি হবে, সে জোয়ারে সরকার ভেসে যাবে। সরকার কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক আন্দোলনেও শক্তি প্রয়োগ ও হামলা-মামলা করে আন্দোলন দমন করছে। কোন মানবিক ও গণতান্ত্রিক সরকার এমন আচরণ করতে পারে না।
গতকাল বাদ আসর বায়তুল মোকাররমের পূর্ব গেইটে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সমাবেশে ইসলামী আন্দোলনের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই এসব কথা বলেন। ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি শেখ ফজলুল করীম মারুফের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি জেনারেল এম. হাছিবুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত ছাত্র সমাবেশে পীর সাহেব চরমোনাই আরো বলেন, দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে দুর্নীতি, অনিয়ম ও জবরদখলের সয়লাব চলছে। মন্ত্রী-এমপি, বিচারপতি ও শীর্ষ কর্মকর্তারাও অনিয়ম করছে। সড়কে আইন মানছে না কেউ। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা প্রকাশ্যে চোখে আঙ্গুল দিয়ে এসব অনিয়ম দেখিয়ে দিয়েছে। এতে এদেশের আগামীর পথচলার নতুন দিক-নির্দেশনা এসেছে। পীর সাহেব বলেন, শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনে সরকার রাজনীতির গন্ধ পেয়ে শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের ওপর সরকার জেল-জুলুম ও অত্যাচার করছে। অন্যদিকে কেউ কেউ এই আন্দোলনে ভর করে ক্ষমতায় যাওয়ার পাঁয়তারা করছে। সর্বক্ষেত্রে এই অতি রাজনীতির ব্যাধি সবার জন্যই ক্ষতিকর। সমাবেশে তিনি হুঁশিয়ারী দিয়ে বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কোন ধরনের ছল-চাতুরী সহ্য করা হবে না। দেশ পরিচালনায় জনমতের যথার্থ প্রতিফলন ঘটাতেই হবে। বর্তমান সিইসি দায়িত্ব পালনের সাহস না থাকলে পদত্যাগ করুক। এদেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন হতেই হবে।
মহাসচিব ইউনুছ আহমাদ বলেন, পুলিশ প্রশাসন, বিজিবি, র্যাব নির্বাচনে জনগণ যাতে ভোট দিতে না পারে সে পাহারা দিয়েছে। তাই সরকার ছাত্রদেরকে এ দায়িত্ব দেখুক জনগণ কার পক্ষে রায় দেয়।
সভাপতির বক্তব্যে শেখ ফজলুল করীম মারুফ বলেন, ছাত্র রাজনীতি হওয়ার কথা শিক্ষার্থীদের স্বার্থে। কিন্তু বর্তমানে ছাত্র রাজনীতি হচ্ছে ক্ষমতায় থাকা ও যাওয়ার স্বার্থে। কোটা আন্দোলন ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে ছাত্রলীগের আক্রমনাত্মক ভ‚মিকা কলঙ্কময় অধ্যায়। একই সাথে একেবারেই অরাজনৈতিক ছাত্র বিক্ষোভকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করার যে অপপ্রয়াস হয়েছে তা দুঃখজনক।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমাদ আব্দুল কাইয়ুম, যুবনেতা মাওলানা নেছার উদ্দিন, সাবেক সভাপতি মুহাম্মাদ বরকতুল্লাহ লতিফসহ শেখ মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম, এমদাদউল্লাহ ফাহাদ ও শরীফুল ইসলামসহ সংগঠনের কেন্দ্রীয়, নগর, জেলা, বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ শাখা নেতৃবৃন্দ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।