বাড়িতেই ফাইনাল দেখবেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট কাতারে
বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচ দেখতে কাতারে যাচ্ছেন না আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ। তিনি জানান, আজ
আসন্ন সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত ও উলামা মাশায়েখ সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থী সংগঠনের কেন্দ্রীয় সদস্য ও প্রফেসর ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন খান গাজিপুর-খুলনার মত সিলেটে যদি ভোট কারচুপি হয়ে তাহলে আমার নির্বাচন বয়কট করার হুংকার দিয়েছেন । তিনি গতকাল সিলেটে নিজের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষনাকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, এখন পর্যন্ত সুষ্ঠ পরিবেশ দেখা যাচ্ছে, তবে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাসা-বাড়িতে পুলিশী তল্লাশি চলছে। হাই কোর্ট নিদের্শ থাকার পরও পুলিশের হয়রানির তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান। তিনি বলেন, যদি নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র দখল, জোরপূর্বক ভোট প্রদান, এজেন্ট বের করে দেওয়া হয় তাহলে আমরা নির্বাচন বয়কট করবো।
আজ শুক্রবার সকাল ১১টায় বন্দরবাজার মহাজনপট্টি কাস্টঘরস্থ গাজী বুরহান উদ্দিন মার্কেটের ২য় তলায় প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে নির্বাচনী ২৩ দফা ইশতেহার ঘোষণার করেন তিনি। ইশতেহার ঘোষণাকালে তিনি বলেন আপনারা যদি সুস্থ পরিবেশে বাঁচতে চান, শান্তি-সুখে থাকতে চান, তাহলে এ অশুভ কায়েমী স্বার্থবাদী সিন্ডিকেটকে অবশ্যই ভাংতে হবে। নোংরা রাজনীতির প্রভাব-দৌরাত্ম থেকে সিলেট সিটিকে রক্ষা করতে হবে। জনজীবনে স্বস্তি ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে হবে। সিলেট নগরকে শান্তির নগরীতে পরিণত করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন আমূল পরিবর্তনের। দরকার ব্যাপক সংস্কারের। প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগের। প্রয়োজন সৎ, যোগ্য ও আল্লাহভীরু নেতৃত্বের। শুধু মিথ্যার ফুলঝুরি নয় মেয়র নির্বাচিত হলে ইশতেহারের প্রত্যেকটি দফা শত ভাগ বাস্তবায়ন করা হবে ইনশা আল্লাহ।
ডা. মোয়াজ্জেম ঘোষিত ২৩ দফা ইশতেহার: ১ নগরীতে ন্যায়ের শাসন ও নাগরিক সেবা প্রতিষ্ঠা, ২ স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়ন, ৩ শিক্ষা ব্যবস্থার মানোন্নয়ন, ৪ সুপরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, ৫ জননিরাপত্তা নিশ্চিত করণ, ৬ নগর পরিকল্পনা ও প্রশাসন,৭ সমাজ সেবার পূর্ণ ব্যবস্থা, ৮ প্রযুক্তির সিলেট গঠন, ৯ দূর্নীতি, মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গঠণ, ১০ বৃদ্ধাশ্রম তৈরী ও বয়স্ক ভাতা প্রদান, ১১ বিদ্যুতের সুব্যবস্থা, ১২ ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক উন্নয়ন ও বিনোদন, ১৩ ব্যবসা বান্ধব নগরী গড়ে তোলা, ১৪ নারী ও শিশুদের ন্যায্য অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা, ১৫ সুপরিকল্পিত নগরী গঠন, ১৬ গুনীজন ও নাগরিক সম্মাননা, ১৭ সহজলভ্য ও ভেজালমুক্ত খাদ্য সরবরাহ, ১৮ নিরাপদ সড়ক গঠন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, ১৯ হোল্ডিং ট্যাক্স ও বাড়ি ভাড়া, ২০ পানি ও পয়ঃনিষ্কাষণ ও সুপেয় পানি সরবরাহ, ২১ মসজিদ ভিত্তিক সমাজ গঠন ও সকল ধর্মীয় শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি, ২২ যানজট নিরসন ও পরিবহন ব্যবস্থার উনন্নয়ন, ২৩ সংখ্যালঘু ও অবহেলিত জনগোষ্ঠীর মানোন্নয়ন সহ পূর্ণাঙ্গ ইশতেহার ঘোষণা করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিলেট মহানগর সভাপতি নজির আহমদ, ইসলামী যুব আন্দোলন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) ডা. রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট-৬ আসনে এমপি প্রার্থী মুহাম্মদ আজমল হোসেন, সিলেট-৩ আসনের এমপি প্রার্থী এম.এ. মতিন বাদশাহ, বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি সিলেট জেলার সদর ও সুনামগঞ্জ-১ আসনে এমপি প্রার্থী মুফতি মোঃ ফখর উদ্দীন, নায়েবে সদর হাফিজ মাওলানা আসাদ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আহমদ, ইসলামী যুব আন্দোলন জেলার সভাপতি মাওলানা নজির আহমদ, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন এর কেন্দ্রীয় কওমী মাদরাসা বিষয়ক সম্পাদক ইউসুফ আহমদ মনসুর, ইশা ছাত্র আন্দোলন সিলেট মহানগর সভাপতি মুহাম্মদ শিহাব উদ্দিন, জেলা সভাপতি আবু তাহের মিসবাহ, সহ সভাপতি ফয়জুল হাসান চৌধুরী, নগর সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল আহমদ, জেলা সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুক্তাদির চৌধুরী রাকিব সহ প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।