বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বরিশালের গৌরনদী ও ফরিদপুরের ভাংগা হাইওয়ে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে নিয়মিত চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। এদুটি থানা নিয়মিতভাবে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে নিয়মিত টহরের নামে প্রেিভট কার সহ বিভিন্ন যানবাহন আটকে কাগজপত্র পরিক্ষার নামে নানা ধরনের হয়রানী সহ চাঁদাবাজীর অভিযোগ ইতোমসধ্যে প্রতিষ্ঠিত হলেও কোন প্রতিকার নেই। এদুটি থানার কতিপয় সদস্যর বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন ট্রাক ও পিকআপ ভ্যান মালিক-চালকরাও। দক্ষিনাঞ্চল থেকে ঢাকা, খুলনা, যশোর সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাতায়াতের প্রবেশদ্বার বরিশাল-ফরিদপুর জাতীয় মহাসড়ক। ফরিদপুরের ভাংগা ও বরিশালের গৌরনদীতে দুটি হাইওয়ে থানা পুলিশ থানা রয়েছে।
এদুটি হাইওয়ে থানা জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কের যানবাহন সহ যাত্রীদের নিরাপত্তা বিধান সহ দুর্ঘটনা রোধ এবং মাদক চোরাচালান প্রতিরোধ কার্যক্রম পরিচঅলনার কথা। কিন্তু এক্ষেত্রে চলছে বিপরিত কার্যক্রমের অভিযোগ রয়েছে। বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রীবাহী এবং মালবাহী যানবাহন চলাচল করে। গৌরনদী হাইওয়ে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে যানবাহন থেকে দিনে-রাতে চাঁদাবাজির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রতিদিন দিনরাত টহল পোষ্ট বসিয়ে এদুটি থানা পুলিশ যানবাহনের কাগজপত্র পরিক্ষার নামে নানা অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকে টহলের নামে তাদের চাঁদাবাজি ভয়াবহ রূপ নেয়। দূরের মালবাহী ট্রাক এবং ছোট ছোট পিকআপ ভ্যান চালকরা টাকা না দিয়ে মুক্তি পায় না বলে সুষ্পষ্ট অভিযোগ উঠেছে। এমনকি ভাংগা হাইওয়ে থানা পুলিশ টেকেরহাট ও ভাংগার মধ্যবর্তিস্থানে চেকপোষ্ট বসিয়ে ৪০কিলোমিটারের অধিক গতির প্রাইভেট কার সহ ছোট মাপের যানবাহন থামিয়ে নানা ধরনের হয়রানী করছে। অথচ এসব যানবাহনকে ওভারটেককারী অতি দ্রæতগামী বাস ও ট্রাকগুলে নির্বিঘ্ণেই টহল পোষ্টের সামনে দিয়ে চলে যাচ্ছে।
ভুক্তভোগী পিকআপ ভ্যান চালক মো: রাসেল, ট্রাক চালক মো. মালেক খান ও মো. জাহাঙ্গীর জানান, বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের উজিরপুর উপজেলার আটিপাড়া রাস্তার মাথার দক্ষিণ পাশে, বামরাইল বাসস্ট্যান্ডের উত্তর পাশে বাইসখোলা, গৌরনদী উপজেলার মাহিলারা বাসস্ট্যান্ডের দক্ষিণ পাশে, টরকী বাসস্ট্যান্ডের দক্ষিণ পাশে, বার্থী বাসস্ট্যান্ডের উত্তর পাশে এবং ইল্লা নামক স্থান সহ আরও কয়েকটি পয়েন্টে হাইওয়ে থানার কতিপয় সদস্য রাতভর চাঁদাবাজি করছে। মামলা দেবার ভয় দেখিয়ে কিংবা কাগজপত্র দেখার নামে তারা নিয়মিত চাঁদা নিলেও কিছুই করার নেই বলে তাদের অভিযোগ। এমনকি ট্রাকের চালক-হেলপারদের বেধড়ক মারধর করা হাইওয়ে পুলিশের নিয়মিত অভ্যাসে পরিনত হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। আবার কাগজপত্রবিহীন যানগুলো ধরে থানায় এনে মামলা না দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে ছেড়ে দেবার অভিযোগও রয়েছে। তবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব অভিযোগ সম্পূর্নরূপে অস্বীকার করেছেন গৌরনদী হাইওয়ে থানার ওসি আতিয়ার রহমান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।