বাড়িতেই ফাইনাল দেখবেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট কাতারে
বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচ দেখতে কাতারে যাচ্ছেন না আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ। তিনি জানান, আজ
স্পেন ১ : ০ ইরান
স্পোর্টস ডেস্ক : ম্যাচের আগে দেয়া জাভি হার্নান্দেসের পূর্ববাণীই সত্যি হলো। ইরানের রক্ষণের বিপক্ষে কঠিন পরীক্ষা দিতে হল স্পেনকে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য পরীক্ষায় ১-০ গোলে পাশ করেছে ২০১০ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ডিয়াগো কস্তার সেই গোলটাও ছিল ভাগ্যপ্রসূত।
‘বি’ গ্রæপে আগের ম্যাচে মরোক্কোকে একই ব্যবধানে হারায় পর্তুগাল। স্পেন ও পর্তুগালের মধ্যকার প্রথম ম্যাচ ৩-৩ ড্র হওয়ায় দুই দলের সংগ্রহ সমান ৪ পয়েন্ট করে। প্রথম ম্যাচে মরোক্কোকে হারিয়ে ইরানও ৩ পয়েন্ট নিয়ে শেষ শোষর সম্ভবনা জাগিয়ে রেখেছে। গ্রæপ পর্বের শেষ ম্যাচে স্পেনের প্রতিপক্ষ মরোক্কো; ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পর্তুগাল লড়বে ইরানের বিপক্ষে।
পরশু কাজানে প্রথমার্ধে ৮১ শতাংশ সময় বলের দখল রেখেও ইরানের রক্ষণকে টলাতে পারেনি স্প্যানিশরা। দ্বিতীয়ার্ধের নবম মিনিটে আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার দারুণ পাস খুঁজে নেয় কস্তাকে। ঘুরে শট নেয়ার আগেই বল বিপদমুক্ত করার চেষ্টা করেন মজিদ হোসেইনি। কিন্তু তার শট কস্তার পায়ে লেগে জালে আশ্রয় নেয়। আসরে কস্তার এটি তৃতীয় গোল। এর কিছুক্ষন পর গোল পেয়ে যায় ইরানও; কিছুসময় গোলের উৎসবও চলে। কিন্তু ভিআরএ প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে অফ সাইডের কারণে গোল বাতিল করে রেফারি।
পুরো ম্যাচে পূর্ণ কোন সুযোগ তৈরী করতে পারেনি স্পেন। অথচ বলের দখল নিয়ে তারা চালায় একের পর এক আক্রমণ। গোলরক্ষক ডেভিড ডি হেয়া বাদে বাকি খেলোয়াড়দের ইরানের অর্ধেই কাটে বেশিরভাগ সময়। মাঝমাঠেই নিজেদের রক্ষণ সামলেছেন চোট কাটিয়ে ফেরা দানি কারবাহাল ও জেরার্ড পিকে। দুই উইং ও মাঝমাঠ দিয়ে পাসের পর পাসের পসরা সাজিয়েও সুবিধা করতে পারেননি ইনিয়েস্তা, ইস্কো, সিলভা, বুসকেতস ভাজকেজরা। ফিফটি ফিফটি সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারেলে অবশ্য ব্যবধান বাড়তে পারত। পক্ষান্তরে গত ১৪ বিশ্বকাপ ম্যাচে এবারই প্রথম গোল পোস্টে একটা শটও নিতে পারেনি ইরান। বিশ্বকাপে ইউরোপিয়ান দলের বিপক্ষে জয় তাই অধরাই থেকে যায় এশিয়ার দলটির, একটিতে ড্র, বাকি ছয়টিতে পরাজয়।
কস্তা রক্ষণ ভাঙ্গার আগে বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব মিলে টানা ১ হাজার ১২১ মিনিট নিজেদের জাল অক্ষত রেখার রেকর্ড গড়ে ইরান। বিশ্বকা শুরু হওয়ার মাত্র দুই দিন আগে স্পেনের দায়ীত্ব নেয়া ফার্নান্ডো হিয়েরোও জানতেন কাজটা কঠিন হতে যাচ্ছে, ‘তিন পয়েন্ট পাওয়া ছাড়া আমরা আর কি-ই বা বলতে পারি। আমরা জানতাম ম্যাচটা কঠিন হতে চলেছে, অবশ্যই জানতাম; কিন্তু এটা ছিল খুবই জটিল একটা ম্যাচ।’ এজন্য ইরানকে কৃতিত্ব দিয়ে ৫০ বছর বয়সী বলেন, ‘ইরান খুবই শক্ত দল এবং তাদের বিপক্ষে গোল করা খুব কঠিন। আমরা জানতামও এটা কঠিন হবে। তবে এবারো আমার ছেলেরা তাদের সবটুকু দিয়েছে।’
প্রতিপক্ষকে আটকে রেখেই খুশি ইরান বস কার্লোস কুয়েরোজ, ‘আমরা দেখিয়েছি আমরা লড়তে ও প্রতিযোগিতা করতে প্রস্তুত।’ স্পেনকে কৃতিত্ব দিতেও ভোলেননি তিনি, ‘কোন সন্দেহ নেই স্পেন ভালো খেলেছে, স্টাইলিশ ফুটবল যাকে বলে। তবে আমরা যা করেছি তার জন্য আরো বেশি কিছু আমাদের প্রাপ্য ছিল।’ এটাকে ‘ম্যাচ অব দ্য ইউনিভার্স’ বলে আখ্যা দেন কুয়েরোজ।
আর একটি জয় নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মত বিশ্বকাপের শেষ ষোলয় তুলে দেবে ইরানকে। ড্রও যথেষ্ঠ হতে পারে যদি মরোক্কোর কাছে স্পেন হেরে যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।