পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে গতকাল ক্যাম্পাসে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে। দুপুরে ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সামনে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তানজীম উদ্দিন খানসহ অন্যান্য শিক্ষকদের লাঞ্ছনার প্রতিবাদ ও লাঞ্ছনাকারীদের শাস্তির দাবিতে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনকারীদের হাতে ছিল বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড। তাতে লেখা ছিল- শিক্ষকের মর্যাদা আজ কোথায়, এবার তোরা ছাত্র হ, শিক্ষক আজ লাঞ্ছিত কেন, আমার ক্যাম্পাস কার দখলে, মূল্যবোধ আজ কোথায়, ইত্যাদি।
সহযোগি অধ্যাপক ড. মোঃ আবদুল মান্নান বলেন, গতকাল শহীদ মিনারে যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। যারা শিক্ষকদের আঙ্গুল তুলে শাসায় তারা মানুষ নয়। এ জন্য বলি, ‘আবার তোরা মানুষ হ’।
প্রভাষক মোহাম্মাদ আলী সিদ্দিকী বলেন, শিক্ষকদের ওপর আঙ্গুল তুলেছে সরকার দলীয় একটি বিশেষ সংগঠন। তারা ছাত্র কিনা বা তারা তাদের সংগঠনের নীতি-আদর্শ মানে কিনা তা আমার জানা নেই। আর যারা শিক্ষকদের ওপর আঙ্গুল তুলেছে তারা যে গর্হিত কাজ করেছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তারা ছাত্র নামের কলঙ্ক। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
বিভাগের শিক্ষার্থী সৌমি বলেন, তানজীম স্যার আমাদের কাছে বাবার মতো। একটি ন্যায্য দাবিতে দাঁড়ানোর কারণে তাকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। শুধু তার ওপরে নয়; অন্যান্য যেসব শিক্ষকরা ছিলেন তারাও লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন। তাদের ওপর আঙ্গুল তোলার সাহস ছাত্রলীগ কোথায় থেকে পায়? এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে সেজন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাই।
সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি মধুর ক্যান্টিন হয়ে ডাকসু, কলাভবন, অপরাজেয় বাংলা প্রদক্ষিণ করে আবার সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
মিছিলের পেছনে ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক দিদার মোহাম্মদ নিজামুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক সাইফ বাবুর নেতৃত্বে প্রায় ১০-১২জন নেতাকর্মীকে যেতে দেখা যায়। মিছিলের পেছনে পেছনে কেন জানতে চাইলে প্রচার সম্পাদক সাইফ বাবু বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের। আমরা তাদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য এখানে এসেছি।
মানববন্ধনে বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আবদুল মান্নান, সহকারী অধ্যাপক সায়েমা আহমেদ, সহকারী অধ্যাপক শেখ সামস মোরসালিন, প্রভাষক মোহাম্মাদ আলী সিদ্দিকী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।