Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মিয়ানমারের বিতর্কিত মাইতসোন প্রকল্পের আশা ছাড়েনি চীন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১০:২৪ পিএম, ১৮ জুন, ২০১৮

চীনের আধা সরকারি পত্রিকা গেস্নবাল টাইমসের সাপ্রতিক এক রিপোর্টে বোঝা যায় চীন উত্তর মিয়ানমারের মাইতসোন পানিবিদ্যুৎ প্রকল্পটি পুনরায় চালুর আশা পরিত্যাগ করেনি। মিয়ানমার সরকার ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে ৩.৬ বিলিয়ন ডলারের এই প্রকল্পের কাজ স্থগিত করে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে তা ৬০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জলমগ্ন করবে বলে আশাঙ্কা করা হয়। এই প্রকল্পের ৯০% বিদ্যুত চীনে রফতানি করার কথা। মিয়ানমারের তৎকালিন প্রেসিডেন্ট থিয়েন সিয়েন বলেছিলেন যে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলে তা হবে জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে। এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করে। তাদের অভিযোগ এতে দেশের বিপুল ভূমি নষ্ট হলেও জনগণের উপকার হবে সামান্যই। ১৪ জুন গেøাবাল টাইমসের নিবন্ধে বলা হয়, পানিবিদ্যুৎ প্রকল্পটি মিয়ানমার ও চীন সরকারের একমত হওয়া একটি বাণিজ্যিক সহযোগিতা এবং দীর্ঘদিন এটি স্থগিত রাখা হলে তা বিনিয়োগকারীদের আস্থা নষ্ট করার পাশাপাশি মিয়ানমারের অর্থনৈতিক নীতির অনিশ্চয়তা নিয়ে উদ্বেগ বৃদ্ধি পাবে।
অবশ্য পত্রিকাটি স্বীকার করেছে যে প্রকল্প এলাকার জটিল জনমতের কারণে মাইতোসনের ব্যাপারে খুব শিগগিরই কোন ব্রেকিং নিউজ শোনার সম্ভাবনা নেই। তবে, ‘চীনকে এই বাঁধের ব্যাপারে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে এবং পরস্পরের জন্য লাভজনক সহযোগিতার ভিত্তিতে প্রকল্পটি চালুর ব্যাপারে একটি বাস্তব পন্থা খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাতে হবে।’
তবে, চীন এখনই বিষয়টি উত্থাপন করবে কিনা তা স্পষ্ট নয়। মিয়ানমারে এই বাঁধ খুবই অজনপ্রিয় হওয়ার বিষয়টিও তাদের জানা আছে। এই প্রকল্প শুরুর ব্যাপারে যেকোন জোরদার প্রচেষ্টা নির্ঘাত মিয়ানমারে চীন-বিরোধী বিক্ষোভ জোরদার করবে। তাই বেইজিং এ মুহূর্তে মিয়ানমারের উপর প্রভাব কমানোর মতো কোন কাজ করতে চাইবে না।
এর বদলে চীন হয়তো মাইতসোনকে সামনে রেখে মিয়ানমার সরকারের কাছে আরো গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে ছাড় পাওয়ার চেষ্টা করবে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে বঙ্গোপসাগর উপকূলে কিয়াকফিউ গভীর সমুদ্রবন্দর। এটা খুব জনপ্রিয় প্রকল্প না হলেও মাইতসোনের মতো ততটা নয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মিয়ানমার


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ