পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি আর মুদ্রার দর পতনের প্রতিবাদে তেহরানের সবচেয়ে বড় গ্রান্ড বাজার বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ করছেন ব্যবসায়ীরা। দোকানপাট বন্ধ করে দিয়ে সোমবার রাজপথে হাজার হাজার মানুষের প্রতিবাদে অংশ নেন তারা। পার্লামেন্ট অভিমুখে যাত্রা শুরু করলে বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ার গ্যাস ছুঁড়েছে দাঙ্গা পুলিশ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি লিখেছে, পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার জেরে বিপর্যস্ত অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ২০১২ সালের পর সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ প্রত্যক্ষ করেছে তেহরান। বিক্ষোভকারীরা চূড়ান্তভাবে সরকার পরিবর্তন এবং পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে বিশ্বশক্তির সঙ্গে বাস্তব সম্মত আলোচনায় ইরানের সম্মতি চাইছেন। ২০১৫ সালে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তির আওতায় ২০১৬ সালে দেশটির ওপর থেকে আন্তর্জাতিক অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। গত মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওই চুক্তি থেকে বেরিয়ে গিয়ে অবরোধ বহালের ঘোষণা দেন। আগামী আগস্টে এই নিষেধাজ্ঞা বহাল ও পারমাণবিক চুক্তি ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কায় ডলারের বিপরীতে পড়তে শুরু করে ইরানের মুদ্রা রিয়ালের দাম। বেসরকারি বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে এক ডলারের দাম পৌঁছেছে ৯০ হাজার রিয়ালে। ২০১৭ সালের শেষ নাগাদ ৪২ হাজার ৮৯০ থেকে ট্রাম্পের ঘোষণার আগে এই দাম ছিল ৬৫ হাজার রিয়াল। রিয়ালের দাম কমায় রবিবার ধর্মঘটের ডাক দেন মোবাইল বাজার হিসেবে পরিচিত তেহরানের দুটি শপিং মলের ব্যবসায়ীরা। দেশটির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ আজারি-জাহরমি জানিয়েছেন, সরকারের তরফ থেকে আমদানির ক্ষেত্রে প্রণোদনা (হার্ড কারেন্সি) দেওয়ার ঘোষণা দিলে ব্যবসায়ীরা কাজে যোগ দিয়েছেন। রিয়ালের দাম কমানো ঠেকাতে গত এপ্রিলে সরকারি ও বেসরকারি মুদ্রা বাজারের মূল্য এক করে দেয় ইরানি কর্তৃপক্ষ। ডলারের দাম ৪২ হাজার ডলার নির্ধারণ করে অন্য কোনও দামে বিনিময় নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, কর্তৃপক্ষ তখন থেকে মুদ্রার চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হয়েছেন। এছাড়া অর্থনৈতিক সংকটের কারণে গত বছরের ডিসেম্বর এবং এই বছরের জানুয়ারিতে বড় ধরণের সরকারবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে। ওই সময় অন্য শহরগুলোতে তেহরানের চেয়ে বড় বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।