প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
জাতীয় সংসদে প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য সংরক্ষিত আসন রাখা যায় কিনা, তা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যেতে পারে। এবারের বাজেটে পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য সুনির্দিষ্ট বাজেট রাখা হয়েছে। তার মধ্যে প্রতিবন্ধী মানুষসহ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, বয়স্ক, বিধবাদের ভাতার অর্থ এবং আওতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। সুস্থ রাজনীতি চর্চার মাধ্যমে আমরা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীসহ সকল মানুষের কল্যাণে কাজ করছি। গত শনিবার বিকালে এফডিসিতে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ‘প্রতিবন্ধীদের অধিকার নিশ্চিত করণে বাজেট বরাদ্দ ও সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব’ নিয়ে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে এক ছায়া সংসদে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। প্রতিযোগিতার আয়োজক সংগঠন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশ যদি প্রতিবন্ধী হয় তাহলে এই বিশাল জনশক্তিকে আমরা যদি কাজে না লাগাতে পারি তাহলে আমাদের জিডিপি ৩ থেকে ৭ শতাংশ ক্ষতি হতে পারে। প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে কোথায় কোথায় কাজে লাগানো যায় সেভাবে সরকারি-বেসরকারি তেমন কোনো গবেষণা নেই। পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত করে তাদের অধিকার নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ কর্মসূচীর মাধ্যমে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগকারীদের এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, প্রতি বছর আমরা যেভাবে সর্বোচ্চ কর দাতাকে সম্মানিত করি ঠিক সেভাবে যেসব প্রতিষ্ঠান প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কর্মসংস্থান করছে তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি প্রদান করা যেতে পারে। তাহলে আরো অনেক প্রতিষ্ঠান প্রতিবন্ধী কর্মী নিয়োগে এগিয়ে আসবে। অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে ঢাকা শহরে শতকরা ৩০% প্রতিবন্ধী ভিক্ষুককে তাদের পরিবার জোর করে ভিক্ষাবৃত্তি করাচ্ছে। যার পুরো অর্থই পরিবারের অন্য সদস্যরা নিয়ে নেয়। তারা তাদের পরিবারের প্রতিবন্ধী সদস্যকে গাভীর মত অর্থ উৎপাদক যন্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে আসছে বলে জনাব কিরণ উল্লেখ করেন। প্রতিযোগিতায় ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। বিচারক ছিলেন লেখক আতিকুর রহমান, অধ্যাপক আবু মোঃ রইস, সাংবাদিক মাঈনুল আলম ও টেকসই উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ মোস্তাফিজুর রহমান খান। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী বিতার্কিকদের মাঝে ক্রেষ্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।