পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নয় বরং আন্দোলনের ইস্যু খুঁজতে ব্যস্ত। বিএনপি নেতারা কি প্রতিদিন জেলখানায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে যাবেন? তার আত্মীয়রা জেলখানায় দেখা করতে যাবেন।
তারা গেছেন এবং ঠিকই দেখা করতে পেরেছেন। মনে রাখতে হবে এটা জেলখানা, কারও বাসাবাড়ি না। জেলখানায় প্রতিদিন নেতারা দেখা করতে যাবেন এ সুযোগ জেল কোডে নাই। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ মন্তব্য করেন। কাদের বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সিএমএইচ (সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল) হলো সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন হাসপাতাল। কেন যে তিনি সেখানে চিকিৎসা নিতে চান না তা আমাদের জানা নেই। আমার এখন সন্দেহ হয় বিএনপি নেতারা খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে চিন্তিত কিনা। আমার তো মনে হয়, তারা খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নয়, রাজনীতি করার ইস্যু খুঁজছেন। তাদের কাছে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নয়, ইস্যু গুরুত্বপূর্ণ। কারাবন্দি থাকা অবস্থায় শেখ হাসিনা স্কয়ারে চিকিৎসা নিয়েছিলেন কিন্তু খালেদা জিয়া কেন ইউনাইটেডে চিকিৎসা নিতে পারবেন না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের নেত্রীকে সিএমএইচে চিকিৎসা করানোর সুযোগ পেলে স্কয়ারে নিয়ে যেতাম না। বিএনপি নেতাদের ভারত সফর সম্পর্কে কাদের বলেন, বিএনপি জনগণের প্রতি তাদের আস্থা নেই। তাই তারা এখন বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরছেন। কখনও ব্যাংকক, কখনও দুবাই, কখনও লন্ডন। কোথায় কে কী করছেন সরকারের কাছে সব খবর আছে। দেশের মানুষ এখন নির্বাচনী আমেজে আছে, মুডে আছে। ২৬ জুন গাজীপুরে নির্বাচন। ৩০ জুলাই অন্য তিনটি সিটিতে নির্বাচন। এরপরেই জাতীয় নির্বাচন। এগুলো হলো সেমিফাইনাল। বছর শেষে হবে ফাইনাল। ওবাদুল কাদের বলেন, এবারের ঈদ আয়োজনে যথেষ্ঠ পরিশ্রম করতে হয়েছে। ঈদের আগের দিনেও আমি ওভার পাসে অনেক সময় কাটিয়েছি। ঈদের পর স্থানীয় অনেকগুলো নির্বাচন হবে। তার পরপরেই জাতীয় নির্বাচন। এসব বিষয়ে আমি তৃণমূলে অনেক সময় দিয়েছি। এ কারণে কিছুটা অসুস্থবোধ করছি। তারপরও প্রথম দিন ছুটির পর ভাবছিলাম আজ বের হবো। পরে আবার ভাবলাম প্রথম দিন অফিসে অনুপস্থিত থাকা ঠিক নয়। সবার সাথে অনেক কথাবার্তা হলো। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, এতো সাংবাদিক আজ উপস্থিত। ভাবতেই পারিনি। আজ দেখে মনে হচ্ছে সাংবাদিকদের তেমন ছুটি নেই। সাংবাদিকদের সবসময় অ্যাসাইনমেন্ট থাকে, কাজ করতে হয়। এবারের ঈদে আপনারা জানেন মেঘনা ব্রীজ, ফেনী, কালিয়াকৈর ও বাইপাইল এলাকা আমি আকস্মিক পরিদর্শন করেছি। সব মিলিয়ে এবার স্বস্তিদায়ক ঈদযাত্রা হয়েছে। এটা সবাই একযোগে স্বীকার করেছেন।
সড়ক ও সেতু মন্ত্রী বলেন, এটা সম্ভব হয়েছে আমাদের সম্বিলিত প্রচেষ্টার জন্য। এবার সরকারের প্রস্তুতিটা ভালো ছিল। এটা সঠিক, বেটার ম্যানেজমেন্টের কারণে ঈদে কোনো সমস্যা হয়নি। এবার ঈদযাত্রায় অনেক আশঙ্কা ছিল কিন্তু আমাদের ভালো ব্যবস্থাপনার জন্য ভালোভাবে মানুষের বাড়ি ফেরা সম্ভব হয়েছে। যাক এটার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। মন্ত্রী বলেন, পরিবহন মালিক, প্রশাসন ও আনসারসহ সবাই আমাদের সহযোগিতা করেছেন। মাঠপর্যায়ে পুলিশ, সিভিল প্রশাসন সবাই মিলে যথেষ্ট পরিশ্রম করেছেন। আমাদের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সহযোগিতা করেছেন। যে কারণে বেটার ম্যানেজমেন্ট তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। ফলে ভালো একটা ফলাফল আমরা পেয়েছি। এ জন্য যাত্রা স্বস্তিদায়ক হয়েছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, সাংবাদিকরা যেখানে যেখানে রাস্তা খারাপ এবং যানজটের আশঙ্কার সংবাদ পরিবেশন করে আগে ভাগেই ধরিয়ে দিয়েছেন। আমরা তা সংশোধন করেছি। এজন্য সাংবাদিকদেরও আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। তিনি বলেন, এবার দুর্ঘটনা হয়েছে কিছু। তবে গত কয়েকবারের তুলনায় এবার দুর্ঘটনা ও মত্যুর হার অনেক কম হয়েছে। তবে খুব কম হয়েছে তা নয়। মৃত্যুর হার আগের চেয়ে কমেছে। এবার আমার জানা মতে ৬০ থেকে ৬৫ জন মানুষ দুর্ঘটনায় মারা গেছে। গতকাল রাতে নীলফামারীতে মারা গেছে এক সাথে ১০ জন। এটাই একটি বড় দুর্ঘটনা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।