Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আরচ্যারির লক্ষ্য শেষ আট

জাহেদ খোকন : | প্রকাশের সময় : ৬ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০৪ এএম

কোন পদক নয়, আসন্ন ১৮তম এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশ আরচ্যারি দলের লক্ষ্য শেষ আটে খেলা। যদি ভাগ্য সুপ্রসন্ন থাকে তো বড় জোর সেমিফাইনাল পর্যন্ত যেতে পারেন লাল-সবুজের আরচ্যাররা। এমনটাই আশা বাংলাদেশ আরচ্যারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজিব উদ্দিন আহমেদ চপলের। আগামী ১৮ আগষ্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা ও পালেমবাং শহরে অনুষ্ঠিত হবে এবারের এশিয়ান গেমস। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই ক্রীড়াযজ্ঞের বাংলাদেশ অংশ নেবে ১৪টি ডিসিপ্লিনে। যার অন্যতম একটি আরচ্যারি। এই ডিসিপ্লিন থেকে বরাবরই ভালো কিছু আশা করেন দেশের ক্রীড়ামোদীরা। কারণ সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক আসরে সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশের আরচ্যারি। গেল ক’বছরে সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে লাল-সবুজের আরচ্যারি দল। এর মধ্যে তারা আরচ্যারি বিশ্বকাপ, এশিয়ান আরচ্যারি চ্যাম্পিয়নশিপ, ইসলামিক সলিডারিটি গেমস ও সাউথ এশিয়ান আরচ্যারি চ্যাম্পিয়নে নজরকাড়া পারফরমেন্স দেখিয়েছে। গুটি গুটি পায়ে এদেশের আরচ্যারি আজ অনেক দূর এগিয়েছে। ফলে এশিয়ান আরচ্যারির মতো বড় মানের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার আসর ঢাকায় বসেছে। আন্তর্জাতিক আসরে বাংলাদেশের পদক জয়ের সংখ্যাও কিন্তু কম নয়। সাম্প্রতিক সময়ের পারফরম্যান্সে আশা করা যেতেই পারে এবারের এশিয়াডে পদক জিতবে বাংলাদেশ আরচ্যারি দল। কিন্তু ফেডারেশন কর্তাদের সেই প্রত্যাশা নেই। তাদের আশা কোন পদকের নয়, কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্তই। কারণ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, জাপান, উত্তর কোরিয়া, ভারত ও থাইল্যান্ডের মতো দেশের আরচ্যারদের আধিপত্যই এশিয়াডে বেশি। তাই বাংলাদেশের সম্ভাবনা এখানে নেই বললেই চলে।
ক’দিন আগে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ খেলে এসেছেন বাংলাদেশের আরচ্যাররা। দেশে ফিরেই তারা নেমে পড়েন এশিয়ান গেমসের প্রস্তুতিতে। ২১ আগস্ট জাকার্তায় এশিয়ান গেমসে তীর ছুড়তে নামবেন বাংলাদেশের তীরন্দাজরা। দীর্ঘ প্রস্তুতির আগে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত যেতে পেরেছেন তারা। এত বড় আসরে এটা কম প্রাপ্তি নয় বাংলাদেশের। তা ছাড়া ঢাকায় ইসলামিক সলিডারিটি ও সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতকে পেছনে ফেলে পদক তালিকার শীর্ষে থেকে বেশ সাড়া ফেলেছেন রোমান সানা, তামিমুল ইসলামরা। ফলে চাঙা মনোবল নিয়েই এশিয়ান গেমসে যাচ্ছেন আরচ্যাররা।
এশিয়াডকে সামনে রেখে টঙ্গীস্থ শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামে দীর্ঘমেয়াদী অনুশীলন করছে বাংলাদেশ আরচ্যারি দল। মানোন্নয়নের জন্য তাদেরকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন জার্মানীর প্রখ্যাত কোচ ফ্রেডরিক মার্টিন। তাই অন্যসব ইভেন্টের মতো প্রস্তুতি নিয়ে আক্ষেপ নেই আরচ্যারদের। যে কারণে আসন্ন এশিয়ান গেমসে তাদের প্রত্যাশা অতীতকে ছাড়িয়ে যাওয়া। কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা। কারণ গেমসে এশিয়ার স্বীকৃত শক্তি দেশগুলোর বিখ্যাত আরচ্যাররা অংশ নেবেন। সেখানে পদক পাওয়াটা খুব কঠিন ব্যাপার। সাধারণত এসব আসরে অভিজ্ঞতা অর্জনই মূল লক্ষ্য থাকে বাংলাদেশের আরচ্যারদের। এ প্রসঙ্গে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজিব উদ্দিন আহমেদ চপল বলেন,‘অলিম্পিকের পর এশিয়ান গেমসই বড় আসর। সুতরাং এখানে পদকের আশা করাটা আমাদের বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়। তবে এতটুকু বলব, জার্কাতা-পালেমবাং এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশের আরচ্যাররা কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার সামর্থ্য রাখে।’
এবারের এশিয়াডে বাংলাদেশের ১৩ জন আরচ্যার অংশ নেবেন। রিকার্ভ বিভাগে চার পুরুষ, তিনজন মহিলা, কম্পাউন্ডে তিনজন করে পুরুষ ও মহিলা অংশ খেলবেন। দলের সঙ্গে দু’কোচ হিসেবে যাচ্ছেন মার্টিন ফ্রেডরিক ও জিয়াউল হক। আসরে বাংলাদেশের আরচ্যারদের নিয়ে আশাবাদী ফ্রেডরিক জানান, ‘আমার দেখানো পথেই এগুচ্ছে বাংলাদেশের আরচ্যাররা। আমি কেবল ওদের তীর-ধনুকের মান উন্নয়নই ঘটাচ্ছি না, পাশাপাশি ওদের মানসিক শক্তিবৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছি। আমি আশাবাদী এশিয়াডে বাংলাদেশ দলের কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জনের জন্য।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: এশিয়ান গেমস

৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ