রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
সারিয়াকান্দির কুতুবপুর ইউপির সুখি বেগমের পরিবার কোনোদিন স্বপ্নেও ভাবেননি তাদের নিজেদের সুন্দর একটি ঘর হবে। ছোটবেলায় বাবার মৃত্যুর পর থেকেই দারিদ্র্যের সাথে লড়াই করে খেয়ে না খেয়ে তিনি বড় হয়েছে। কিশোরীকাল শেষ হতে না হতেই ভিক্ষুক আনছার আলীর সাথে সুখি বেগমের বিয়ে হলেও অভাব পিছু ছাড়েনি। আনছার আলী সারাদিন ভিক্ষা করে যা পান, তা দিয়েই তাদের সংসার চলেছে নানা দুখকষ্টের মধ্যে দিয়ে। ছোটবেলা থেকেই ঝুঁপড়ি ঘরে তারা বসবাস করেন। তাদের রয়েছে দুই ছেলে ও এক মেয়ে। ভেবেছিলেন ছেলেরা একদিন বড় হয়ে আয় রোজগার করে একটি নিজস্ব ঘর বানাবে। ছেলেরা বড় হয়ে বিয়ে করে এখন আলাদা বসবাস করে। তাদের অবস্থাও নাজুক। যখন ভিক্ষুক আনছার আলী ও সুখি বেগমের আশাই ফিকে হয়ে আসছিল, তখনই সরকারিভাবে গৃহীত ‘জমি আছে ঘর নেই প্রকল্পের’ মাধ্যমে ঘর পেলেন সুখি বেগম ও তার স্বামী। ঘর পেয়ে তিনি এখন ভীষণ খুশি, অনেক তৃপ্ত। গতকাল মঙ্গলবার কুতুবপুরের নিভৃত পল্লী প্রামাণিক পাড়ায় সরেজমিনে গিয়ে কথা বললে, তিনি বললেন তার খুশি ও আত্মতৃপ্তির কথা। জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতার কথা
উল্লেখ্য, সারিয়াকান্দি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বছর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জমি আছে ঘর নেই প্রকল্প থেকে একটি ঘর তৈরি করে দেয়া হয়েছে সুখি বেগমকে। সুন্দর একটি ঘর পেয়ে সুখি ও আনছার আলীর পরিবার এখন খুব খুশি। প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সুখি বেগম মনের আনন্দে হেসে বলেন, (সরকার হামাক ইংকা) সরকার আমাকে এমন সুন্দর ঘর দিয়েছে, যা গ্রামের অনেক মানুষেরই নাই। পাশাপাশি (এট্যা কল) যদি একটা নলকূপ দিত, তাহলে (ভালো হলো হিনি) খুব ভালো হতো।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার সারওয়ার আলম ইনকিলাবকে জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জমি আছে ঘর নেই প্রকল্পের আওতায় উপজেলার চারটি ইউনিয়নের ৮১টি পরিবারকে ঘর ও ল্যাট্রিন নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। প্রতিটি পরিবারের ঘর ও ল্যাট্রিন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে এক লাখ টাকা করে। কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরান আলী রনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জমি আছে ঘর নেই প্রকল্পের ঘর পাওয়া পরিবারগুলো খুবই খুশি হয়েছে। যমুনা ও বাঙালি নদীর ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার অন্যান্য দরিদ্র পরিবারদের সরকারিভাবে ঘর নির্মাণ করে দেয়ার জন্য জমি আছে ঘর নেই প্রকল্পের বরাদ্দ আরো বাড়ালে গরিব মানুষ উপকৃত হতো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।