পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে বিশিষ্ট সাংবাদিক মিজানুর রহমান খানের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা সোয়া দুইটার দিকে তার দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে চার দফায় তার নামাজে জানানা অনুষ্ঠিত হয়। সংবিধান বিশেষজ্ঞ মিজানুর রহমানা খান করোনায় আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন।
মিজানুর রহমানের লাশবাহী গাড়িটি বেলা দেড়টার কিছু আগে সেখানে পৌঁছায়। কবরস্থানে তার স্ত্রী, সন্তান, পরিবারের সদস্য, আত্মীয়স্বজন, সাংবাদিক ও প্রথম আলোর সহকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে তৃতীয় জানাজা শেষে মিজানুর রহমান খানের মরদেহ নেওয়া হয় কারওয়ান বাজারে তার কর্মস্থল প্রথম আলো কার্যালয়ের সামনে। সেখানে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানসহ সহকর্মীরা এই বরেণ্য সাংবাদিকের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় তার রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। সেখানে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও নানা পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটি, জাতীয় প্রেসক্লাব ও সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গনে তার নামাজে জানানা হয়। সেখানে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, আইনজীবী, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন।
মরহুমের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর সময় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, মিজানুর রহমান খান প্রথম আলোর সঙ্গে ১৫ বছর ধরে ছিলেন। তিনি সেরা সাংবাদিকদের একজন ছিলেন। দেশের বর্তমান সময়ে অন্যতম সেরা সাংবাদিক। তিনি সারা সময় সাংবাদিকতা নিয়ে থাকতেন। সব বিষয়ে তার আগ্রহ ছিল। তিনি একজন সেরা মানুষও। পরিশ্রমী ও সৎ সাংবাদিক। তার অনুপস্থিতি প্রথম আলোর জন্য বেদনাদায়ক, দুঃখজনক। তার অভাব প‚রণ করা সম্ভব নয়। মিজানুর রহমান খানের পরিবার আমাদের পরিবারভুক্ত। অতীতের মতো বর্তমান ও ভবিষ্যতেও আমরা তাঁদের পাশে থাকব।
এর আগে সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে মিজানুর রহমান খানের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে জানাজায় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, আইনজীবী ও সাংবাদিকেরা অংশ গ্রহণ করেন। জানাজা শেষে মিজানুর রহমান খানের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। অতপর রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি প্রাঙ্গণে মিজানুর রহমান খানের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানকার জানাজায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির বর্তমান ও সাবেক নেতারা অংশ নেন। এ ছাড়া ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সাংবাদিকেরা জানাজায় অংশ নেন। সেখানেও জানাজা শেষে মিজানুর রহমান খানের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ ছাড়াও জাতীয় প্রেসক্লাবে তার তৃতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
গত সোমবার রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মিজানুর রহমান খান মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। তিনি মা, স্ত্রী, তিন সন্তান, পাঁচ ভাই, তিন বোনসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
মিজানুর রহমান খান করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করা হলে গত ২ ডিসেম্বর করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। তিনি ৫ ডিসেম্বর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভর্তি হন। তার শারীরিক সমস্যা বাড়লে সেখান থেকে ১০ ডিসেম্বর তাঁকে মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত শনিবার তাঁকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। চিকিৎস সেখানেই তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।