Inqilab Logo

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আকলিমার শেষ ছুটি

মহাসড়ক অবরোধ ১১ গাড়ি ভাঙচুর

মুন্সী কামাল আতাতুর্ক মিসেল চান্দিনা থেকে | প্রকাশের সময় : ১ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০২ এএম

ঢাকা বিমানবন্দর এলাকায় বাস চাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনার রেশ না কাটতেই আবার ঝরলো আরেক শিক্ষার্থীর প্রাণ। নাম আকলিমা। গোমতা ইসহাকিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থী ছিলেন।
জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনা গোমতা নামক স্থানে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ২ টার দিকে বাসের সঙ্গে পাল্লা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন আর ২
শিক্ষার্থী। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে। ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনার জেরে নিহতের সহকর্মীরা প্রায় ১ ঘণ্টা ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। অবিলম্বে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ট্রাকের চালক ও ট্রাকটিকে জব্দের দাবি জানান। পাশাপাশি নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের দাবি জানান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে দেয়। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় একই স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগের দশম শ্রেণির ছাত্রী একই গ্রামের মনির হোসেনের মেয়ে তামান্না ও মেহেদী হাসান গুরুতর আহত হয। তাদেরকে দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। অপর শিক্ষার্থী তামান্না ও মেহেদী হাসান গুরুত্বর আহত হয়। এ সময় ট্রাকটি দ্রুত গতিতে পালিয়ে যায়। মুমূর্ষু অবস্থায় পথচারীরা তামান্না ও মেহেদী হাসানকে উদ্ধার করে দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগে চিকিৎসক সেবা দেয়া হয়।
প্রায় ১ ঘণ্টা বিক্ষোভে ওই এলাকায় প্রচন্ড যানযট দেখা দেয়। অনেক পথচারীরা তাদের গন্তব্যে স্থানে হেঁটে রওনা দেন। গোমতা ইসহাকিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আব্দুল হান্নান সরকার দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, ক্লাস চলাকালীন সময়ে দশম শ্রেণীর বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থী তামান্না অসুস্থ হয়ে পড়ে। টিফিনের বিরতির সময় অসুস্থ তামান্না ছুটি চেয়ে প্রধান শিক্ষকের নিকট একটি লিখিত দরখাস্ত দিলে প্রধান শিক্ষক তার ছুটি মঞ্জুর করে বাড়ি পাঠানোর সিদ্ধান্ত দেন। তামান্না একা বাড়ি যেতে পারবে না বিধায় তার সহপাঠি একই গ্রামের আকলিমাকেও ছুটি দিয়ে বাড়িতে পাঠান। তারা মহাসড়কের পাশ ঘেঁষে বাড়ি ফেরার সময় পিছন থেকে বালুবাহী ট্রাক চাপায় ঘটনাস্থলেই আকলিমা নিহত হয়। এতে আহত হয় তামান্নাও। তাকে উদ্ধার করে গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জীবন হাজারী বলেন, ছাত্রদের বিক্ষোভের কারণে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় পুলিশ। ট্রাকটির চালককে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে এমন আশ্বাসের প্রেক্ষিতে তারা অবরোধ তুলে নেয়। ট্রাকের চালককে আটকের জন্য চেষ্টা চলছে। নিহত আকলিমার বাড়ি কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার বাবুটিপাড়া গ্রামের আবদি মিয়ার মেয়ে বলে জানা যায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মৃত্যু


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ