Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুইপাশ দখল

সাদিক মামুন, কুমিল্লা থেকে : | প্রকাশের সময় : ৪ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০১ এএম

অর্থনীতির প্রাণ হিসেবে পরিচিত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশের দুইপাশে সড়ক ও জনপদ বিভাগের জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে শত শত অবৈধ স্থাপনা। এখনো চলছে মহাসড়কের দুইপাশে জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা তৈরির প্রতিযোগিতা। গত এক বছরে মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে চৌদ্দগ্রামের শেষ সীমানা মোহাম্মদ আলী পর্যন্ত অন্তত অসংখ্য অবৈধ দোকানপাট, হাটবাজার এবং বাস-সিএনজি স্ট্যান্ড গড়ে উঠেছে। প্রভাবশালীরা জায়গা দখল করে লাখ লাখ টাকার বাণিজ্য করছে। কুমিল্লা সওজ কর্তৃপক্ষ বলছেন, মহাসড়কের দুইপাশের সকল অবৈধ স্থাপনার উচ্ছেদ কার্যক্রম কুরবানী ঈদের পরে শুরু হবে।
দাউদকান্দি থেকে মোহাম্মদ আলী এলাকা পর্যন্ত ১০৪ কিলোমিটার মহাসড়কের মাঝখানে সবুজ ঘাস আর নানা প্রজাতির গাছের আচ্ছাদিত মিডিয়া মহাসড়ককে করে তুলেছে আকর্ষণীয়। কিন্তু এসব সৌন্দর্য ¤øান হয়ে পড়েছে দুইপাশে অবৈধ দখলের স্থাপনার কারণে। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, মহাসড়কের দাউদকান্দির গৌরিপুর, ইলিয়টগঞ্জ, মাধাইয়া, চান্দিনা, নিমসার, কোরপাই, কাবিলা, আলেখারচর, ঝাগুরঝুলি, পদুয়ার বাজার, সুয়াগাজী, মিয়ারবাজার ও চৌদ্দগ্রাম পর্যন্ত ৭-৮টি অবৈধ বাস ও সিএনজি স্ট্যান্ড রয়েছে। বাজার বসানো হয়েছে ৪-৫টি স্পটে। আর যাত্রী সমাগম স্থানে রয়েছে অসংখ্য অবৈধ দোকানপাট ও স্থাপনা। বেশিরভাগ ফিলিং স্টেশনের সামনে সওজ’র জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে টং দোকান, যানবাহন হাওয়ার দোকান ও মেরামতের স্থাপনা। ওইসব অবৈধ স্থাপনার কারণে যানবাহন ও যাত্রীদের বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে। ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সওজ’র জায়গা দখল করে টাকার বিনিময়ে দ্বিতীয়পক্ষকে বুঝিয়ে দিচ্ছেন। আবার অনেক প্রভাবশালী নিজেরাই স্থাপনা নির্মাণ করে ভাড়া দিচ্ছেন। আর সাধারণ শ্রেণির অনেকেই নিজের উদ্যোগে দখল নিয়ে স্থাপনা তৈরি করে ব্যবসায় বসলেও দৈনিক বা সপ্তাহহারে চাঁদা নিচ্ছেন প্রভাবশালীদের লোকজন। ইতিপূর্বে কুমিল্লা সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং জেলা প্রশাসন উচ্ছেদের মাধ্যমে কিছু জায়গা দখলমুক্ত করলেও ফের বসেছে দোকান ও হাট-বাজার। প্রভাবশালী লোকজন এসব দোকানের কোনটি থেকে এক থেকে দেড় লাখ লাখ টাকা সালামি নিয়েছেন। আর কোনটি থেকে প্রতিদিন একশো থেকে দেড়শো টাকা হারে অর্ধলক্ষাধিক টাকা ভাড়া আদায় করছে। জায়গা দখল করে একদিকে লাখ লাখ টাকার চাঁদাবাজি চলছে; অন্যদিকে সুষ্ঠুভাবে যানবাহন চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি করা হচ্ছে।
সড়ক ও জনপদ বিভাগ কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী মোফাজ্জল হায়দার বলেন, যারা বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করে ব্যবসা বাণিজ্য করছে সবই অবৈধ। এসব অবৈধ স্থাপনার নতুন করে তালিকা তৈরির কাজ চলছে। আমরা তালিকা করে জেলা প্রশাসনে পাঠাই। আশা করি ঈদুল আজহার পরে জেলা প্রশাসনের মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে জায়গাগুলো অবৈধ দখলদার মুক্ত করার অভিযান চালানো হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মহাসড়ক

২৮ ডিসেম্বর, ২০২২
২১ ডিসেম্বর, ২০২২
২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ