Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সাঙ্গু-তিস্তায় বিলীন শত শত বাড়িঘর

সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৩ জুলাই, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

টানা বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘঠেছে। একই সাথে স্রোতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এতে সাঙ্গু নদী তীরের আমিলইষ ইউনিয়নের ফকির পাড়ার শত শত পরিবার বাড়ীঘর ও ফসলি জমি হারিয়ে বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। এসব মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে সৃষ্ট চলতি মৌসুমের বন্যায় সাতকানিয়ার নিম্নাঞ্চল কয়েক দফায় প্লাবিত হয়েছে। সাঙ্গু ও ডলু খালের পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। বেড়ী বাধের ভাঙ্গনে নদী তীরবর্তীর শতাধিক কাঁচা পাঁকা বসতঘর, মসজিদ, স্কুল সহ অসংখ্য স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। টানা বর্ষণে উপজেলার ১৭ ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার অবকাটামোর ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। টানা বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে সৃষ্ট বন্যায় অবকাটামো খাতে প্রায় ৮০-৯০ লক্ষ টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মোঃ কামরুল হোসেন। গত ২ জুলাই মধ্যরাত থেকে টানা বর্ষণে সৃষ্ট বন্যায় আমিলাইশ ইউনিয়নের ফকির পাড়ায় সাঙ্গু নদীর ভাঙ্গনে শত শত বাড়ীঘর ও ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ছদাহা, কেওচিয়া, নলুয়া, বাজালিয়া, পুরানগড়, পশ্চিম ঢেমশা, পৌরসভা সহ রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সর জমিনে দেখা যায় আমিলাইষের ফকির পাড়ার মানুষ সাঙ্গু নদীর ভাঙ্গনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তারা পরিবার পরিজন নিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিলেও বসতবাড়ী নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। স্থানীয় বাসিন্দা রমজান আলী জানান বছর তিনেক আগে গ্রামটিতে ১০ হাজার মানুষের বসবাস। সন্তানদের শিক্ষার জন্য স্কুল ছিল। নামাজ পড়ার জন্য মসজিদ ছিল। কিন্তু এখন সেটি সাঙ্গু নদীর অভিশাপে নির্জীব। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন শুষ্ক মৌসুমে পানি উন্নয়ন বোর্ড নদী ভাঙ্গন রোধে বড় ধরনের কোন পদক্ষেপ নেয় না। আমারদের যা ক্ষতি হওয়ার তা হয়ে গেছে। যে ভাবে নদী ভাঙ্গছে তাতে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আমিলাইষের ফকির পাড়া সহ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। এব্যাপারে সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোবারেক হোসেন জানান এবিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে, তারা উয়ার্ক অর্ডার তৈরী করেছে। শিগরই ভাঙ্গন রোধে কাজ শুরু হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বন্যা

১৫ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ