Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বরগুনায় বিএডিসির বীজ সরবরাহ অফিস নেই

আমন বীজের অভাবে কৃষকরা দিশেহারা

বরগুনা থেকে স্টাফ রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ৪ জুলাই, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

বরগুনায় আমন বীজের অভাব দেখা দেয়ায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। বিএডিসির বীজধান পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় কৃষকরা অনিশ্চয়তার মধ্যে বেশি দামে বিভিন্ন কোম্পানীর নিম্নমানের বীজ কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।
কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বরগুনার আবহাওয়া এবং পরিবেশের সাথে সঙ্গতি রেখে বিএডিসির সরবরাহকৃত বিআর-২৩ ধানটির ফলন ভালো হওয়ায় ওই ধানটির প্রতি তাদের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। বরগুনা সদরে বিএডিসির দুই ডিলারÑ সততা বীজ ভাÐারের মালিক মো. আসলাম হোসেন ও ইসলামিয়া বীজ ভাÐারের মালিক আবু ছালেহ জাফর জানান, বরগুনা সদরে বিআর-২৩ ধান বীজের চাহিদা কমপক্ষে ৬০ থেকে ৭০ মেট্রিক টনেরও বেশি। সেখানে বিএডিসি দুইজন ডিলারকে বিআর-২৩ বীজ ধান সরবরাহ করেছে মাত্র সারে তিন মে. টন। এ ছাড়া বিনা-৭, বিআর-১১, ২২, ৩৯, ৪৯, বিরি-৫২, ধান জোরপূর্বক দু’জনকে প্রায় চার মে.টন সরবরাহ করেছে। যা বরগুনার কৃষকরা কিনতে চায় না। এগুলোর অধিকাংশই আমাদের স্টোরে পড়ে থাকে। ফলে আমাদের লোকসান গুণতে হয়। বাওয়ালকর গ্রামের কৃষক সানুমিয়া এ প্রতিনিধিকে বলেন, বিগত বছরগুলোতে বিভিন্ন কোম্পানির বিআর-২৩ বীজ কিনে আবাদ করে আশানুরূপ ফলন পাইনি। তাই বিএডিসির বীজের জন্য বাজারে এসেছি। কিন্তু তা পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে গত কয়েকদিন পর্যন্ত বিএডিসির বিআর-২৩ বীজের জন্য কৃষকদের মধ্যে হাহাকার দেখা দিয়েছে। এ সময় বীজ না পেলে আমন চাষ ব্যাহত হবে। ধান বীজের সঙ্কটের খবর পেয়ে বরগুনার পুলিশ সুপার বিজয় বসাক, পুলিশ সদস্য এবং সাংবাদিকদের নিয়ে বাজার পরিদর্শনে নামেন। তারা ডিলারের সাথে আলাপ করে বাজারের বাস্তবতা জানেন। এ সময়ে জিজ্ঞাসাবাদে ইসলামিয়া বীজ ভাÐারের মালিক ডিলার আবু ছালে জাফর বলেন, চাহিদার তুলনায় কম বীজ পাওয়ায় সরকার নির্ধারিত মূল্যে অনেক আগেই তা বিক্রি হয়ে গেছে। সততা বীজ ভাÐারের মালিক ডিলার মো. আসলাম হোসেন বলেন, তার স্টকে ২০ বস্তা বিআর-২৩ বীজ আছে। পুলিশ সুপার ও সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে তাৎক্ষণিক তা সরকার নির্ধারিত মূল্যে কৃষকদের মধ্যে বিক্রি করা হয়। ডিলার মো. আসলাম হোসেন বলেন, বরগুনাতে বিএডিসির বীজ সরবরাহের কোনো অফিস না থাকায় পটুয়াখালীর অফিস থেকে যা বরাদ্দ দেয় তাই আমাদের নিয়ে আসতে হয়। বরগুনার কৃষকদের দাবি, বিএডিসির বীজ সরবরাহের অফিস বরগুনাতে স্থানান্তর করা হোক এবং খুব শিঘ্রই বিআর-২৩ বীজ আরো বরাদ্দ দেয়া হোক। অন্যথায় বরগুনায় আমন চাষ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে। এ ব্যাপারে পটুয়াখালী বিএডিসি কর্মকর্তাদের সাথে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বীজ

২৮ জুন, ২০১৯
১৩ নভেম্বর, ২০১৬

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ