Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কয়রায় পাউবোর ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ

কয়রা (খুলনা) থেকে মোস্তফা শফিক | প্রকাশের সময় : ৮ জুলাই, ২০১৮, ১২:০২ এএম | আপডেট : ৯:০৭ পিএম, ৭ জুলাই, ২০১৮

খুলনার উপকূলীয় জনপদ কয়রা উপজেলার পাউবোর ১৩-১৪/১ ও ১৩-১৪/২ পোল্ডারের বেড়িবাঁধে ২১ টি স্থানে ভয়াবহ ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে অধিকাংশ বেড়িবাঁধে ফাটল ধরে নদী ভাঙন বৃদ্ধি পেয়েছে। ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারন করার এ সকল এলাকার জন সাধারণ রয়েছে সব সময় আতংকে। তা ছাড়া নদীতে স্রোত বাড়ায় ভাঙন দিন দিন তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের জোড়শিং, আংটিহারা, গোলখালি, চরামুখা, মেদেরচর, বিনাপানি, উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের গাববুনিয়া, হরিহরপুর, গাজীপাড়া, কাশিরহাট, হাজতখালি রত্মারঘেরি, কয়রা সদর ইউনিয়নের গোবরা, ঘাটাখালি, হরিণখোলা, মদিনাবাদ লঞ্চঘাট, কাছারিবাড়ি, ৬নং কয়রা, ৪নং কয়রা লঞ্চঘাট, মহারাজপুর ইউনিয়নের দশালিয়া, মঠবাড়ি, লোকা, গোবিন্দপুর, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের কালিবাড়ি, নয়ানি, সরদারঘাট, কাঠালতলা নামক স্থানের বেড়িবাঁধ কপোতাক্ষ ও শাকবাড়িয়া নদীর প্রবল ভাঙনে মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। গত কয়েক দিনের প্রবল বর্ষনে এ সকল বেড়িবাঁধের অবস্থা আরো নাজুক আকার ধারণ করেছে।
সম্প্রতি জোড়শিং বাজার সংলগ্ন বেড়িবাঁধের ২ শ ফুট বাঁধ কয়েকদিন আগে শাকবাড়িয়া নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। স্থানীয় প্রধান শিক্ষক মশিউর রহমান মিলন, অভিযোগ করে বলেন, অনেক চেষ্টার পর জোড়শিং বেড়িবাঁধ রক্ষায় ঠিকাদার নিযুক্ত হলেও এখনো পর্যন্ত ঠিকাদার কাজ শুরু না করায় জনমনে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। বাঁধ রক্ষায় দ্রæত পদক্ষেপ নিতে তিনি পাউবো কর্মকর্তাদের নিকট জোর দাবি জানিয়েছে। উত্তর বেদকাশির গাববুনি বেড়িবাঁধের বেশ কিছু অংশ দফায় দফায় ভেঙে শাকবাড়িয়া নদীগর্ভে বিলীন হয়ে বেড়িবাঁধ চিকন হয়ে গেছে। ফলে কয়রা সদরের সাথে দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নে চলাচলের একমাত্র রাস্তাটির অস্তিত্ব নেই বললে চলে। এখানকার মানুষেরা চলাচলের জন্য বর্তমান ইঞ্জিনচালিত ট্রলার ব্যবহার করছে। কাশিরহাট বেড়িবাঁধ কপোতাক্ষ নদের প্রবল ভাঙনে বিলীন হয়ে কার্পেটিংসহ প্রায় ২ শ ফুট রাস্তার সিংহভাগ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। উত্তর বেদকাশি ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি বলেন, জরুরি ভিত্তিতে গাববুনি ও কাশিরহাট বেড়িবাঁধ মেরামত করা না হলে যে কোন মুহুর্তে বাঁধ ভেঙে মারাত্মক বিপর্যয় ঘটতে পারে। এ ছাড়া কয়রা সদরের গোবরা ¯øুইজ গেট সংলগ্ন বেড়িবাঁধে কয়েকদিন আগে ফাটল সৃষ্টি হওয়ায় সেখানকার বাঁধের অবস্থা নাজুক আকার ধারন করেছে। কয়রা সদর ইউপি চেয়ারম্যান এসএম শফিকুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গোবরা, ঘাটাখালি, হরিনখোলা, মদিনাবাদ লঞ্চঘাটসহ এখানকার ৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের বিষয়টি বারবার জানানো সত্বেও তারা কার্যকরী কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। বর্ষা মৌসুমে এ সকল বেড়িবাধ সংস্কার করা না হলে প্লাবিত হওয়ার আশংকা রয়েছে।
এ ব্যাপারে পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী অপূর্ব কুমার ভৌমিক বলেন, কয়রার দুটি পোল্ডারের বেড়িবাঁধে বেশ কিছু পয়েন্টে নুতন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে। কয়েকটি স্থানে ঠিকাদার কাজ শুরু করেছে। বাকি ঝুকিপুর্ন বেড়িবাধ মেরামতের জন্য বরাদ্দ চেয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিমুল কুমার সাহা বলেন,কয়রার প্রধান সমস্যা বেড়িবাঁধ ভাঙন। ভাঙনরোধে জরুরি ভিত্তিতে কার্যকরি ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষকে জানানো হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাঁধ

৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২
২৭ এপ্রিল, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ