২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
একজন পুরুষের টেস্টোস্টেরোন (সেক্স হরমোন) মাত্রা প্রধানত তার শৈশবের পরিবেশের উপর নির্ভর করে, জেনেটিক্সের উপর নয়। ডারহ্যাম বিশ^বিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা বলছেন, যে সব পুরুষ অধিকতর চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে বেড়ে ওঠে, যেখানে তারা সংক্রামক রোগ বা ব্যাপক মাত্রায় দারিদ্রের শিকার হয়, তাদের হরমোনের মাত্রা যারা স্বাস্থ্যকর পরিবেশে শৈশব কাটিয়েছে তাদের চাইতে নি¤œতর মাত্রার হয়ে থাকে। নেচার ইকোলজি অ্যান্ড ইভোল্যুশন জার্নালে প্রকাশিত এ গবেষণায় বংশগত কারণ বা জাতিগত ভিত্তিতে টেস্টোস্টেরোন নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে মর্মে থিওরিকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।
এ গবেষণায় বলা হয়, শরীরের শক্তি ব্যবহারের সাথে এ পার্থক্য সংযুক্ত, শরীরে যদি অসুস্থতার বিরুদ্ধে লড়াই করার মত আরো কিছু চাহিদা থাকে তাহলেই শুধু উচ্চমাত্রার হরমোন থাকা সম্ভব। এ গবেষণার প্রধান লেখক ড. কেসন মাগিদ বলেন, কোনো পুরুষের টেস্টোস্টেরোনের পূর্ণ মাত্রার সাথে তার জাতিগোষ্ঠিগত বিষয় বা প্রাপ্ত বয়স্ক অবস্থায় কোথায় সে বাস করে তা সম্পৃক্ত নয়। বরং সে শিশু অবস্থায় যে পরিবেশে ছিল তারই প্রতিফলন ঘটে। এ গবেষণার মতামতের ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে এ কারণে যে দেহে খুব বেশি মাত্রায় বা খুব কম মাত্রায় টেস্টোস্টেরোন থাকা সম্ভাব্য স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। হরমোনের উচ্চমাত্রার সাথে প্রস্টেট ক্যান্সারের সম্পর্ক আছে, অন্যদিকে হরমোনের মাত্রা কম হলে তা ক্লান্তি বৃদ্ধি ও যৌনশক্তি হ্রাস করে।
গবেষণার জন্য ৩৫৯ ব্যক্তির উচ্চতা, ওজন ও বয়ঃসন্ধি কালের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। সে সাথে তাদের টেস্টোস্টেরনের মাত্রা পরীক্ষার জন্য তাদের লালার নমুনা নেয়া হয়।
গবেষকরা তারপর শৈশব কালের বিপুল পার্থক্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন গ্রæপের তুলনা করেনঃ বাংলাদেশে জন্মগ্রহণকারী ও সেখানে এখনো বসবাসরত পুরুষ, শৈশবে যুক্তরাজ্যে এসেছে এমন বাংলাদেশী পুরুষ, প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় যুক্তরাজ্যে আসা বাংলাদেশী পুরুষ, যুক্তরাজ্যে জন্ম দ্বিতীয় প্রজন্মের পুরুষ যাদের পিতামাতা বাংলাদেশী অভিবাসী ও যুক্তরাজ্যে জন্মগ্রহণকারী ইউরোপীয় জাতিগোষ্ঠির পুরুষ। এ গবেষণায় বলা হয়েছে যে যে সব বাংলাদেশী পুরুষ যুক্তরাজ্যে বড় হয়েছে ও বাস করছে তাদের টেস্টোস্টেরোনের মাত্রা স্বদেশে বড় হওয়া পুরষদের চেয়ে তাৎপর্যপূর্ণভাবে অনেক বেশি। ব্রিটেনের বাংলাদেশীরা কম বয়সে বয়ঃসন্ধিকালে পৌঁছে। তারা শৈশবে যারা বাংলাদেশে বাস করেছে সে সব পুরষদের চেয়ে বেশি লম্বা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।