বাড়িতেই ফাইনাল দেখবেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট কাতারে
বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচ দেখতে কাতারে যাচ্ছেন না আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ। তিনি জানান, আজ
স্পোর্টস ডেস্ক : সুইস-ট্যাকেলে নাজেহাল ব্রাজিল দল। সবচেয়ে বড় আঘাত সইতে হয়েছে দলের সবচেয়ে বড় তারকা নেইমারকে। ব্রাজিল অধিনায়ক একাই ফাউলের শিকার হন দশবার। গত ২০ বছরে বিশ্বকাপের এক ম্যাচে এত বেশি ফাউলের শিকার হননি কোন খেলোয়াড়। ম্যাচ শেষেও খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে মাঠ ছাড়তে দেখা যায় নেইমারকে। পরে জানা গেছে সোমবার দলের সঙ্গে তিনি অনুশীলন করেননি। ঘুরেফিরে তাই একটা প্রশ্ন উঠছেইÑ শুক্রবার কোস্টারিকার বিপক্ষে খেলবেন তো নেইমার?
এমনিতেই হেক্সা মিশনের শুরুটা ভালো হয়নি ব্রাজিলের। সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে এগিয়ে থেকেও ১৯৭৮ সালের পর বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ড্র করে মাঠ ছাড়ে সেলেসাওরা। ম্যাচের আগে দলীয় কোচ তিতে নিজেই বলেছিলেন একশ ভাগ ফিট নন নেইমার। এরপরও তিনি পুরো সময় খেলিয়েছিলেন নেইমারকে। মাঠেও ২৬ বছর বয়সী তারকা চেনা ছন্দে ছিলেন না। এরপর আবার বার বার তাকে সইতে হয় ফাউলের যন্ত্রণা। ম্যাচ শেষে অবশ্য পিএসজি তারকা ভালো আছেন বলে জানিয়েছিলেন দলের ফিজিও। কিন্তু সোমবার জানা গেল ভিন্ন কথা। পায়ের গোড়ালিতে আঘাত পেয়েছেন নেইমার। আঘাতটা সামান্য বলেই জানা গেছে। এ ব্যাপারে অবশ্য দলের ফিজিও কিংবা নেইমার কিছু বলেননি। তবে ডান পায়ের পাতা ফুলে যাওয়া এটা ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন নেইমার। যার ক্যাপশনে লেখা ‘কঠিন পরিশ্রম করছি’। এই পায়ের আঘাতেই তিন মাস মাঠের বাইরে ছিলেন তিনি। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, সোমবার ব্রাজিল পূর্ণমাত্রায় অনশীলন করলেও পাওলিনহো ও থিয়াগো সিলভার সঙ্গে জিমে সময় কাটার নেইমার।
মাত্রাতিরিক্ত ফাউলের শিকার হওয়ার কারণে ঐদিন ম্যাচ শেষে নেইমার প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছিলেন, ‘অন্য সবার মত আমিও স্বাভাবিকভাবে খেলতে চেয়েছি। এসব (অতিরিক্ত ফাউল) দেখার দায়ীত্ব রেফারির। আমি মনে করি ম্যাচে ফাউল করাটা স্বাভাবিক। কিন্তু সেগুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে।’ ম্যাচের নায়ক কুতিনহো তো বলেন আরো বড় শঙ্কার কথা। সেলেসাও মিডফিল্ডারের মতে, ‘হ্যাঁ, সুইজারল্যান্ড আমাদের অনেক বেশি আঘাত করেছে। কিন্তু আমি মনে করি সব ম্যাচেই এমন হবে এবং আমাদের এই নিয়েই থাকতে হবে।’
এদিকে স্প্যানিশ পত্রিকা মার্কা জানিয়েছে, গেল বিশ্বকাপে কলম্বিয়ার বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে পাওয়া মেরুদন্ডের আঘাত কাটিয়ে উঠতে পারেননি নেইমার। আর ফেব্রæয়ারির সেই আঘাত যে তিনি পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেননি সেটা তো জানিয়েছেন তিতে নিজেই। তাহলে কেন সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে নেইমারকে পুরোটা সময় খেলানোর ঝুকি নিলেন তিতে তা বোধগম্য নয়। এর আগে অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচেও পুরো সময় নেইমার খেলান তিতে। সব মিলে ‘আনফিট’ নেইমারকে খেলিয়ে কি ভুলই করলেন ব্রাজিল কোচ?
শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যে ছটায় গ্রæপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে কোস্টারিকার মুখোমুখি হবে ব্রাজিল। এই ম্যাচে নেইমারকে নিয়ে শঙ্কা রয়েই গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।