মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই প্রায় নিয়মিত বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে আলোচিত ও সমালোচিত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তার মেয়ে ইভানকা ট্রাম্প কিছু ক্ষেত্রে তার বাবার অনেক বিতর্কিত নীতি ও বাগাড়ম্বরপূর্ণ বক্তব্য থেকে নিজের দূরত্ব বজায় রাখেন। এরই অংশ হিসেবে ইভানকা ট্রাম্প বৃহস্পতিবার বলেছেন, সাংবাদিকরা জনগণের শত্রæ নয় এবং তিনি পারিবারিক বিচ্ছিন্নতার কঠোর বিরোধী। গত সপ্তাহে তার ফ্যাশন ব্র্যান্ড বন্ধের ঘোষণা দেয়ার পর এই প্রথমবারের মতো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম কন্যা ও সিনিয়র উপদেষ্টা জনসম্মুখে বলেন, অভিবাসন সঙ্কট নিরসনের ব্যাপারে বাবা যেভাবে চিন্তা করছেন সে ক্ষেত্রে আমার নিজের দৃষ্টিভঙ্গি একেবারে ভিন্ন। আর এই অভিবাসন সঙ্কট নিয়ে ইভানকা ট্রাম্প তার উদ্বেগের কথাও ব্যক্ত করেন। ট্রাম্প প্রশাসনের জিরো টলারেন্স নীতির কথা উল্লেখ করে নিউজ ওয়েবসাইট এক্সিওস আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ৩৬ বছর বয়সী ইভানকা ট্রাম্প বলেন, ‘এই নীতির কারণে হাজার হাজার শিশু তাদের অভিবাসী বাবা-মা’র কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।’ ‘আমি পারিবারিক এবং বাবা-মা ও সন্তানদের বিচ্ছিন্নতার কঠোর বিরোধী। সুতরাং আমার অবস্থান বিচ্ছিন্নতা বিরোধী মনোভাবের পক্ষে।’ ইভানকা ট্রাম্প তার বাবার গণমাধ্যম বিরোধী কঠোর মনোভাব ও নিন্দা থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছেন। ট্রাম্প স¤প্রতি কয়েকটি সমাবেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে গণমাধ্যম বিরোধী মনোভাব ব্যক্ত করেন। গণমাধ্যম জনগণের শত্রæ এ ব্যাপারে ইভানকার মনোভাব জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না, আমি এমনটা মনে করি না।’ অপরদিকে, সংবাদমাধ্যমের প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অব্যাহত বিদ্বেষমূলক আচরণের নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের দুই বিশেষজ্ঞ। সংবাদমাধ্যমের প্রতি ট্রাম্পের বিরূপ মনোভাব সংবাদকর্মীদের প্রতি সহিংসতা বৃদ্ধির কারণ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা। ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই অব্যাহতভাবে প্রধান ধারার মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোর সমালোচনা করে আসছেন ট্রাম্প। স¤প্রতি সিএনএন-এর এক সংবাদকর্মীকে হোয়াইট হাউসে নিষিদ্ধ করার পর জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞরা ট্রাম্পের ভূমিকার নিন্দা জানালেন। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র যখন বিশ্বজুড়ে জোর প্রচারণা চালাচ্ছেন, তখন খোদ যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতার শীর্ষে থাকা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভূমিকা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ জানালেন। বৃহস্পতিবার রাতে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে জাতিসংঘ ও আন্তঃআমেরিকান মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার প্রশাসনকে তাদের জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা ও সততা নিশ্চিত করতে অব্যাহতভাবে সংবাদমাধ্যমকে অবমূল্যায়নের চর্চা ত্যাগ করার আহবান জানান। জেনেভা ও ওয়াশিংটন থেকে মত প্রকাশের স্বাধীনতা বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত ডেভিড কেই ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্তঃআমেরিকান কমিশনের বিশেষ দূত অ্যাডিসন লানজা বলেন, সংমাধ্যমকে ট্রাম্পের আক্রমণ অত্যন্ত কৌশলি। তার প্রশাসন সম্পর্কে সন্দেহ ও লেখালেখিকে হেয় করাই এর লক্ষ্য। বিবৃতিতে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সংবাদমাধ্যমকে যুক্তরাষ্ট্রের শত্রু, মিথ্যা সংবাদদাতা, অসৎ ও গণতন্ত্রের শত্রু হিসেবে অভিহিত করেছেন। ট্রাম্প প্রশাসনের গণমাধ্যমবিরোধী বক্তব্যে গভীর উদ্বেগ জানিয়ে বিশেষ দূতরা বলেন, এটি সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সম্মান জানানোর বাধ্যবাধকতার প্রতিবন্ধক। ক্ষমতার সম্ভাব্য অপব্যবহার, অপকর্ম, অপচয় নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশে বাধা দিতেই এ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সংবাদমাধ্যমকে শত্রু হিসেবে অভিহিত করে অপছন্দের প্রশ্নগুলো এড়িয়ে চলছেন। তারা বলেন, ট্রাম্পের অপমানজনক মন্তব্য সাংবাদিকদের সহিংসতার লক্ষ্যবস্তু হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়েছে। এএফপি, বিবিসি, গার্ডিয়ান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।