পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পতেঙ্গা সৈকতে উপচেপড়া ভিড়। নারী-শিশু থেকে শুরু করে নানা বয়সের মানুষ সেখানে। চারিদিকে বর্ণিল আবহ। ছুটির দিন ছাড়াও সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পর্যটকে মুখরিত দেশের অন্যতম এ বিনোদনকেন্দ্র। পতেঙ্গা সৈকতের মত বন্দরনগরীসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামের বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে এখন উপচেপড়া ভিড়। হোটেল-মোটেল-রিসোর্টসহ জমজমাট পর্যটন ব্যবসা। এ খাতে সংশ্লিষ্টরা এখন দারুণ খুশি। থার্টি ফাস্ট নাইটকে ঘিরে চলছে পর্যটন আকর্ষণে নানা আয়োজন।
করোনায় টানা লকডাউনের সময় পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে ছিল সুনশান নীরবতা। সেই নীরবতা ভেঙে পর্যটকের ভিড়ে মুখরিত হয়ে উঠে সৈকত, পার্ক, চিড়িয়াখানা, জাদুঘরসহ দর্শনীয় সব স্থান। স্কুল-কলেজ বন্ধ। শীতের কাঁপনও তেমন শুরু হয়নি। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। রাজনীতির মাঠও এখন উত্তাপহীন। যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভালো। সব মিলিয়ে ঘুরে বেড়ানোর উপযুক্ত সময়ের পুরোটাই কাজে লাগাচ্ছেন ভ্রমণ পিপাসুরা।
পতেঙ্গা সৈকত ছাড়াও ফয়’স লেক, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা, আগ্রাবাদ-জাম্বুরি পার্ক, কর্ণফুলীর শিশু পার্ক, স্বাধীনতা পার্ক, ওয়ার সেমিট্রি, আনোয়ারার পারকি সৈকত, সীতাকুন্ডের ইকোপার্ক, গুলিয়াখালী সৈকত, আদিনাথ পাহাড়, মীরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝর্ণায় পর্যটকের ভিড় লেগেই আছে। নগরীর সিআরবির শিরীষতলা, রেলওয়ের কাঠের বাংলো, ডিসি হিল পার্ক, জিলাপীর পাহাড়, বাটালি হিল, মেরিনার্স রোডের নেভাল টু, কর্ণফুলী সেতু, কাট্টলী সৈকত, সিটি আউটার রিং রোডে মানুষের ভিড় জমছে। পাহাড় কেটে তৈরি সিডিএ’র বায়েজিদ-ফৌজদারহাট সড়ক এখন অন্যতম বিনোদন স্পট। পরিবার-পরিজন নিয়ে সেখানে ঘুরতে যাচ্ছে অগণিত মানুষ।
পতেঙ্গা সৈকতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। পর্যটকদের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নতুন সাজে সজ্জিত পতেঙ্গাকে ঘিরে পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়ছে। পতেঙ্গায় গড়ে ওঠা হোটেল-মোটেলসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা-বাণিজ্যও বেশ জমে উঠেছে। ব্যবসায়ীরা জানান, স্বাভাবিক সময়ের মত স্কুল-কলেজের শিক্ষা সফর না থাকলেও পর্যটক আগমনের হার বাড়ছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে মানুষ সেখানে সময় কাটাতে ছুটে যাচ্ছে। পাড়া মহল্লা থেকে তরুণ-কিশোরেরা ট্রাকে-বাসে গান-বাজনা বাজিয়ে সৈকতে যাচ্ছে। সাগরে গোসল করা থেকে শুরু করে সৈকতে ঘুরে বেড়ানো, ছবি তোলা সবকিছুই চলছে স্বাভাবিকভাবে। পতেঙ্গা সৈকতের সাথে যোগ হয়েছে আউটার রিং রোডের সৌন্দর্য। পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ সাগর তীরের এ নতুন সড়কটি। এ সড়কে দাঁড়িয়ে সাগরে বড় বড় জাহাজের সারি দেখা যায়।
নগরীর কাট্টলী সৈকত এবং টোল রোড সংলগ্ন সৈকতেও পর্যটকদের ভিড়। বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোতে এসব এলাকায় রীতিমত উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। মহানগরীর পার্কগুলোতেও শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষের ভিড় লেগেই আছে। অভিভাবকরা বলছেন, লকডাউনের কারণে স্কুল-কলেজ বন্ধ। টানা কয়েক মাস ঘর থেকে কেউ বের হয়নি। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলেও ঘরে থেকে শিশু-কিশোরেরা ত্যক্ত-বিরক্ত। আর এ কারণে সুযোগ পেলেই তাদের নিয়ে অভিভাবকরা ঘুরতে বের হচ্ছেন। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় শিশুদের ভিড় লেগেই আছে। চিড়িয়াখানায় ব্যাপক সংস্কার কাজ করায় পর্যটকদের আকর্ষণও বেড়েছে।
পর্যটনকেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখা যায়, মানুষের ভিড়। বেশিরভাগ মানুষ মাস্ক পরা কিংবা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললেও অনেকে এ ব্যাপারে উদাসীন। হোটেল-মোটেল-রিসোর্টে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে কড়াকড়ি করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা ইতোমধ্যে পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে কয়েক দফায় অভিযান পরিচালনা করেছেন। পর্যটন সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতিবছরের মত এবারও পর্যটনকেন্দ্রগুলোতেও দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়ছে। তবে আগের মত শিক্ষা সফর এবং বিদেশি পর্যটকদের ভিড় তেমন নেই। বন্দরনগরীসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামের বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে স্থানীয়দের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পর্যটক আসছেন। অনেকে পরিবার-পরিজনের সদস্যদের নিয়ে এসব এলাকা ভ্রমণ করছেন। এতে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি এসেছে। হোটেল-মোটেল এবং রিসোর্টগুলোও মন্দা কাটিয়ে উঠছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।