রাউজানে আবারো ভয়াবহ বন্যায় ডুবে গেল গ্রাম থেকে গ্রাম।রাস্তাঘাটে হাটু-কোমর পানির কারনে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। দুর্ভোগে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ।সরেজমিন দেখা গেছে রাউজানের বিভিন্ন গ্রাম পানির নিছে ডুবে রয়েছে। মঙ্গলবার বৃষ্টির কবলে পড়ে নোয়াজিষপুরে সিমেন্ট ভোজাই ট্রাক উল্টে জমিনে পড়ে গেছে।সে ট্রাকটিতে ২৫০ বস্তা সিমেন্ট রয়েছে বলে জানাগেছে।এদিকে সোমবার সন্দ্যা হতে মঙ্গলবার সারাদিন পর্যন্ত অভিরাম বৃষ্টির কারনে সর্ত,ডাবুয়া,কাসখালী খালের পানি বৃদ্বি পাওয়ায় হলদিয়া,ডাবুয়া,চিকদাইর,নোয়াজিষপুর,গহিরা,বিনাজুরি,রাউজান পৌর এলাকার সুলতানপুর,কুন্ডেশ্বরী,জলীল নগর,শাহনগর,ছিটিয়াপাড়া,দায়রা ঘাটা,জানালীহাট,মুন্সিরঘাটা,বেরুলিয়া,ছত্তরপাড়া,দারোগা বাড়ী,গুরামিয়া মুন্সির বাড়ী,হাজীপাড়া,রাউজান সদর সহ বিভিন্ন এলাকা পানির নিছে তলিয়ে গেছে।এলাকার বহু বাড়িঘর পানির নিছে নিমজ্জিত।জানাগেছে, গত ১২ জুনের প্রবল বন্যায় ভেঙ্গে যাওয়া সর্তা ও ডাবুয়ার ভাঙ্গা বেড়িবাঁধ দিয়ে পুনরায় খালের পানি দ্রুত এলাকায় ডুকে পড়ায় বিভিন্ন বাড়ী গ্রাম নতুনভাবে প্লাবিত হয়ে পড়ে।বিশেষ করে হলদিয়া ও ডাবুয়ায় সর্তা ও ডাবুয়া খালের পানি ডুকে পড়ায় বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন ও গ্রাম ডুবে গেছে।পশ্চিম ডাবুয়া এলাকায় ভয়াবহ চিত্র দেখা গেছে।জেকেরিয়া চৌধুরী বাড়ীর ভাঙ্গা সর্তাখালের বাঁধ দিয়ে তীব্র স্রোতে পানি ডুকে পড়ায় সমগ্র এলাকায় পানি আর পানি।অনেকের বাড়ীঘর পানিতে ডুবে গিয়েছে।অনেকেই পানির কারনে একে অপরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারছেননা।শুধু পানি আর পানি।চট্টগ্রাম রাঙ্গামাটি সড়কের রাউজান জানালীহাট,দায়রাঘাটা,বেরুলীয়া,ফায়ারব্রিগেড,মুন্সিরঘাটা,জলীল নগর এলাকায় কোমর সমান পানিতে তলিয়ে গেছে।ফায়ার ব্রিগেড এলাকায় একটি বড় কার্গোট্রাক রাস্তার পাশে দেবে গেছে।রাঙ্গামাটি সড়কের বিভিন্ন অংশে ছোট যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।এছাড়া রাউজান বজলুর রহমান সড়ক,মৌলানা দোস্ত মোহাম্মদ সড়ক,নোয়াপাড়া শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বেবী সড়ক,অদুদিয়া সড়ক সহ বিভিন্ন সংযোগ সড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে।রাউজানের মাননীয় সাংসদ এবি এম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি নিজের ব্যবহৃত গাড়ি বাদ দিয়ে একটি পরিবহন জিপে চড়ে বিভিন্ন বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।