পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গুগল, ইউটিউব কিংবা ফেসবুক। কিছু একটা লিখে হয়তো সার্চ দেয়া হলো। এর অনেকগুলো ফলাফল ভেসে ওঠে। এর মধ্য থেকে মানুষ তার অভিরুচি অনুযায়ী বিষয়বস্তু বেছে নিচ্ছে। কিংবা ধরা যাক, পুরনো দিনের গান শোনার জন্য ইউটিউবে সার্চ দেয়া হলো। ওই গানটির লিংক ধরে ইউটিউব নিজে একই মেজাজের আরো অনেক গান সার্চকারীর সামনে মেলে ধরছে। মানুষের অভিরুচির তেষ্টা মেটাতে সার্চ ইঞ্জিনগুলোর এই আয়োজন। আর এই আয়োজন নিখুঁতভাবে পরিচালিত হচ্ছে একটি সফটওয়্যার দ্বারা। যাকে বলা হয় ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’ বা ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি’। সংক্ষেপে এটিকে ‘এআই’ও বলা হয়। হালের তথ্য-প্রযুক্তিনির্ভর মানুষ অলক্ষ্যেই পরিচালিত এবং অনেক ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা। ইচ্ছ-অনিচ্ছা কখনওবা অবচেতন মনেই মানুষ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুফলভোগী। বিশ্বময় তথ্য-প্রযুক্তির একমুখী প্রবল ঝড়ের মুখে হয়তো এর বিরোধিতা করা অসম্ভব। কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন, কৃত্রিম বুুদ্ধিমত্তার ব্যবহার যেমন বিস্তৃত হচ্ছে, তেমনি এটির নিয়ন্ত্রণ, পরিচালনা, দায়-দায়িত্ব এবং জবাবদিহিতার বিষয়টিও বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুফলের পাশাপাশি ভাবার সময় এসেছে কুফল নিয়েও। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কিভাবে মানব কল্যাণে ব্যবহৃত হবে, কোন আইনে এটি পরিচালিত হবে- এর গাইডলাইন এখন জরুরি হয়ে পড়েছে। না হলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কাছে মানুষ অসহায় হয়ে পড়বে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ প্রতিকারের আইনগত কোনো ভিত্তিই খুঁজে পাবে না।
তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, তথ্য-প্রযুক্তির সাম্প্রতিকতম সংযোজন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। মানুষ যেভাবে চিন্তাভাবনা করে, কৃত্রিম উপায়ে যদি কোনো যন্ত্রকে সেভাবে চিন্তাভাবনা করানো যায়, তখন সেই যন্ত্রের বুদ্ধিমত্তাকে ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’ বলে। এটি কম্পিউটার বিজ্ঞানের এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে মানুষের বুদ্ধিমত্তা ও চিন্তাশক্তিকে কৃত্রিম উপায়ে প্রযুক্তিনির্ভর যন্ত্রের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হয়। যন্ত্র কেবল সেগুলোই বাস্তবায়ন করতে পারে যেগুলো তার ভেতর প্রোগ্রামিং করা থাকে।
১৯৫৬ সালে জন ম্যাকার্থারি ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’ শব্দটি প্রথম উচ্চারণ করেছিলেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কাছেই শেষ পর্যন্ত সভ্যতা পরাজিত হয় কি না- এমন আশঙ্কা করেছিলেন পদার্থ বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং। কারণ, প্রযুক্তির প্রসারতায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার ক্রমেই বাড়ছে। বিশেষত বাড়ছে রোবটের ব্যবহার, যা এখন বিশ্বের চিন্তাশীলদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিয়েছে। রোবটের ব্যবহার ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশসহ তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতেও। মেনুফ্যাকচারিং কোম্পানিগুলো মানুষের স্থলে পছন্দ করছে রোবটকে। বিশেষত যানবাহন ও গাড়ি তৈরির কারখানায় উদয়-অস্ত কামলা খাটছে রোবট। বিপজ্জনক ক্ষেত্র, যেমন- বিস্ফোরক নিষ্ক্রীয়করণ, ডুবে যাওয়া জাহাজ অনুসন্ধান, খনির অভ্যন্তরে ব্যস্ত রয়েছে রোবট। বিপজ্জনক বা কঠোর শ্রমসাধ্য, জটিল কাজে অনুগত ভৃত্য হয়ে খাটছে রোবট। ওয়েল্ডিং, ঢালাই, ভারী মাল ওঠানো-নামানো যন্ত্রাংশ সংযোজন রোবট করছে। যুদ্ধের ময়দানে বোমা অনুসন্ধান এবং ভূমিমাইন শনাক্তেও রোবট পারদর্শী। চিকিৎসা শাস্ত্রে এখন ‘দক্ষ সার্জন’ হিসেবে হাজির হচ্ছে অ্যাপ্রোন পরিহিত রোবট। সূ² ও জটিল অপারেশন সম্পন্ন করছে। মহাকাশ অভিযানে নভোচারী হচ্ছে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের রোবট। সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ভিডিও গেমস, স্মার্ট গাড়ি, ব্যাংকিং, ই-মেইল স্প্যাম ফিল্টারিং, উবার নিয়ন্ত্রণ, ডাটা সেন্টার ম্যানেজমেন্ট, জিনোমিক্স, সিকোয়েন্সিং এবং ওষুধ আবিষ্কারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগানো হচ্ছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দ্বারস্থ হওয়ার সপক্ষে অনেক যুক্তি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নিশানা নিখুঁত। এর ভুল-ত্রুটি হওয়ার আশঙ্কা কম। স্মার্টকার্ডভিত্তিক সিস্টেম জালিয়াতি শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা। এর বড় সুবিধাটি হলো, এটি মানুষের বিপরীতে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে ব্যবহার করা যায়। কোনো প্রকার বিশ্রাম ছাড়াই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার রোবট কাজ করতে পারে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। মানব-মস্তিষ্কের চেয়ে বেশি তথ্য সঞ্চয় করতে পারে এটি। কাজের গতি মানুষের চেয়ে বেশি। ভাবাবেগের ঊর্ধ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার রোবট যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্ত নিতে পারে। জটিল রোগের নির্ভুল সার্জারি করতে পারে। চিকিৎসা পরামর্শ দিতে পারে। গাণিতিক সমস্যারও সমাধান দিতে পারে এআই।
আজকের জয়জয়াকারে হয়তো স্বার্থকতা দাবি করবেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জনক ব্রিটিশ বিজ্ঞানী, গণিতবিদ অ্যালান টুরিং। কিন্তু পদার্থ বিজ্ঞানীরাই মনে করছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কখনোই মানুষের সমকক্ষ নয়। বিকল্প তো নয়ই। যেমন ধরুন, মানুষ অনেক কিছু জানে তা মূলত ‘কাজের অনুমান’ হিসেবে। দৃষ্টান্তস্বরূপ : যদি একটি পাখির কথা আলোচনায় আসে তাহলে মানুষ সাধারণত একটি প্রাণীকে চিত্রিত করে। যেটির একটি বিশেষ আকার, চিহ্ন রয়েছে। যারা উড়তে পারে। সে হিসেবে সমস্ত জিনিসগুলোর মধ্যে হয়তো কোনোটিই সব পাখির ক্ষেত্রে সত্য নয়। জন ম্যাকার্থি ১৯৬৯ সালে এই সমস্যাটি চিহ্নিত করেছিলেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ‘যোগ্যতার সমস্যা’ হিসেবে। কোনো ‘কমনসেন্স রুলস’র জন্য যে এআই গবেষকেরা প্রতিনিধিত্ব করে সেখানে বেশ কিছু ব্যতিক্রম রয়েছে। বিমূর্ত লজিকের জন্য যা প্রয়োজনের তার প্রায় কোনো কিছুই সত্য কিংবা মিথ্যা নয়। এআই গবেষণা এ সমস্যা সমাধানের জন্য বহু পথ পরিক্রম করেছে। তাতে দেখা যায়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার বৃদ্ধি বহু সঙ্কটকে অনিবার্য করে তুলতে পারে। যেমন : কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন মেশিন দিয়ে মানুষের প্রতিস্থাপন সমাজে বেকারত্ব সঙ্কট সৃষ্টি করতে পারে। মানুষ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপর খুব বেশি নির্ভরশীল হয়ে উঠতে পারে। মানুষ মানসিক সক্ষমতা হারাতে পারে। মেশিন মানেই ধ্বংসাত্মক, ভুল প্রোগ্রামিং বা অন্যান্য ত্রুটির কারণে তারা মানুষের জন্য বিপদের কারণ হয়ে উঠতে পারে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন মেশিন তৈরি ও বাস্তবায়নে বিপুল অর্থ ব্যয় হবে। পক্ষান্তরে মানুষ অত্যন্ত সংবেদনশীল। হুবহু মানুষের মস্তিষ্কের অন্তর্নিহিত স্বজ্ঞাত ক্ষমতাগুলো পুনরায় তৈরি করা সম্ভব নয় রোবটের পক্ষে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সমৃদ্ধ যন্ত্রপাতির কার্যক্রম হচ্ছে স্ক্রিপ্টভিত্তিক। তাদের যে প্রোগ্রামিং কোড দেয়া হয় এর বাইরে তারা কিছুই করতে পারে না। তাদের ফলাফল ‘হ্যাক’ হয়ে যেতে পারে। কোডিং করা থাকলে তারা কাজগুলো শিখতে এবং আরো উন্নত করতে পারে। তবে এটি সন্দেহজনক যে, এআই কখনোই মানুষের মতো হতে পারে না। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষকে পণ্য হিসেবে বিবেচনা করে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভুল ব্যবহারের ফলে ব্যাপক ক্ষতি সাধনের আশঙ্কা রয়েছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স থেকে আপাত অনেক সুবিধা মিলছে। কিন্তু ভবিষ্যতে এটি মানব সভ্যতার জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। আর এ জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা পরিচালিত যন্ত্রকে কোনোভাবেই অভিযুক্ত করা যাবে না। ধরা যাক, ভুল প্রোগ্রামিংয়ের কারণে রোবট মানুষের একটি সার্জারিতে বড় ধরনের ক্ষতি করে ফেলল। কিংবা রোবটের কারণে মানুষের প্রাণহানি ঘটল। সে ক্ষেত্রে কি রোবটকে আইনের আওতায় আনা যাবে? রোবটকে কি শাস্তি দেয়া সম্ভব? তা-ই যদি না হয় তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের প্রতিকার লাভের উপায় কি?
অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র জেলা জজ মঈদুল ইসলামের মতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপর মানুষের নির্ভরতা বাড়ছে। কিন্তু এখানে আইনগত ভিত্তির জায়গাটি এখনও ফাঁকা। এটি নিয়ে ভাবা এখন জরুরি হয়ে পড়েছে। বাইরের দেশে এ নিয়ে কি ভাবা হচ্ছে জানি না। আমাদের দেশে তথ্য-প্রযুক্তি আইন হয়েছে ২০০৬ সালে। সম্প্রতি হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। এ দিয়ে হয়তো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পেছনের মানুষকে ধরা সম্ভব। কিন্তু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সমৃদ্ধ কোনো যন্ত্রকে ধরার সুযোগ নেই। যন্ত্রকে যেহেতু প্রোগ্রামিং করছে মানুষ তাই কোনো অঘটন ঘটলে নেপথ্যের মানুষকে দায়ী করা যাবে। তিনি বলেন, প্রযুক্তি চলে যাচ্ছে দুর্বৃত্তদের হাতে। এ কারণেই আইন জরুরি হয়ে পড়েছে। কোন কাজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ব্যবহার করা যাবে কোনটাতে যাবে না- এর একটি নীতিমালা থাকা দরকার। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ন্ত্রণ আইন তো দূরে থাক
সাবেক এই বিচারকের মতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার ও নিয়ন্ত্রণ আইন তো দূরে থাক- ১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইনটিই এখনও আপডেট হয়নি। অডিও-ভিডিওকে সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণের কথা বলা হযেছে। অথচ অডিও-ভিডিওটা আসল না নকল, এটি কিভাবে পরীক্ষা হবে বলা আইন সেখানে নীরব।
হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ-এর প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদের মতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের ক্ষেত্রে মানুষের একটি প্রোটেকশন থাকা দরকার। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যাপকভিত্তিক ব্যবহারকারী দেশগুলোতে নিশ্চয়ই এটির আইনগত একটি অবস্থান রয়েছে। সেসব দেশে এ ক্ষেত্রে কাকে ‘রেসপন্সিবল’ করা হয়েছে জানতে হবে। সেসব পর্যালোচনা করে আমাদের দেশেও এআই’র আইনগত সুরক্ষা জরুরি। প্রতিকারের জায়গা থাকতে হবে। না হলে মানুষের অধিকার ক্ষুন্ন হবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ফেসবুক কর্তৃপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোকছেদুল ইসলামের মতে, এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তথ্য-প্রযুক্তির যুগে অনেক দেশে ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’র বিস্তার ও নিয়ন্ত্রণে পৃথক বিভাগ খোলা হয়েছে। আমাদের দেশে তথ্য-প্রযুক্তি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার ক্রমবিস্তৃত হলেও এখন পর্যন্ত আইনগত বিষয়টি ভাবাই হয়নি। আইন করার মতো আইনজ্ঞও পার্লামেন্টে নেই। নিত্যনতুন জরুরি বিষয়ের ওপর আইন করার মতো যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তি নেই। তাদের পার্লামেন্টে নেয়াও হচ্ছে না। অনেকটা আইন ছাড়াই যেন দেশ চলছে!
তিনি বলেন, যোগাযোগ প্রযু্িক্তর কল্যাণে এখন পৃথিবী এক হয়ে গেছে। অন্যদিকে বহুল ব্যবহৃত ফেসবুক, ইউটিউব, হোয়াটসআপ, টুইটারের নিয়ন্ত্রণ এ দেশের হাতে নেই। তথ্য-প্রযুক্তির উপযুক্ত আইনই নেই। যেটুকু রয়েছে সেটি শুধু মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করার আইন। ফেসবুক কর্তৃপক্ষের বাংলাদেশস্থ এই আইনজীবী বলেন, ডমেইন যেগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে সেগুলোও চলছে আইন ছাড়া। আমরা যেন এগুলো নিয়ে এখনও ভাবাই শুরু করিনি। যেখানে তথ্য-প্রযুক্তি কোথায় চলে গেছে, সেখানে আমরা এখনও আইন নিয়েই ভাবতে পারছি না। আইন না থাকলেই যেন সুবিধা!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।