রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
পিরোজপুরের নেছারাবাদে জোয়ারের তীব্র ¯্রােত আর বর্ষায় সন্ধ্যানদীতে ফের তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। নদীর অব্যাহত তীব্র ভাঙ্গনে বিলীন হচ্ছে নদী সংলগ্ন বিভিন্ন গ্রামের বসতঘর,বাগানবাড়ি,ফসলীজমিসহ বিস্তীর্ন জনপদ। গত শুক্রবার বিকেলে সন্ধ্যানদীর ভাঙ্গনে উপজেলার কৌরিখাড়া লঞ্চঘাট সংলগ্ন এলাকার মো. নুরুল হক, মো.মোস্তাহার মিয়া ও দুলাল মিয়ার বসতঘর, হুমাউন ও মিলনের দোকানঘরসহ প্রায় ২০ শতাংশ বাগানবাড়ি নদী গর্ভে হারিয়ে গেছে। দক্ষিন কৌরিখাড়া লঞ্চঘাটের জেটির পিছনের সড়কও নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে। কাঠের তক্তার উপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীদের পন্টুনে উঠানামা করতে হয়। লঞ্চঘাটের সুপারভাইজার মো. সিদ্দিকুর রহমান জানান,সন্ধ্যানদীর ভাংগন থেকে রক্ষার্থে এ যাবত তিনবার দ. কৌরিখাড়া লঞ্চঘাটটি স্থান্তান্তর করেও যেন শেষ রক্ষা হচ্ছে না। কয়েক মাস পুর্বে একই এলকার মো. শহীদুল ইসলাম, মো. সেলিম হোসেন ও মো. আলমগীর হোসেনের বসতঘরসহ বাগানবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ভাঙ্গন সংলগ্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে ছোট বড় অনেক ফাটল । সন্ধ্যানদীর পশ্চিম তীরের দক্ষিন কৌরিখাড়া,পুর্ব সোহাগদল ,গনমান গ্রামের নদী ভাঙ্গন ভয়াবহ রূপ ধারন করেছে। একে একে সন্ধ্যার অতল গহŸরে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বসত ঘর, বাগানবাড়িসহ ফসলী জমি। নদী ভাঙ্গনে সর্বস্ব হারিয়ে ছিন্ন মূলে পরিনত হয়েছে অনেক পরিবার। বছর দেড়েক আগে গনমান গ্রামের মো. মজিবুর রহমান, মো. আবুল কালাম ,মো. আসলাম হোসেন, মো. কবির হোসেন, মো. মিজানুর রহমান, মো.ফজলুল হক, মো. আলমগীর হোসেন ও সোহেলের বসত ঘর সহ প্রায় ১০ একর বাগানবাড়ি সন্ধ্যার অতল গর্ভে তলিয়ে গেছে । সন্ধ্যা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে ইতিমধ্যে দক্ষিন কৌরিখাড়া ও গনমান গ্রামটি প্রায় দুই তৃতীয়াংশ বিলীন হয়ে গেছে। ভিটে মাটি হারিয়ে অনেক পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছে। ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় অনেক পরিবার এখনও তাদের শেষ আশ্রয় স্থল বসত ভিটায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে। স্বরূপকাঠি Ñ পিরোজপুর সড়কের কামারকাঠি নামক স্থানে নদী ভাংগনের ফলে চরম ঝুঁকির মধ্যে যানবাহন চলাচল করছে।ভভাভাভাপ্রায় পপপ প্রায় ৩০ বছর যাবৎ সন্ধ্যা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনের ফলে ইতোমধ্যে উপজেলার, উত্তর কৌরিখাড়া, দক্ষিন কৌরিখাড়া, ছারছীনা, শান্তিহার, কুনিয়ারী জলাবাড়ী, পুর্ব সোহাগদল, গনমান, মুনিনাগ, ,কামারকাঠি, ব্যাসকাঠি, সেহাংগল এলাকার অনেকের বসত ভিটে ,হাজার হাজার একর ফসলী জমি সহ বিস্তীর্ন জনপদ সর্বনাশা সন্ধ্যা গ্রাস করে নিয়েছে। এদিকে কৌরিখাড়া বিসিক শিল্প নগরী, কৌরিখাড়া ডাকঘরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সন্ধ্যানদীর ভাঙ্গনের হুমকির সম্মুখীন। বিগত দিনে উত্তর কৌরিখাড়া ও দক্ষিন কৌড়িখাড়া ভাঙ্গন কবলিত খেয়াঘাট সংলগ্ন কিছু এলাকায় বøক ও জিও টেক্স ব্যাগে বালু ভর্তি করে ফেলে সাময়িক ভাঙ্গন রোধ হলেও দক্ষিন দিকের দ.কৌরিখাড়া,পুর্ব সোহাগদল ও গনমান গ্রামের ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে। এলাকাবাসি ও ভুক্তভোগীরা ভাঙ্গন রোধে দ্রæত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।