পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বেসরকারি টিভি চ্যানেল এটিএন নিউজের দুই সংবাদকর্মীর ওপর হামলার ঘটনায় অভিযোগ নিয়েছে পুলিশ। তেল-গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির ডাকা বৃহস্পতিবারের হরতালের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে পুলিশের হামলার শিকার হন দুই সংবাদকর্মী।
এটিএন নিউজের সিনিয়র প্রতিবেদক ইমরান হোসেন ও শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক অভিযোগ নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি আবু বকর সিদ্দিক বলেন, অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। পরবর্তী ব্যবস্থাও নেয়া হবে। যেহেতু সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সরাসরি মামলা নেয়ার বিধান নেই, সেজন্য আইন অনুয়াযী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এটিএন নিউজের পক্ষ থেকে করা ওই অভিযোগে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তেল গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির ডাকা আধাবেলার হরতালের খবর সংগ্রহ করছিলেন দুই সংবাদকর্মী। হরতালের শেষ দিকে বেলা পৌনে দুইটার দিকে এক ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে যাচ্ছিলেন কয়েকজন পুলিশ সদস্য। ওই সময় ক্যামেরা পারসন আবদুল আলীম সেই দৃশ্য ক্যামেরায় ধারণ করছিলেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এরপর আলীমকে কিল, ঘুষি, চড়, থাপ্পড় ও রাইফেলের বাঁট দিয়ে পেটান। ক্যামেরা কেড়ে নেয়ারও চেষ্টা চালান। আলীমকে মারধর করতে দেখে ওই চ্যানেলের নিজস্ব প্রতিবেদক কাজী ইহসান বিন দিদার এগিয়ে যান। পুলিশ তার ওপরও কিল, ঘুষি, চড়-থাপ্পড় ও রাইফেলের বাঁট দিয়ে হামলা চালায়। একপর্যায়ে তাদের দুজনকে কয়েকজন পুলিশ সদস্য মিলে লাথি মারতে মারতে টেনেহিঁচড়ে শাহবাগ থানার নিয়ে যান।
অভিযোগে আরও বলা হয়, থানার ভেতরেও তাদের মারধর করে পুলিশ সদস্যরা। এটিএন নিউজের ক্যামেরা ভাঙচুর করে। এ সময় ঘটনাস্থলে দায়িত্ব পালনরত কয়েকজন সহকর্মী তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করেন। পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা আলীম ও দিদারকে উদ্ধার করেন। পুরো ঘটনার ভিডিওচিত্র ও স্থিরচিত্র সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের ক্যামেরায় ধারণ করা হয়। হামলাকারী পুলিশ সদস্যদের মধ্যে শাহবাগ থানা-পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এএসআই) এরশাদ ম-ল, পুলিশ কনস্টেবল মোখলেছুর, পুলিশ কনস্টেবল হোসেন কবির ও পুলিশ কনস্টেবল সবুজ খানকে শনাক্ত করা যায়। এছাড়া আরও অন্তত ১০-১২ জন পুলিশ সদস্যকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।