বাড়িতেই ফাইনাল দেখবেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট কাতারে
বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচ দেখতে কাতারে যাচ্ছেন না আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ। তিনি জানান, আজ
দুটি তথ্য দিয়ে শুরু করা যাক।
এক : মাদক সেবনের অভিযোগে ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপ থেকে বহিষ্কার করা হয় ডিয়াগো ম্যারাডোনাকে। বিশ্বসেরা ফুটবলারের বহিষ্কারাদেশ কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেননি বাংলাদেশের একজন আইনজীবী। বহিষ্কারাদেশ ‘ষড়যন্ত্র’ উল্লেখ করে ফিফার বিপক্ষে মামলা ঠুকে বিশ্বব্যাপী আলোড়ন তোলেন ওই আইনজীবী। মামলার ওই খবর প্রচারিত হয় বিশ্বব্যাপী।
দুই : এটিও মামলা সম্পর্কিত। তবে আরেকজন বেরসিক আইনজীবীর করা। এবারের রাশিয়া বিশ্বকাপের যখন দামাম বাজছে চারিদিকে, বাংলাদেশেও যখন ছড়িয়ে পড়ছে এর উত্তাপ, ঠিক তখনই ঐ ভদ্রলোক ‘এদেশের মাটিতে ভিনদেশের পতাকা ওড়ানো যাবে না’ চেয়ে মহামান্য হাইকোর্টে রিট আবেদন করলেন। তবে তার এই রিট ধোপে টেকেনি, শহর-গ্রাম ছাড়িয়ে প্রত্যান্ত অঞ্চলে ঠিকই উড়ছে বিশ্বকাপে অংশ্র নেয়া প্রিয় দলের পতাকা।
একটি জিনিস মাথায় রাখা দরকার। আমরা কেউই দেশের পতাকার মান ক্ষুন্ন করার প্রয়াসে এই ভিনদেশি পতাকা উড়াচ্ছি না। গোটা বিষয়টিই ক্রীড়াসুলভ দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখলেই এর সমাধান মিলবে। সময়ের ফেরে আবারও ফুটবলের উত্তাপ চারিদিকে। সেখানে বাড়তি কথার ঘ্যানঘ্যানানি খুব একটা হয়তো ভালো লাগবে না কারোরই। আসল কথা হল এই দুটো মামলার সীমানাই এক আকাশ, বাংলাদেশের মানুষের ফুটবলপ্রেম। যেটা আগেও ছিল, এখনও আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। ফুটবল মানে তলানিতে হলেও জনপ্রিয়তায় বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দেশ বাংলাদেশ। র্যাঙ্কিংয়ে ২০৩ দেশের মধ্যে ১৯৩। অথচ গ্রাম থেকে গ্রামান্তর, নগর থেকে মহানগর-সর্বত্রই বিশ্বকাপ ফুটবল উপলক্ষে নানা বর্ণের, নানা রঙয়ের পতাকায় সয়লাব বাড়ির ছাদ, গাছের মগডাল। আশ্চর্য হলেও সত্যি, সুনীল আকাশে পতপত করে উড়তে থাকা সেসব পতাকায় নেই বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা।
বিশ্বকাপ কাপ এলে উত্তেজনায় কাঁপতে থাকে বাংলাদেশ। ৫৬ হাজার বর্গমাইলের দেশটির ১৬ কোটি জনতার রক্তে মিশে আছে। ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, জার্মানি, স্পেন, পর্তুগালের সমর্থন নিয়ে যে উন্মাদনা, তাতে অপরাপর দেশকে বিস্মিত করে। ১৯৩০ সাল থেকে চার বছর পরপর বসছে বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর। বাংলাদেশের জনগণ টিভিতে বিশ্বকাপ দেখছে ১৯৮২ সালে ইতালি বিশ্বকাপ থেকে। এরপর থেকেই বাংলাদেশের ক্রীড়াপ্রেমীরা অপেক্ষায় থাকেন ফুটবল মহাযজ্ঞের। অপেক্ষায় থাকেন প্রিয় ফুটবলারদের ফুটবল সৌকর্য্য দেখার। আর মাত্র কয়েক ঘন্টা পর মাঠে গড়াচ্ছে বিশ্বকাপ ফুটবল। নেইমার, লিওনেল মেসি, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোদের ফুটবলশৈলী দেখতে রাত জাগার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ফুটবলপ্রেমীরা। প্রিয় দলকে অন্তর দিয়ে কে কত বেশি ভালোবাসেন, সেটা প্রমাণ করতে প্রিয় দলের পতাকা উড়ানোর অলিখিত প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেন। এমনও দেখা গেছে একই বাড়ির ছাদে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, ইতালি, জার্মানি, ফ্রান্স, পর্তুগালের পতাকা উড়িয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি পতাকা ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার। দুই দেশের সমর্থন নিয়ে চায়ের টেবিলে ঝড় উঠে। জমে উঠে আড্ডা। রমজান মাসের ব্যস্ততা শেষ হবার আগেই বিশ্বকাপ জ্বরে কাঁপতে থাকবে পুরো দেশ। প্রত্যেকে নিজের নিজের পছন্দের দেশ বেছে নিয়ে বুঁদ হয়ে থাকবে। ভুলে যেতে চাইবে আশেপাশে ঘটতে থাকা যাবতীয় যন্ত্রণা। এর ডামাঢোলে চাপা পড়ে যাবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়-আশয়।
এতো গেল বাংলাদেশের আবহ। যারা এখনও ফুটবল বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্নটিও ভালোমত দেখতে শেখেনি। তাদেরই এমন বর্ণিল আয়োজন তো যারা অংশ নিচ্ছে সেই দেশ কিংবা দেশের ফুটবলারদের অবস্থাটা একটু ভাবুন!
ফুটবল বিশ্বকাপ মানেই অন্যরকম এক উন্মাদনা! যতই এগিয়ে আসছে বিশ্বকাপ ততই বাড়ছে তার উত্তাপ। এবারের আয়োজক রাশিয়া। ইতিহাসের প্রথমবারের মতো পূর্ব ইউরোপে শুরু হতে চলেছে বিশ্বকাপের ২১তম আসর। আর মাত্র কয়েক ঘন্টা পরই ডঙ্কা বেজে উঠবে রাশিয়া বিশ্বকাপের। ছয় মহাদেশের ২০৯ দলের ৮৬৪ ম্যাচের লড়াই শেষে চূড়ান্ত হয়েছে সোনায় মোড়ানো স্বপ্নের বিশ্বকাপের ৩২ প্রতিনিধি। মস্কোর ফাইনাল শেষে এদেরই যে কোন একটি দলের হাতে উঠবে ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদার ট্রফিটি। কে জিতবে শিরোপা? এই প্রশ্নের উত্তর বলে দেবে আগামী এক মাসের শ্বাসরুদ্ধকর ফুটবল যুদ্ধ। স্বাগতিক রাশিয়া আর সউদী আরবের ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে লড়াই। ১৫ জুলাই পর্যন্ত ফুটবলের মহোৎসবে মাঠ মাতাবেন বিশ্বসেরা তারকারা। কিন্তু তার আগে থেকেই বিশ্বকাপজ্বরে কাঁপছে পুরো বিশ্ব। যতই এগিয়ে আসছে বিশ্বকাপ ততই আগ্রহ বাড়ছে মানুষের। কখন, কোথায় অনুষ্ঠিত হবে সেই ম্যাচগুলো। এসব জানতেও আগ্রহের কমতি নেই মানুষের। বিশ্বকাপের ৬৪টি ম্যাচ হবে রাশিয়ার ১১টি ভেন্যুর ১২টি স্টেডিয়ামে। প্রায় এক মাসের এই আসরের ফাইনাল হবে মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে।
বিশ্বকাপে কোন গ্রুপটা সবচেয়ে শক্তিশালী, কোন গ্রুপটা সবচেয়ে দুর্বল? এবার হয়তো সেই অর্থে গ্রুপ অব ডেথ নেই। তবে আর্জেন্টিনার গ্রুপটাই সবচেয়ে কঠিন। সব কটি দলই কাছাকাছি শক্তির। একক ফেবারিট নেই গ্রুপে, আর্জেন্টিনা কিছুটা হয়তো এগিয়ে। কোন দুটি দল এই গ্রুপ থেকে পরের রাউন্ডে যাবে, বলা সবচেয়ে কঠিন। তবে ব্রাজিল-সমর্থকেরা বলতে পারেন, তাদের গ্রুপটাও সহজ তো নয়। সর্বশেষ প্রকাশিত সর্বশেষ ফিফা র্যাঙ্কিং অনুযায়ী সবচেয়ে কঠিন গ্রুপ ‘ই’। র্যাঙ্কিং দলগুলোর বর্তমান শক্তিমত্তা বোঝার একটা মাপকাঠি তো অবশ্যই। সেদিক দিয়ে দেখলে যে গ্রুপের চারটি দলের মোট র্যাঙ্কিং সবচেয়ে কম হবে, সেই গ্রুপই তো সবচেয়ে কঠিন হওয়ার কথা। ‘ই’ গ্রুপের চার দল ব্রাজিল, সুইজারল্যান্ড, কোস্টারিকা ও সার্বিয়ার সম্মিলিত র্যাঙ্কিং মাত্র ৬৫। মাত্র ১ পয়েন্ট পেছনে থেকে এরপরই ফ্রান্স, পেরু, ডেনমার্ক ও অস্ট্রেলিয়ার গ্রুপ ‘সি’। আর সবচেয়ে দুর্বল গ্রুপ ‘এ’। তবে অনেক সময় হিসেবের বাইরেও যে ঘটে অনেক ঘটনা!
রাশিয়া বিশ্বকাপে ফেভারিটের তকমাটা গায়ে মাখানো ব্রাজিলের। ল্যাটিন আমেরিকা থেকে সবার আগেই ২০১৮ বিশ্বকাপের টিকিট কাটে পেলে-রোনালদোর উত্তরসূরীরা। নিজের দল নিয়ে এতোটাই আত্মবিশ্বাসী যে রাশিয়া বিশ্বকাপ শুরুর প্রায় মাস তিনেক আগেই দলের ২৩ সদস্যের মধ্যে ১৫ জনের নাম ঘোষণা করে দেন ব্রাজিলের কোচ তিতে! ২০১৪ বিশ্বকাপে নিজেদের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে সেলেসাওরা যে এবার মরিয়া! হেক্সা জয়ের মিশন যার কাঁধে সেই নেইমারও ফিরেছেন ইনজুরি কাটিয়ে।
পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের সাথে এবার জার্মানি, আর্জেন্টিনা, ফ্রান্স এবং ইংল্যান্ডের মতো দলগুলোও ফেবারিটের তালিকায়। ব্রাজিল বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন জার্মানি গত বছর ফিফা কনফেডারেশন কাপেও বাজিমাত করেছে। চিলিকে হারিয়ে তরুণ খেলোয়াড়দের নিয়েই শিরোপা উৎসব করে জোয়াকিম লোর দল।
ফেভারিট হলেও কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে এবার আর্জেন্টিনা। শেষ তিনটি ফাইনালেই যে হেরেছে ম্যারাডোনা-বাতিস্তুতার উত্তরসূরীরা। কোপা-বিশ্বকাপ-কোপার ফাইনাল হারের পর রীতিমতো ঝড় বয়ে গেছিল আর্জেন্টিনার। শুধু কী তাই? রাশিয়া বিশ্বকাপ বাছাই পর্বেও তো সমর্থকদের চরম হতাশ করেছিল হোর্হে সাম্পাওলির দল। যদিওবা ইকুয়েডরের বিপক্ষে নাটকীয় জয়ে রাশিয়ার টিকিট কাটতে সক্ষম হয় আর্জেন্টিনা। তবে বারবার স্বপ্ন জাগিয়েও দলকে শিরোপা জেতাতে ব্যর্থ হওয়া মেসি-অ্যাগুয়েরোরা কী পারবে এবার ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে? সেই আশাতেই আবার বুক বাধছে আর্জেন্টাইন সমর্থকরা।
রাশিয়ায় গ্রুপ পর্বে আর্জেন্টিনার হিসেব খুব সোজা নয়। গ্রুপ ‘ডি’তে মেসিদের প্রতিপক্ষ আইসল্যান্ড, ক্রোয়েশিয়া ও নাইজেরিয়া। আইসল্যান্ড গত ইউরোতে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে নজর কেড়েছিল। বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে নেদারল্যান্ডসকে বিদায় করে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই মূল পর্বে আসে তারা। গ্রুপের অপর দুই দলও সমীহ করার মতো। ক্রোয়েশিয়া পরীক্ষিত শক্তি। আর সুপার ঈগল নাইজেরিয়া আফ্রিকার অন্যতম শক্তিশালী দল। কয়েক মাস আগে এই আর্জেন্টিনাকেই তারা ৪-২ গোলে হারিয়েছিলো। উপরে যাওয়ার সম্ভাব্য পথ কঠিন হলেও গ্রুপ পর্বে আর্জেন্টিনার চ্যাম্পিয়ন হবার সম্ভাবনাই বেশি। তবে মূল প্রতিরোধে পড়বে তারা কোয়ার্টার ফাইনালে। যেখানে তাদের সম্ভাব্য প্রতিদ্ব›দ্বী স্পেন অথবা পর্তুগাল। এ দলদুটির বিপক্ষে কদিন আগেই হেরেছে আর্জেন্টিনা। তবে স্পেনের চেয়ে পর্তুগালের মুখোমুখি হতেই চাইবে মেসিরা। সেমি ফাইনালে গেলে আর্জেন্টাইনরা প্রতিপক্ষ হিসেবে পেতে পারে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে।
এই স্বপ্নপূরণে সারথীর ভুমিকায় আগের দুই আসরের মতো এবারও লিওনেল মেসিই। সা¤প্রতিক সময়ে দারুণ ফর্মেও আছেন তিনি। বার্সেলোনার হয়ে লা লিগায় ৩৬ ম্যাচে করেছেন ৩৪ গোল। হয়েছেন ইউরোপিয়ান ঘরোয়া লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা। সব মিলিয়ে চলতি মৌসুমে তার গোল ৪৫। জাতীয় দলের হয়ে শেষ দুই ম্যাচে করেছেন হ্যাটট্রিক। তাই তাকে ঘিরেই ঘুরছে আলবিসেলেস্তাদের সব স্বপ্ন। টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালে উঠলে মেসিদের প্রতিপক্ষ হতে পারে চিরপ্রতিদ্ব›দ্বী ব্রাজিল কিংবা ফ্রান্স।
অভিজ্ঞ আর তারুণ্যের মিশেল ফ্রান্স দলটাও এবার দুর্বার। গত বছর ইউরোর ফাইনালে পর্তুগালের কাছে হারলেও বাছাইপর্বে দুর্দান্ত খেলে রাশিয়ায় আসা অন্য দলগুলোর জন্য দারুণ একটা ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে দিদিয়ের দেশমের শিষ্যরা। তরুণ ফুটবলারদের নিয়ে গড়া দল ইংল্যান্ডও এবার দুর্দান্ত। এছাড়া ইতিহাসের প্রথম দল হিসেবে ইউরো-বিশ্বকাপ-ইউরোজয়ী স্পেনও হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়েই বিমান ধরবে রাশিয়ার।
রাশিয়া মাতাতে প্রস্তুত মেসি-রোনালদো-সুয়ারেজ কিংবা বেল-লেভানডোস্কির মতো তারকারা। প্রস্তুত হচ্ছেন নেইমারও। তরুণ প্রতিভাবান ফুটবলারদের মধ্যে এবার আলাদা করেই নজর কাড়বেন মোহামদ সালাহ, হ্যারি কেন, ফিলিপে কোটিনহো, গ্যাব্রিয়েল জেসুস, কিলিয়ান এমবাপ্পে, পল পগবা, অ্যান্থনি গ্রিজম্যান, কেভিন ডি ব্রæইন কিংবা ইডেন হ্যাজার্ডরা। তবে ফুটবলপ্রেমীরা নিশ্চিত মিস করবে ইতালিকে। ৬০ বছরের মধ্যে এই প্রথম ফুটবল বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব থেকেই বাদ পড়ে গেল চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। জিয়ানলুইজি বুফনদের মিস করাটাই তো স্বাভাবিক! ইউরোপের আরেক পরাশক্তি নেদারল্যান্ডসও নেই এবার। বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের বাধা পেরোতে পারেনি দক্ষিণ আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের আসর কোপা আমেরিকার টানা দুবারের চ্যাম্পিয়ন চিলিও।
রাশিয়া বিশ্বকাপ শুরুর আগে কিন্তু রাজনৈতিক আর কূটনৈতিক খেলাতেও মেতে ওঠেছে বেশ কয়েকটি দেশ। যাদের মধ্যে রয়েছে-ব্রিটেন, আইসল্যান্ড, সুইডেন, ডেনমার্ক, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপান। ইতোমধ্যেই রাশিয়া বিশ্বকাপের বয়কটের হুমকি দিয়েছে তারা। এই ছয়টি দেশ বিশ্বকাপে অংশ নিলেও সেদেশের কর্মকর্তারা বিশ্বকাপে যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে। যুক্তরাজ্য মূলত কূটনৈতিক কারণে বয়কটের সিদ্ধান্ত নেয়। আর বাকি দেশগুলো যুক্তরাজ্যের পাশে দাঁড়িয়েছে আঞ্চলিক মিত্র হিসেবে।
কূটনৈতিক লড়াইয়ের ময়দান আর খেলার মাঠের লড়াইয়ে কে জেতে সেটি সময়ই বলে দেবে। আমরা বসে আছি কেবলই ফুটবলীয় রোমাঞ্চের অপেক্ষায়!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।