২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
চলছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা এই সময় শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরাও এক ধরনের উদ্বেগ আর মানসিক চাপের মধ্যদিয়ে পার করে। বিশেষ করে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ছাত্রছাত্রীদের খুবই অনিয়ম করতে দেখা যায়- খাওয়া-দাওয়া ঘুম আর বিশ্রামের ব্যাপারে। তবে খাবারে সঠিক পুষ্টি শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ও বুদ্ধি বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করবে পাশাপাশি সুস্বাস্থ্য বজায় রেখে পরীক্ষা ভালোভাবে সম্পন্ন করতে অবশ্যই সহায়ক হবে। পরীক্ষায় ভালো পারফর্ম করার জন্য নিওটিশিওরের পক্ষ থেকে তোমাদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি টিপস :
লেখাপড়ায় তৎপর থাকতে প্রচুর পানি পান কর- পানি শূন্যতা থেকে অবসন্নভাব, খিটখিটে মেজাজ, ক্লান্তি আর মনোযোগ হারিয়ে ফেলার প্রবণতা দেখা দেয় যার কারণে পড়াশুনা ও ভালো ফলাফল করা কষ্টকর হয়। দিনে দেড় থেকে দু’লিটার পানি পান করার লক্ষ্য রাখবে এবং পরীক্ষার হলে অবশ্যই একটি ওয়াটার বোতল সাথে রাখবে।
¯œাকস খাও বুদ্ধি করে- বিকেলের নাস্তা কিংবা মধ্য সকালের হালকা নাস্তায় ফলমূল, মধু বাদাম, স্যুপ, সালাদ, দুধ অথবা দই খেতে পার বেশিবেশি এনার্জি পেতে। বিশেষ করে সকালের নাস্তা কখনোই বাদ দেয়া যাবে না যা দিনভর তোমাকে সক্রিয় রাখবে।
খেতে শুরু কর বুদ্ধি বর্ধক খাবার- এমন কোনো জাদুকরী খাবার নেই যা খেলে পরীক্ষার দিনে হঠাৎ করেই তোমাকে জিনিয়াস বানিয়ে দেবে। তবে হ্যাঁ, পরীক্ষার আগের রাতে এই বুদ্ধির খাবার তালিকা অনুসরণ করবে : স্মরণশক্তি বৃদ্ধির পরিপোষক খাবারগুলোতে থাকছে এনটিঅক্সিডেন্ট-ভিটামিন এ, ই এবং সি যা পাওয়া যায় সহজাত কিছু খাবারেই যেমন ডিম, গাজর, ব্রকলি, মাছ, বাদাম, সবুজ শাকসবজি এবং ফলমূল যেটা মস্তিষ্কের কোষ ক্ষয় রোধ করে। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড পাওয়া যায় মাছ, সরিষার তেল, সরিষা বীজ, মেথি, কোলাই ডাল, রাজমা, সয়াবিন, আখরোট, বাজরা এবং শনবীজ (তিসী) যা মস্তিষ্কের জন্য ভালো। এমনকি ত্বক ও হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী।
ভিটামিন বি-১
¯œায়ুতন্ত্র সুস্থ রাখে এবং স্মৃতিশক্তি ও লেখাপড়ায় সাহায্য করে। সুষম উৎস হল রাইস ব্র্যান, গম বীজ, গমের আটা, বার্লি, ভুট্টা (শুকনো), ডিম, দুধ (স্কিডম, হোল), খোয়াইত্যাদি।
ভিটামিন বি১২-
এটি কেন্দ্রীয় ¯œায়ুতন্ত্রের সঠিক কার্যকারীতার জন্য প্রয়োজন। এটি পাওয়া যায় প্রাণিজ প্রোটিন যেমন ডিম, চর্বিহীন মাংস, কলিজা, কিডনি (বৃক্ক), লো ফ্যাট মিল্ক, দই প্রভৃতি খাবারে। এসব খাবার মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে, বিরক্তিভাব দূর করে এবং দেহের সমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
ফলিক এসিড- হোমোসিস্টাইন, এক ধরনের অ্যামিনো এসিড যা বুদ্ধি ক্ষয় করে; এটি অপসারণের জন্য ফলিক এসিড অপরিহার্য। সবুজ শাকসবজি, ফুলকপি, ব্রকলি, গাজর, পালং, ডাল, বাদাম এবং বীজ ফলিক এসিডের খুব গুরুত্বপূর্ণ উৎস।
এড়িয়ে চলো বুদ্ধি রোধক খাবার- নিচে যে সকল খাবারের তালিকা দেয়া হলো সেগুলো পরীক্ষা প্রস্তুতির শেষ সপ্তাহগুলোতে না খাওয়ার চেষ্টা করবে কারণ এ খাবারগুলো তোমাকে অবসাদ, ঝাপসাস্মৃতি, হতাশা এবং ক্লান্তির দিকে ঠেলে দিবে-
* ঠা-া পানীয় যেমন সোডা, এনার্জি ড্রিংকস, কমার্শিয়াল ফ্রুট জুস, * চিনিযুক্ত খাবার যেমন কুকিজ, ক্যান্ডি, আইসক্রিম, * অতিরিক্ত চিনিযুক্ত সিরিয়ালস, * রেগুলারচিপস, * ক্যালোরি আধিক্য খাবার যেমন পিৎজা এবং বার্গার, * তেলে ভাজা খাবার যেমন ফ্রেঞ্চ ফ্রাই অথবা চিকেন নাগেটস।
চাই পর্যাপ্ত ঘুম- অনেক শিক্ষার্থীর মাঝেই পরীক্ষার আগের রাতে অনেক রাত অবধি পড়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায় এই ভেবে আর একটু বেশি পড়লে হয়তো আরও বেশি মনে থাকবে- এটি কখনোই করবে না, প্রকৃতপক্ষে এটি তোমার মস্তিষ্ককে আরও ক্লান্ত করে দেয়। মনে রাখবে ভালো ফলাফল করার জন্য তোমাকে কেবল পুষ্টিকর খাবার খেলেই হবে না, তোমার অবশ্যই পরিমিত ও শান্তিপূর্ণ ঘুম দরকার যা তোমাকে পরদিন অর্থাৎ পরীক্ষার দিন সতেজ রাখতে সাহায্য করবে। সুস্থ দেহ চিন্তামুক্ত মন, পরীক্ষায় সেরা হও সর্বক্ষণ!!
ষ শবনম মোস্তফা
নিওট্রিশন কনসালটেন্ট
শিওরসেল মেডিক্যাল (বিডি) লিমিটেড।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।