রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
একসময়ের বিএনপির দুর্গ চুয়াডাঙ্গায় বিএনপির সাংগঠনিক তৎপরতা অনেকটাই ঝিমিয়ে পড়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ যতই এগিয়ে আসছে, জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতাদের মধ্যে নিষ্ক্রিয়তা ততই লক্ষ করা যাচ্ছে। দলের এই চরম সঙ্কটকালে তৃণমূল নেতাকর্মীরা জেলা আহ্বায়কক কমিটির সদস্য তরুণ রাজনীতিক শরীফুজ্জামান শরীফকে দুঃসময়ের কন্ডারি হিসেবে পেয়েছেন ।
জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কেন্দ্র থেকে যেসব আন্দোলন-সংগ্রাম কর্মসূচি নেয়া হয়, কেবল শরীফুজ্জামান শরীফের অনুসারী নেতাকর্মীরা প্রতিটি কর্মসূচি পালন করে থাকেন। এর আগে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সভাপতি শামসুজ্জামান দুদুর সহোদর ভাই ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়াহেদুজ্জামান বুলার নেতৃত্বে বিএনপি বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করলেও এখন বেশ কিছুদিন ধরে রাজনীতির মাঠে তাদেরকে দেখা যাচ্ছে না। তবে, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অহিদুল ইসলাম বিশ^াস তার অনুসারীদের নিয়ে ইদানীং কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি পালন করলেও তা অনিয়মিত ও অনেকটায় দায়সারা।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল বিএনপির তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এক পত্রে অহিদুল ইসলাম বিশ্বাসকে আহ্বায়ক ও সে সময়ের কেন্দ্রীয় যুবদলের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক তৈরী পোশাক শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর নেতা মাহমুদ হাসান খান বাবুকে ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক করে জেলা বিএনপির ৫১ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন করা হয়। ওই কমিটির অপর তিন যুগ্ম আহ্বায়ক হলেন, ওয়াহেদুজ্জামান বুলা, মজিবুল হক মালিক মজু ও খোন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা। নতুন ওই আহ্বায়ক কমিটি গঠনের পর স্থানীয় বিএনপিতে প্রাণের সঞ্চার হয়। বিশেষ করে বিবদমান একাধিক পক্ষের নেতাদেরকে একই কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখা ও তাদের মিলেমিশে কয়েকটি বৈঠক করার ঘটনা দারুণভাবে নাড়া দেয়। কেন্দ্র থেকে ওই আহ্বায়ক কমিটিকে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, পৌর, উপজেলা ও জেলা কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়া হলেও নেতৃবৃন্দ তা করতে পারেননি। অভিযোগ রয়েছে, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস তৃণমূল পর্যায়ের কমিটি গঠন শুরু করার পর ওয়াহেদুজ্জামান বুলা অনুসারীদের নিয়ে প্রায় প্রতিটি কমিটির পাল্টা কমিটি গঠন শুরু করে। নতুন করে আবারো অস্থিরতা শুরু হয়। উভয়পক্ষ পাল্টাপাল্টি কমিটি গঠনের পাশাপাশি পাল্টাপাল্টি অভিযোগ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। কমিটিতে অর্থের বিনিময়ে পদ দেয়ারও অভিযোগ ওঠে সে সময়। আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়কের মধ্যে এই বিরোধের কারণে পরবর্তীতে বিএনপি আর সেভাবে চাঙা হয়নি জেলায়।
এদিকে গত দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাবেক ছাত্রদল নেতা শরীফুজ্জামান শরীফ দলের দুঃসময়ের কান্ডারি হয়ে নেতাকর্মীদের পাশে রয়েছেন। বিশেষ করে জেলা শহর থেকে গ্রামগঞ্জ সবখানে বিএনপির নেতাকর্মীদের খোঁজখবর নেয়া এবং তাদেরকে সংগঠিত করেন। সর্বশেষ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদেরকে আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি মনোবল বৃদ্ধিতে মানসিকভাবে সহায়তা করেন। দলীয় নেতাকর্মীদের নামে কোনো মামলা-মোকদ্দমা অথবা তাদের স্বজনদের চিকিৎসা সহায়তা এবং ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবে বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা করেন।
এদিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচনে আসলে চুয়াডাঙ্গার দুটি আসনে কে কে প্রার্থী হতে পারেন, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সহসভাপতি শামসুজ্জামান দুদুর পাশাপাশি শরীফুজ্জামান শরীফের নাম জোরেশোরে শোনা যাচ্ছে। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের দাবি, দলের দুঃসময়ে যাকে কাছে পেয়েছেন, তাকেই যেনো কেন্দ্রীয় মনোনয়নবোর্ড মনোনয়ন দেয়। তাহলে আগামী নির্বাচনে বিএনপির দুর্গ পুনরুদ্ধার সম্ভব হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।