পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ইস্যুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কড়া সমালোচনা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির আইন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রশাসন দিন দিন ক্ষমতাসীন দলের দাসে পরিণত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। গত সোমবার রাতের প্রথম প্রহরে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আইয়ের টক শো তৃতীয় মাত্রায় অংশ নিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন। জিল্লুর রহমানের উপস্থাপনায় টক শোতে আলোচক হিসেবে আরও ছিলেন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সায়ীদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের বর্তমান অবস্থান নিয়ে আসিফ নজরুলের কাছে জানতে চান উপস্থাপক। জবাবে তিনি বলেন, এরশাদের আমলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশনকে আমরা নিন্দা করতাম। তার চেয়ে খারাপ অবস্থা সৃষ্টি করা হয়েছে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ আমলে। অবস্থা এমন হয়েছে যে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মানে ক্ষমতাসীন দলের দাসে পরিণত হয়েছে। অন্যায়ের প্রতিবাদ করা শিক্ষকের সংখ্যা কমে যাচ্ছে উল্লেখ করে আসিফ নজরুল বলেন, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে যে অন্যায় হচ্ছে, এটার বিরুদ্ধে যারা দাঁড়িয়েছেন তারা সেই শিক্ষকরাই যারা বিএনপির আমলেও অন্যায়ের প্রতিবাদে রুখে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই সংখাটা দিনকে দিন কমে যাচ্ছে।
সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হচ্ছে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের আইন বিভাগের এই শিক্ষক। বলেন, কোটাব্যবস্থায় মুক্তিযোদ্ধা কোটা সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিবান্ধব। যার সবচেয়ে বড় প্রমাণ হচ্ছে, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের যে সচিব তিনি ছিলেন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা।
সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং একটি অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন, ‘সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটায় হস্তক্ষেপ করা হবে না। মুক্তিযোদ্ধাদের যে কোটা তাতে হাইকোর্টের রায় রয়েছে।’ এই বক্তব্যের সমালোচনা করে আসিফ নজরুল বলেন, আপনারা বলছেন ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটায় হস্তক্ষেপ করবেন না। আপনারা ঢালাওভাবে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারগুলোকে অনগ্রসর গোষ্ঠী বলছেন, এটা আপনারা বলতে পারেন না। কারণ খোঁজ নিয়ে দেখেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটার সব পরিবার কিন্তু অনগ্রসর নয়। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কাছে প্রশ্ন রেখে আসিফ নজরুল বলেন, বঙ্গবন্ধুর আমলে মুক্তিযোদ্ধা ছিল ৬০ হাজার থেকে ৭০ হাজারের মতো। এই সরকারের আমলে সেটা বেড়ে হয়েছে আড়াই লাখ। এটা কী করে সম্ভব? তিনি কোটা সম্পর্কে হাইকোট ও আপিল বিভাগের রায়ে পড়ে শুনিয়ে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের কোটা সংস্কার করা যাবে না রায়ে কোথাও তা বলা হয়নি। বরং বলা হয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের ছেলেমেয়েরা শুধু কোটা সুবিধা পাবে। প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, হাইকোটের রায় অমান্য হবে অজুহাতে ৩০ শতাংশ কোটা সংস্কার করছেন না কিন্তু আপনি তো মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনির জন্য কোটা রেখে হাইকোটের রায় অমান্য করছেন?
অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধার কোটার তালিকা অনুযায়ী আড়াই লাখ পরিবারের প্রতি পরিবারে পাঁচজন করে ধরলেও লোক হয় ১০ লাখ। ২০ কোটি লোকের দেশে ১০ লাখ লোক মানে আধা শতাংশ। এই আধা শতাংশ মানুষের জন্য আপনি ৩০ শতাংশ কোটা রাখবেন? আধা শতাংশের জন্য আপনি ৫ শতাংশ কোটা রাখতে পারেন? ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।