Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারত সীমান্তে মনুষ্যবিহীন আবহাওয়া স্টেশন নির্মাণ করেছে চীন

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ১৮ জুলাই, ২০১৮, ১২:০২ এএম

ভারতের সীমান্তবর্তী তিব্বত স্বায়ত্বশাসিত এলাকায় মনুষ্যহীন স্বয়ংক্রিয় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ স্টেশন স্থাপন করেছে চীন। জাতীয় প্রতিরক্ষার জন্য এই স্টেশন চীনকে আবহাওয়া সম্পর্কিত তথ্য সরবরাহ করবে। তিব্বতের শান প্রিফেকচারের লুনজে অঞ্চলের ইউমাউ টাউনশিপ এলাকায় এই স্টেশনটি স্থাপন করা হয়েছে। স্থানীয় যে এলাকাটি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণের আওতার বাইরে ছিল, ওই এলাকা সম্পর্কে পর্যবেক্ষণ রিপোর্ট করবে এই স্টেশন। জাতীয় প্রতিরক্ষা ও সীমান্তে আরও প্রয়োজনীয় উন্নয়নের জন্য এবং সামরিক-বেসামরিক সমন্বয়ের ক্ষেত্রেও এই স্টেশন থেকে গুরুত্বপূর্ণ আবহাওয়াগত তথ্য পাওয়া যাবে। তিব্বত আবহাওয়া ব্যুরোর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে দেয়া এক বিবৃতি থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে। স্টেশনের দায়িত্বে নিয়োজিত টেকনিশিয়ান তাশি নোরবু গেøাবাল টাইমসকে সোমবার জানান, “এই স্টেশনটি ছয়টি জিনিস আগের চেয়ে আরও নিখুঁতভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারবে। এর মধ্যে রয়েছে বাতাসের তাপমাত্রা, বাতাসের চাপ, বাতাসের গতি, বাতাসের দিক, আদ্রতা এবং জলীয় বাষ্পের মাত্রা”।
তাশি বলেন, “ইউমাইয়ের অবস্থান সীমান্তের সাথেই। এই স্টেশন জাতীয় প্রতিরক্ষার জন্য পরিবহন এবং যোগাযোগের ব্যাপারে সাহায্য করতে পারবে। আঞ্চলিক সংঘর্ষ বাধলেও সাহায্য করতে পারবে এই স্টেশন”।
ইউমাই টাউনশিপে মাত্র নয়টি পরিবার ও ৩২ জন নাগরিক বাস করেন। জনসংখ্যার দিক থেকে চীনের সবচেয়ে ছোট টাউনশিপ এটা। ইউমাইয়ের অবস্থান হিমালয়ের দক্ষিণ পাদদেশে। ভারত মহাসাগরের জলবায়ু দ্বারা খুবই প্রভাবিত হয় এই এলাকা।
কমিউনিস্ট পার্টি অব চায়নার ইউমাই কমিটির সেক্রেটারি দাওয়া গেøাবাল টাইমসকে বলেন, “আবহাওয়া অফিস থেকে অনেক নিখুঁত তথ্য পাচ্ছি আমরা এখন। এই স্টেশনটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটা আবহাওয়া ও জলবায়ু সংক্রান্ত তথ্যের ঘাটতি পূরণ করছে, যেটা আমাদের উন্নয়নের কাজে লাগবে”। এই্ অফিস স্থানীয় কৃষিকাজে এবং সড়ক নির্মাণের ক্ষেত্রের উল্লেখযোগ্য সাহায্য করছে বলেও জানান তিনি।
ইউমাইয়ের সাথে বাইরের যোগাযোগের একমাত্র সড়কটি ২০১৭ সাল থেকে নির্মাণাধীন রয়েছে। দাওয়া জানান, সড়কটি নির্মাণ শেষ হলে আরও আবহাওয়া স্টেশন নির্মাণ করা হবে।
স্টেশনের নির্মাণ কাজ ২০১৮ সালের শুরুর দিকে শুরু হয়। তবে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে এর কাজ শেষ হতে জুন মাস পর্যন্ত লেগে যায়। ২২ জুন প্রথম স্টেশনটি থেকে আবহাওয়া সম্পর্কিত তথ্য স¤প্রচার করা হয়।
ঞ্চলিক আবহাওয়া সম্পর্কিত তথ্য অতি গুরুত্বপূর্ণ কারণ বিমানের উঠানামা এবং যুদ্ধের সময় মিসাইল নিক্ষেপের জন্য এই তথ্য খুবই জরুরি। সামরিক বিশেষজ্ঞ সোং জোংপিং সোমবার গেøাবাল টাইমসকে জানান, এই আবহাওয়া স্টেশন এ ধরনের তথ্য দিয়ে সহায়তা করবে। সোং আরও বলেন, আবহাওয়া সম্পর্কিত নিখুঁত তথ্য পাওয়া গেলে যুদ্ধে সেটা সুবিধাজনক অবস্থান পেতে সহায়তা করে।
দাওয়া বলেন, “অধিবাসীরা এখানে আরও ভাল আবহাওয়া তথ্য পাবে। এর মাধ্যমে তারা এখানকার প্রতিটি গাছ পালা ও ভূমি সুরক্ষায় আরও ভালো ভূমিকা রাখতে পারবে”।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চীন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ