Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

চট্টগ্রামে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে উপচে পড়া ভিড়

| প্রকাশের সময় : ২০ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

আইয়ুব আলী : ঈদের আমেজ এখনো কাটেনি। বন্দরনগরীসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। টানা ঈদের ছুটিতে নগরীর চিরাচরিত চেহারা না থাকলেও নগরীর বিনোদন ও পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে এখন দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়। ঈদের দিন বিকেল থেকে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের ঢল নামে। শিশুসহ নানা বয়সী মানুষ পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ভিড় জমায়। চট্টগ্রামে এবার সবচেয়ে বেশি দর্শনার্থীর সমাগম ঘটেছে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে। সকল শ্রেণি পেশার মানুষের জন্য উন্মুক্ত সমুদ্র সৈকত এলাকা দর্শনার্থীদের পদভারে মুখরিত। নগরীর ফয়স লেক, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা, নেভাল এভিনিউতে দর্শনার্থীদের ভিড়। ঈদ উপলক্ষে ফয়স লেকস্থ কনকর্ড এ্যামিউজমেন্ট পার্ক ও সী-ওয়ার্ল্ড বিনোদন স্পট সাজানো হয়েছে বর্ণিল আলোকসজ্জায়। অবারিত সবুজের প্রান্ত ছুঁয়ে নীলাকাশ যেন নুইয়ে পড়ে এখানে। লেকের স্বচ্ছ পানি রাশির বুক চিরে স্পিডবোটে দশ মিনিটের পথ পাড়ি দিলে কনকর্ড সী-ওয়ার্ল্ডের দেখা মিলে।
অনেক বিনোদন পিয়াসী মানুষ ছেলে-মেয়েদের নিয়ে সী-ওয়ার্ল্ডের ওয়েভপুলে কৃত্রিম সমুদ্র সৈকতে সময় কাটাতে এসেছে। চির সবুজের পাশাপাশি বিভিন্ন কারুকাজে সাজানো স্থাপনাগুলো দেখতে অনেক সুন্দর। একই অবস্থা দেখা গেছে ভাটিয়ারী গলফ ক্লাবের লেকেও। বিশেষ করে সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখতে এসেছে দূর-দূরান্তের মানুষ। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়েছেন পর্যটকরা। মহানগরীর বাইরের বিভিন্ন এলাকা থেকেও পর্যটকরা আসছেন। ফয়’স লেকের চিড়িয়াখানায়ও দর্শনার্থীদের ভিড়। ছেলে-বুড়ো সব বয়সের মানুষ ভিড় করছেন পশু-পাখির খাঁচার সামনে।
দেশের সকল বিনোদন কেন্দ্রের চাইতে চট্টগ্রামে রয়েছে সবচাইতে বেশি বিনোদন সুবিধা। প্রাকৃতিক পরিবেশে গড়ে ওঠা চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, ফয়’স লেক, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা ছাড়াও আগ্রবাদ কর্ণফুলী শিশুপার্ক, স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিয়া স্মৃতি যাদুঘর, শিশু পার্ক, কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতু, বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল সংলগ্ন জিয়া স্মৃতি কমপ্লেক্স (বর্তমানে স্বাধীনতা পার্ক), আগ্রাবাদ প্রতœতাত্তি¡ক যাদুঘর, নেভাল এভিনিউ মেরিটাইম মিউজিয়াম, ওয়ার সেমিট্রি, ডিসি হিল, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশে বাটারফ্লাই পার্ক। নগরীর বাইরে আনোয়ারা পারকি বিচ, সীতাকুÐ ইকোপার্ক ও মিরসরাইয়ের মহামায়া লেক। এখন উল্লেখিত বিনোদন ও পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীর ঢল নেমেছে। শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের ছেলে-মেয়েসহ তাদের অভিভাবকরা ঈদের দিন বিকেল থেকে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ভিড় করছে। দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারা মোহছেন আউলিয়া কলেজের পাশে বেসরকারিভাবে গড়ে উঠেছে হিলটপ পার্ক। এখানে প্রতিনিয়ত দর্শনার্থীরা আসছে। তবে ঈদকে ঘিরে এখন দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়। এদিকে নগরীর শিশুপার্ক গুলোতেও মানুষের প্রচÐ ভিড়। অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের নিয়ে ভিড় করছেন পার্কে। নগরীর শিশুদের বিনোদনের সুবিধার্থে গড়ে উঠা বিনোদন কেন্দ্র আগ্রাবাদ কর্ণফুলী শিশু পার্কে এখন বিভিন্ন বয়সের শিশুদের উপচেপড়া ভিড়। এখানে শিশুদের বিনোদনের জন্য রয়েছে চুকচুক গাড়ি, ভয়েজার বোট, ক্যাবল ট্রেন, দোলনা ও অন্যান্য সামগ্রী। চট্টগ্রামে আরেক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে গড়ে উঠা ডিসি হিল পার্ক। পাহাড়ের উঁচুনীচু ছায়া সুনিবিড় পরিবেশে ডিসি হিলেও দশনার্থী ভিড় করছে। চট্টগ্রাম আর্ট কলেজের পাশে গড়ে উঠা নিরব প্রকৃতিঘেরা ওয়ার সেমিট্রিতেও প্রচুর দর্শনার্থীর সমাগম ঘটছে। এছাড়া সীতাকুÐ চন্দ্রনাথ মন্দির ও ইকোপার্ক, রাউজানের রাবার বাগান, মীরসরাইয়ের মুহুরী প্রজেক্টসহ বিভিন্ন বিনোদন স্পটে দর্শনার্থীদের ভিড় লক্ষ্যণীয়। এছাড়া পার্বত্য জেলা বান্দরবান, রাঙ্গামাটিসহ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত পর্যটকদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে। ঈদ শেষ হলেও পর্যটন কেন্দ্রগুলো আরও বেশ কয়েকদিন সরগরম থাকবে বিনোদন পিয়াসীদের পদচারণায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চট্টগ্রাম

৩০ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ