রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ঈদ বাজারে প্রতিদিনই ভিড় বাড়ছে ক্রেতাদের। শাড়ি তৈরি পোশাক কসমেটিক্স, জোতা, জুয়েলারি থেকে শুরু করে ইদের প্রয়োজনীয় আনুসঙ্গিক জিনিসপত্র কিনতে অভিভাবক থেকে শুরু করে তরুণ-তরুণী এমনকি শিশুরাও পা রাখছেন মার্কেটে। কখনো প্রখর রোদের গরম উপেক্ষা করে কখনো বৃষ্টির কাদা পানি মাড়িয়ে দিন-রাতে যখনই সুযোগ হচ্ছে দল বেধে ঈদের কেনাকাটার জন্য মার্কেটে ছুটে আসছেন ক্রেতাসাধারণ। বড় বড় শপিং মল বিভিন্ন ব্র্যান্ডের শোরুম আর মার্কেটগুলোকে বিক্রির ধুম পড়ছে। এবারে রোজার মাঝামাঝি এসে সাতকানিয়ায় প্রতিদিন ঈদের জমজমাট বেচা-কেনার ধুম অন্যান্য বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। সাতকানিয়ার কেরানীহাট হকটাওয়ার নিউমার্কেট সাতকানিয়া মকবুল সিরাজী শপিং কমপ্লেক্স মেইন রোড, চিকন গলি শপিং সেন্টারে সকাল থেকে রাত অবধি পছন্দের পোষাক ঈদ আনুষাঙ্গিক জিনিস পত্র খুজে পাচ্ছে ক্রেতারা। মার্কেটের দোকানগুলোতে এবারে বৈধ ও অবৈধভাবে আশা ভারতীয় পোষাকের আধিক্ষ বেশি। বিশেষ করে মেয়েদের ড্রেসের জায়গাটি এবার ভারতীয় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দখলে রয়েছে। এবারের ঈদে মেয়েদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে ভারতোর তৈরি নামিদামি ব্যান্ডের কটন ও জর্জেটের খোয়াব, কারিনা, শবনম কাহানী ইশতা, রাখী, বর্ষা, হীর, জিনাম, ওমটেক্স, হায়া, কারিজমা, কাশিকা, কাদুলি, বানি, বিভা, বিবেক, বিনয়, গঙ্গা, মারিয়াবি, জেরিন, ইয়াসিকির ড্রেস। আড়াই হাজার থেকে ১২ হাজারটাকায় মিলছে মেয়েদের ড্রেস। এবারে ভারতীয় থ্রিপিসের চাহিদা রয়েছে। এবারে তরুণীদের এসব পোষাক সম্পূর্ণ কটনের। এতে নজরকাড়া কারুকাজ রয়েছে। ঈদকে সামনে রেখে এবারও তরুণদের পোষাকে আধুনিকতা এবং ফ্যাশনের ছোঁয়া রয়েছে। ছেলেদের ফ্যাশনসমৃদ্ধ শর্ট শার্ট, দেশি বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের শার্টের মধ্যে আরমানি, ডিএন্ডজি, কিউজি, কোলকটন, নেক্সট, ওয়ানম্যান, ব্যান্ড, প্রিমিয়াম, প্লাস, দ্য ওয়ান কালেকশন, প্যান্টের মধ্যে চায়না ও থাইল্যান্ডের সেমি ন্যারো জিন্স, গ্রেভাডিন এবং নজরকাড়া পাঞ্জাবিসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের শিশুদের পোষাক বিক্রিও জমে উঠেছে। সবধরণের পোষাকের দাম গতবারের চেয়ে বেড়েছে! এবারে ঈদের বাজারে ভারতীয় শাড়ির একচেটিয়া বাজারে ভারতীয় শাড়ির একচেটিয়া বাজারের সাথে পাল্লা দিয়ে দেশীয় শাড়ির বেশ কদর বেড়েছে। ভারতীয় নানা বাহারি শাড়ির দাম বেশি হওয়ায় দেশীয় জামদানি, টাঙ্গাইলের সিল্ক, কাতান, মিরপুরি কাতান, বেনারসি, পাবনার হাতের কাজের সুতি শাড়ি, কাতান, রাজশাহি সিল্ক ও টিস্যু শাড়ির দিকে ঝুঁকছে মধ্যবিত্তের ক্রেতারা। পোষাকের পাশাপাশি জুতা, কসমেটিকস দোকানগুলোতেও বিক্রেতাদের এক মুহুর্তের জন্য ফুসরত নেই। ড্রেসের সাথে মিলিয়ে জুতা, জুয়েলারী কিনে নিচ্ছেন অনেকেই। অন্যদিকে মার্কেটগুলোতে নেই বখাটেদের আড্ডা, নেই ইভটিজিংয়ের যন্ত্রণা। এবারে রোজার শুরু থেকে শপিং সেন্টারগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সার্বক্ষণিক অবস্থান এবং টহল ব্যবস্থা জোরদার হওয়ায় ক্রেতারা নির্বিঘ্নে কেনাকাটা করতে পারছেন।
রাউজান (চট্টগ্রাম) থেকে এম বেলাল উদ্দিন
তীব্র রোদ ও গরম এর পরও পুরোদমে জমে উঠেছে রাউজানের ঈদ বাজার। ঈদের কেনাকাটায় ব্যাস্থ নাড়ী পুরুষ ও যুবক যুবতি। সকাল ৯ট্ াথেকে রাত ১২-১টা পর্যন্ত প্রতিটি দোকানে নারী পুরুষদের ভীর লক্ষ্য করাগেছে। ১০ রমজানের পর হতে শতভাগ পুরোধমে বেচা কেনা চলছে বলে জানান ডিউ ভিজি শপিং মার্কেটের বৃহত দোয়া শাড়ীজের মালিক মোহাম্মদ আমান। এবারের ঈদ উপলক্ষে ভারতের চুন্দ্রি কাতান,চায়না সিল্ক,পাকিস্তানী জর্জেট,দেশীয় মসলিন,জামদানী,কাতান শাড়ীর চাহিদা অনেক বেশী বলে জানান আমান। এছাড়া ত্রীপিস টুপাট কুটি,পাকিস্থানী,ইন্ডিয়ান,রেডিমেট লংগ্রাওন,লং ত্রিপিচ,বম্বে গ্রাউন ও দেশীয় চাহিদা অনেক। পাশাপাশি পাকিস্থানী,বম্বে,মিশরি ও দেশীয় পাঞ্জাবীর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। অনেক ব্যবসায়ীরা জানান, গত বছর বন্যার কারনে ঈদের বেচাকেনা কম হলেও এবার প্রথম থেকেই বেচাকেনা ভালই জমছে। ব্যবসায়ীদের মতে এবারের ব্যবসা খুব জমজমাট হচ্ছে। উপজেলার বৃহত্তর ফকিরহাট, আবছার মার্কেট, পথেরহাট, গহিরা বাজার, আমিরহাট, পাহাড়তলি, গচ্ছি নয়াহাট, রমজান আলীরহাট, সোমবাইজ্জাহাট, জিয়াবাজার, নতুন হাট, ঈসান ভট্ররহাট, জলিল নগর, মুন্সিরঘাটা, কাগতিয়া বাজার, মগদাই বাজার, দরগাহ বাজার, জগন্নাথহাট, অলিমিয়া হাট, চৌধুরীহাট, তাহের প্লাজা সহ বিভিন্ন মার্কেটে ঈদের বেচাঁ-কেনা চলছে। তবে ফকিরহাটের বৃহত ডিউ ভিজি শপিং মার্কেটে ক্রেতাগণের ভীরে মার্কেট ভড়পুর। প্রচুর বেচাকেনা হচ্ছে বলে জানান বাটা স্বত্বাধিকারী মফিজুল ইসলাম সিকদার। ফকিরহাট ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে দোকানে ঈদ বিক্রয় উৎসবের মাধ্যমে র্যাফেল ড্র ব্যবস্থা করা হলেও তা জমছেনা। যাতে কেউ ছড়া মুল্য নিয়ে কাষ্টমারকে হয়রানী না করে সে জন্য প্রতিটি দোকানদারকে ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট জোনায়েদ কবির সোহাগ সতর্ক করে দিয়ছেন। ডিউর দুবাই সুজের স্বত্তাধিকারী মুঃ মোরশেদ ও মৌলানা তাজ মুহাম্মদ রেজভী জানান, চাহিদা মত বেচা-কিনা হচ্ছে। যথেষ্ট পরিমান কাস্টমার প্রতিদিন দোকানে ভীড় করছে। ডিউ মার্কেট পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক ওসমান গনী রানা,আনোয়ার মোস্তফা ইমরান জানান,মার্কেটে সকল ধরনের নিরপত্তা দেওয়া হচ্ছে। তবে এরপরও বেশির ভাগ কাস্টমার হাটহাজারী,চট্টগ্রাম সহ ও ফটিকছড়ির আজাদী বাজার মুখী। রাউজান থানার ওসি কেফায়াত উল্লাহ জানান, যাতে ঈদ মার্কেটে কোন ধরনের বিশৃ্খংলা না হয় সে জন্য পর্যাপ্ত পুলিশ ডিউটি করতেছে। তিনি জানান, পুরুষ মহিলা সকলেই নিবিগ্নে ঈদের কেনাকেটা করতে পারে সে ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। গতকাল পর্যন্ত রাউজানের ঈদের কেনাকেটায় কোন বিশৃ্খংলার খবর পাওয়া যায়নি। শান্তিভাবেই ঈদের কেনাকেটা চলছে। বলা যায় ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে জমে উঠেছে রাউজানের ঈদ বাজার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।