পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেছেন, ‘বাঙালির আত্মমর্যাদা প্রতিষ্ঠার প্রাণপুরুষ বঙ্গবন্ধু। তাঁর আগে পরে অনেক বাঙালি ছিলেন। কিন্তু তাঁর মতো দেশপ্রেমিক, দিনের পর দিন জেলে থাকা, নেতৃত্ব, ধৈর্য, ভালোবাসা-সবকিছুতেই তিনি ছিলেন ব্যতিক্রমী গুণাবলীর অধিকারী এক মহানায়ক। নিজে সমাজকে দেখে, শুনে, আত্মস্থ করে যখন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেই সিদ্ধান্তে অবিচল থেকেছেন।’ গতকাল সোমবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে স্মারক বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মশিউর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু যে ক্যারিশমেটিক লিডার ছিলেন তার প্রমাণ হচ্ছে ৭ মার্চ এ ভাষণ। সেই ভাষণে তিনি বিচ্ছিন্নতাবাদী হননি, ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি একই সঙ্গে স্বাধীনতার জন্য মানুষকে প্রস্তুত করেছেন। আবার বিশ্বের কাছে বিচ্ছিন্নতাবাদী হননি। এটিই তো একজন ক্যারিশমেটিক লিডারের বৈশিষ্ট্য। সঠিক সময়ে তিনি ২৫ মার্চের রাতে স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন। একজন নেতার ডাকে ৩০ লাখ মানুষ জীবন দিলেন। ২ লাখ মা-বোন সম্ভ্রম হারালেন। অতঃপর এই রক্তঋণে জন্মনিল স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র-বাংলাদেশ।’
তিনি বলেন, আজকে আমরা বাংলাদেশকে অন্যান্য দেশের সঙ্গে তুলনা করি। কিন্তু বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ বাংলাদেশই হতো। পৃথিবীর অনেক দেশ বাংলাদেশকে অনুসরণ করতো, এক ভিন্ন উচ্চতায় পৌঁছাতো দেশ। মানবিকতাকে বিবেচনায় নিয়ে বঙ্গবন্ধু যে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন তা হচ্ছে দ্বিতীয় বিপ্লব। দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি পুঁজিবাদী বিশ্ব ব্যবস্থার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যে নতুন অর্থনৈতিক কাঠামোর আত্মপ্রকাশ পৃথিবীতে ঘটতো, দক্ষিণ এশিয়ায় যে অর্থনৈতিক পরিবর্তন ঘটতো সেটি হতো পৃথিবীর কাছে আগামী দিনের অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধানের প্রধান অবলম্বন।’
বিশিষ্ট এই সমাজবিজ্ঞানী বলেন, ‘কতটা অমানবিক, কতটা নারকীয়, অশুভ প্রেতাত্মা হলে বঙ্গবন্ধুর বুকে ট্রিগার চাপতে পারে। সেই ট্রিগারে শিশু পুত্র রাসেলকে হত্যা করতে পারে। কতটা নৃশংসভাবে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ২৭ মিনিটের একটি প্রামাণ্য চিত্র দেখানো হয়। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ বিষয়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির ভিসি রিয়ার এডমিরাল (অব.) এম খালেদ ইকবাল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।