পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
বিরোধী দলের ঐক্যের কাছে যে কোন সরকার পরাভূত হতে বাধ্য। এটা আজ নতুন নয়, দীর্ঘদিন থেকেই লক্ষ্যণীয়। এর সা¤প্রতিক উদাহরণ নেপাল, মালয়েশিয়া ও ইরাক। সেখানে ঐক্যবদ্ধ বিরোধীদলের কাছে সাধারণ দল জোটের পরাজয় হয়েছে, সরকারের পতন ঘটেছে। গত বছরের শেষার্ধে নেপালে অনুষ্ঠিত হয় নতুন সংবিধান অনুযায়ী প্রথম জাতীয় নির্বাচন। তাতে কে পি শর্মা অলির নেতৃত্বাধীন নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি (ইউএমএল) ও মাওবাদী নেতা পুষ্প কোমল প্রচÐের, যার প্রবল আন্দোলনের কারণে নেপালের রাজতন্ত্র বিলুপ্ত হয়ে গণতন্ত্র চালু হয়েছে, তার নেতৃত্বাধীন নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী কেন্দ্র) জোট গঠন করে ভারতপন্থী বলে খ্যাত নেপালি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে নির্বাচনে জয়ী হয়েছে। সরকারি দল পরাজিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবা কে পি শর্মা অলির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন। অলি আর প্রচÐ ভাগাভাগি করে দেশ পরিচালনা করছেন। এর আগেও তারা এভাবেই দেশ পরিচালনা করেছিলেন। এখনও তাই করছেন। স¤প্রতি এই দুই কমিউনিস্ট পার্টি একীভূত হয়েছে বলে জানা গেছে। নতুন পার্টির নামকরণ করা হয়েছে- ‘নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি’। অপরদিকে, আধুনিক মালয়েশিয়ার রূপকার ড. মাহাথির মোহাম্মদ দীর্ঘ ২২ বছর সরকার ও ক্ষমতাসীন জোটের নেতৃত্ব দানের পর ২০০৩ সালে স্বেচ্ছায় ক্ষমতা ত্যাগ করে রাজনীতি থেকে অবসর গ্রহণ করেন। তার স্থলাভিষিক্ত হন নাজিব রাজাক। কিন্তু তিনি দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। এই অবস্থায় দেশের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে ড. মাহাথির (৯২) পুনরায় রাজনীতিতে পদার্পণ করে সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেন। তিনি ঐক্য গড়ে তোলেন তারই এককালীন ভাবশিষ্য ও উপপ্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের দলের সাথে, যাকে তিনি মতভেদ ও নানা অপরাধের অভিযোগে মন্ত্রিত্ব ও দল থেকে বরখাস্ত করে কারাগারে নিক্ষেপ করেছিলেন। উভয়েই দেশের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে অতীত ভুলে গিয়ে পাকাতুন হারাপান নামে জোট গঠন করেন। এই জোট গত ৯ মে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছে। ৬০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা বারিসান ন্যাশনালের পতন ঘটেছে। নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন ড. মাহাথির। প্রধানমন্ত্রী হয়েই তিনি রাজার মাধ্যমে আনোয়ার ইব্রাহিমের প্রতি সাধারণ নিঃশর্ত ক্ষমা ঘোষণা করিয়ে নিয়ে তাকে কারাগার থেকে মুক্ত করেছেন। এটাই রাজনীতির অমোঘ নীতি। কখন কে শত্রু, আর কখন কে মিত্র বনে যান, তার কোন নির্দিষ্ট বিধান নেই। এ জন্যই বলা হয়, রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই।
বিপরীত আদর্শের মধ্যে ঐক্য গড়া তথা কট্টর ধার্মিক আর নাস্তিকের মধ্যে মিত্রতা সৃষ্টি হওয়াও নতুন কিছু নয়। অন্ততঃ রাজনীতিতে। যা স¤প্রতি হয়েছে ইরাকে। সেখানে শিয়া নেতা, যিনি কট্টর জাতীয়তাবাদী ও প্রচÐ মার্কিনবিরোধী বলে খ্যাত, মুক্তাদা আস-সাদরের নেতৃত্বাধীন সদরিস্ট মুভমেন্ট এবং ইরাকের কমিউনিস্ট পার্টির জোট- সাইরুন অ্যালায়েন্স ঐক্য গড়ে নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেছে। গত ১২ মে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে মার্কিনপন্থী প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-এবাদির নেতৃত্বাধীন ভিক্টরি জোট তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে। আর প্রথম হয়েছে মুকতাদার নেতৃত্বাধীন জোট এবং দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে ইরানপন্থী বলে খ্যাত সাবেক পরিবহন মন্ত্রী ও বাদ্র অর্গানাইজেশনের মহাসচিব হাদি আল-আমেরির নেতৃত্বাধীন কংকোয়েস্ট জোট। কিন্তু নির্বচনে কোন জোটই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। তাই তারা সকলে মিলে সর্বদলীয় জাতীয় সরকার গঠনের চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে। স্মরণীয় যে, একদা সম্পদে ও মুসলিম ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ ইরাক দীর্ঘদিন যাবত সা¤্রাজ্যবাদীদের ভয়াবহ আক্রমণে এবং গৃহযুদ্ধে প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে। সেই দেশটিতে ঐক্য, শান্তি ও উন্নতি প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচিত দলগুলোর সমন্বয়ে জাতীয় সরকার গঠন করা কল্যাণজনক। প্রসঙ্গক্রমে বলা দরকার, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে ভারতেও সরকারের বিরুদ্ধে সর্বদলীয় জোট গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে কর্নাটকে। সেখানে রাজ্য নির্বাচনে বিজেপি জয়ী হয়ে ক্ষমতাসীন হলেও দুই দিনের বেশি ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি। সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখাতে না পেরে পদত্যাগ করেছে সরকার। নতুন কোয়ালিশন সরকার গঠন করেছে কংগ্রেস ও জেডি (এস)। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন এইচডি কুমারস্বামী এবং উপ মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন কংগ্রেস নেতা জি পরমেশ্বর। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বিরোধী দলের সব নেতা সমবেত হন। এ বিষয়ে এনডিটিভির খবরে প্রকাশ, ‘কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামীর শপথ অনুষ্ঠানকে ঘিরে যেন বিরোধীদের মিলন মেলা বসেছিল। ২০১৯ সালে লোকসভার নির্বাচনকে সামনে রেখে কংগ্রেসের সঙ্গে বিরোধীদের এমন ঐক্যে কপালে ভাঁজ পড়েছে ক্ষমতাসীন বিজেপির। কারণ, শপথ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী ও তার মা সোনিয়া গান্ধী, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, উত্তর প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব ও মায়াবতী, কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু, সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি, আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব, জেডিইউর নেতা শরদ যাদবসহ বিজেপি-বিরোধী দলগুলোর নেতা-নেত্রীরা। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনকে ঘিরে বিজেপির বিরুদ্ধে একটি জোট গঠনের চেষ্টা চালাচ্ছে বিরোধী দলগুলো। এরই একটি প্রক্রিয়া শুরু হলো কর্নাটকে কুমারস্বামীর শপথ অনুষ্ঠান থেকে।’ স্মরণীয় যে, কংগ্রেস বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করে সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতা এবং জাতীয় ঐক্য পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সর্বদলীয় ঐক্যজোট গঠন করার চেষ্টা করছেন দলটির চালিকাশক্তি সোনিয়া গান্ধী। এ ব্যাপারে গত ৬ মে এক দৈনিকে প্রকাশ, ‘ভারতের আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে নানা হিসাব কষছে বিরোধী শিবির। প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে রাহুল গান্ধীকে প্রজেক্ট করার তুলনায় অনেক বেশি প্রয়োজন মহাজোট গড়ে তোলা এবং সেটিকে লোকসভা ভোট পর্যন্ত অটুট রাখা। আপাতত এই কৌশল নিয়েই আগানোর কথা ভাবছেন সোনিয়া গান্ধী।’ অর্থাৎ ভারতের আগামী জাতীয় নির্বাচনে কংগ্রেসের কৌশল হচ্ছে, নিজেদেরকে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করার চেয়ে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করে দল এবং দেশকে রক্ষা করা শ্রেয়’।
আমাদের দেশেও এরূপ কৌশল অবলম্বন করতে পারে বিএনপি, এমনটাই পরামর্শ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। ‘স্বৈরতান্ত্রিক সরকার’ এর বিরুদ্ধে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি বিএনপি। কারণ, দলটি প্রায় এক যুগ যাবত হামলা-মামলা, গুম, খুন, নির্যাতন ইত্যাদিতে পর্যুদস্ত হয়ে পড়েছে। এ থেকে ঊর্ধ্বতন নেতা-নেত্রীরা পর্যন্ত রেহাই পাননি। দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অনেকগুলো মামলা হয়েছে। একটি মামলায় দÐিত হয়ে তিনি কারাগারে আছেন। আরও অনেক মামলা চালু আছে তার বিরুদ্ধে। কয়েকটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। কয়েকটির রায় হয়ে যেতে পারে শিগগিরই। এ অবস্থায় খালেদা জিয়া আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন কিনা সন্দেহ আছে। একই অবস্থা বিএনপির অনেক ঊর্ধ্বতন নেতারও। অন্যদিকে, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অবস্থাও তথৈবচ। এ জোটের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল জামায়াত স্বনামে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে বলে মনে হয় না। বাকী দলগুলো ছোট। সর্বোপরি এ দলগুলোরও অনেক নেতা হামলা-মামলায় পর্যুদস্ত। অপরদিকে, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য সরকারি জোট-১৪ দল ছাড়া সব দল ব্যাপক সোচ্চার হয়ে উঠেছে। কয়েকটি জোটও হচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। যেমন একটি জোট গঠন করার চেষ্টা করছেন ড. কামাল হোসেন। এছাড়াও সিপিবি, বাসদসহ কয়েকটি বাম দল নিয়ে একটি জোট গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। অপরদিকে, জাপার নেতৃত্বে অনেকগুলো দল নিয়ে একটি জোট গঠনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। অবশ্য জাপার নেতা এরশাদকে নিয়ে ভবিষ্যৎবাণী করা যে কোন মানুষের পক্ষেই দূরহ। কারণ, এই দলের নিয়ন্ত্রণ কোথায় তা বলা কঠিন। তাই জেনারেল এরশাদ একেক সময় একেক কথা বলেন। অদৃশ্য সুতার টানেই তিনি এমন পুতুল নাচ নাচেন। তাই তিনি সরকার থেকে পদত্যাগ করার ঘোষণা দিয়েও তা করেননি। ফলে তিনি শেষাবধি সরকারি জোটের সাথেই থাকবেন বলে অনেকের অভিমত। ইতোমধ্যেই তিনি তা পরিষ্কারও করেছেন। রংপুরে সাংবাদিকদের কাছে এরশাদ বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ ইজ বেটার দ্যান বিএনপি’। এই অবস্থায় দেশে প্রকৃত বিরোধী দল বলতে মূলতঃ বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট আর ড. কামালের নেতৃত্বাধীন ও বাম ঘরানার গঠিত ব্য দু’টি জোটই হচ্ছে বিরোধী দল। কিন্তু এই দলগুলোর মধ্যে মিলের চেয়ে অমিল বেশি। ফলে তারা একত্র হতে পারছে না। আর একত্র হতে না পারলে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে সফল হওয়া কঠিন। কারণ, আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় থাকে, তখন তারা লালঘোড়া দাবড়ায়। অতীতের মতো এখনো তাই করছে। উপরন্তু এ দলের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন রয়েছে ভারতের। এমনকি তাদের মধ্যে মধুর সম্পর্ক বিদ্যমান যা তাদের ভাষায়- বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘদিনের কৌশলগত বন্ধুত্বপূর্ণসম্পর্ক অপরাপর বিশ্বের জন্য ‘দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের মডেল’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ফলে ঘনঘন যাতায়াত, বৈঠক ও গোপন সলাপরামর্শ হচ্ছে উভয়ের মধ্যে। এই অবস্থায় ভারতকে টেক্কা মারার মতো বিশ্ব স¤প্রদায় বা অন্য কোন শক্তিশালী দেশ সম্পৃক্ত না হলে ভারত এ দেশে একচেটিয়া দাপট খাটাতেই থাকবে। আর সেই খুঁটির জোরেই আওয়ামী লীগ দেশে স্বৈরতান্ত্রিক শাসন চালিয়ে যেতে পারে। এই অবস্থায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সব দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সর্বদলীয় বিরোধী ঐক্য গড়ে তোলা আবশ্যক। নতুবা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলা এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন আদায় করে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।
উল্লেখ্য যে, দেশে ক্ষমতার পরিবর্তন ঘটলে বিএনপি বাঁচবে। রক্ষা পাবে এ দলের নেতা-নেত্রীরা। আর আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় এলে বিএনপির আম-ছালা সবই যাবে। সেই সাথে গণতন্ত্র ও বাক স্বাধীনতাও। এই অবস্থায় দেশের ও দলের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে বিএনপির নিজের এককভাবে ক্ষমতায় যাওয়ার চেয়ে আওযামী লীগকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করার প্রচেষ্টাই হওয়া উচিৎ প্রধান কৌশল। আর এতে সফল হতে পারবে তথনই, যখন সব বিরোধী দলকে নিয়ে ঐক্য গঠন এবং আন্দোলন ও নির্বাচন করতে পারবে। আর সব দলকে ক্ষমতার ভাগ দিলেই তথা ক্ষমতায় গেলে সর্বদলীয় জাতীয় সরকার গঠন করা হবে ঘোষণা দিলেই স্বল্প সময়ের মধ্যেই সর্বদলীয় বিরোধী জোট গঠিত হয়ে যাবে তা নিশ্চিত। অপরদিকে, বিএনপির সাথে জোটে না এসে যদি ড.কামালের নেতৃত্বাধীন জোট এবং বাম ঘরানার জোট এর নেতারা পৃথকভাবে আন্দোলন ও নির্বাচন করে, তাহলে কামিয়াব হতে পারবে না। বড়জোর শীর্ষ কয়েকজন এমপি হতে পারেন এই যা। কারণ, তাদের ফেসভেলু থাকলেও তা আছে শহরে ও শিক্ষিত মানুষের মধ্যে। আর গ্রাম-গঞ্জে ও অশিক্ষিত মানুষের মধ্যে তাদের পরিচিতি তেমন নেই। অথচ মোট ভোটারের ৯০% তারাই। এই ভোটাররা খালেদা ও হাসিনার বাইরে অন্য কাউকে তেমন চেনে না। তবে এ জোটগুলো বিএনপির সাথে জোট গঠন করলে বেশ কিছু নেতার এমপি ও মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাই সার্বিক দিক বিবেচনা করে সব বিরোধী দল মিলে সর্বদলীয় ঐক্য গড়ে তোলা ছাড়া বিকল্প নেই। এটা সম্ভব হলে এবং সরকারবিরোধী অবস্থান ও আন্দোলন জোরদার করা গেলে সরকার একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে। আর সেই নির্বাচনে বিরোধী জোটের বিজয়ের সম্ভাবনা সরকারি জোটের চেয়ে অনেক বেশি হবে।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।