আর মাত্র পাঁচদিন পর বাঙালির প্রাণের উৎসব পয়লা বৈশাখ। কুমিল্লার ছোট-বড় মাকের্টের দোকান ও ফ্যাশন হাউসে শোভা পাচ্ছে নববর্ষের বিশেষ পোষাক। বৈশাখী পোষাক কেনাকাটায় ক্রেতারা ঘুরে বেড়াচ্ছেন এক দোকান থেকে আরেক দোকানে। কুমিল্লায় জমে উঠেছে বৈশাখের পোষাক বেচাবিক্রি।
বাঙালীর বর্ষবরণ উদযাপন সামনে রেখে বৈশাখকেন্দ্রিক পোষাক বিক্রির জন্য কুমিল্লা নগরীর অন্তত পাঁচ শতাধিক বস্ত্র ব্যবসায়ি কয়েক কোটি টাকার তৈরি পোষাক, শাড়ি দোকানে তুলেছেন। এপ্রিলের শুরু থেকেই দোকানিরা বৈশাখী পোষাক বিক্রিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। কুমিল্লার শহর গ্রাম-গঞ্জে এখন বৈশাখী পোষাকের বিপুল সমাহার। পয়লা বৈশাখকে সামনে রেখে এবারে নানা ডিজাইন ও রঙের শাড়ি, পাঞ্জাবি, সালোয়ার-কামিজ, ফতুয়া, টি-শার্ট, স্থান পেয়েছে দোকানে। এবারের বর্ষবরণের প্রতিটি পোষাকেই লাল-সাদার পাশাপাশি উজ্জ্বল রংয়ের মধ্যে হলুদ, কমলা, নীল, মেরুন, সবুজ ব্যবহার করা হয়েছে। মেয়েদের থ্রিপিস ও টু-পার্টের কামিজে অ্যামব্রয়ডারি, টাইডাই ও ফুলেল প্রিন্টের কাজ আনা হয়েছে। ছেলে শিশুদের পাঞ্জাবি, ফতুয়া আর কন্যাশিশুদের ফ্রগ, টুপিস পোষাকে সাদার মধ্যে লাল, সবুজ, মেরুন, গোলাপী ও নীলের সংমিশ্রন আনা হয়েছে। আর শাড়ীতে বিভিন্ন রকমের আলপনা করা হয়েছে। বৈশাখী পোষাকের কারুকাজে বাঙালী সংস্কৃতির বিভিন্ন দিক ফুটে উঠেছে। দোকানগুলোতে বাহারি রঙ ও ডিজাইনের পোষাক ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে ডলের গায়ে জড়িয়ে দিয়েছেন দোকানিরা।
নগরীর মনোহরপুরে সাত্তার খান কমপ্লেক্সে শিশু পোষাকের দোকান নিউ রিলেশানের পরিচালক আবুল কাশেম জানান, বাঙলা নববর্ষকে সামনে রেখে ছেলে শিশু কিশোরদের ব্যতিক্রমী পোষাক দোকানে তোলা হয়েছে। এবারের বৈশাখী পোষাকে দৃষ্টিনন্দন কাজ ও রঙয়ে নতুন ডাইমেনশন রয়েছে। এদিকে নগরীতে দেশের নামিদামী ব্র্যান্ডের মধ্যে আড়ং, ইনফিনিটি, ইজি, ফড়িং, রঙ, বিশ্বরঙ, সাদা-কালো, অঞ্জনস, কে-ক্রাফটসহ বেশ কটি ফ্যাশন হাউসেও জমে ওঠেছে বৈশাখী পোষাকের বেচাবিক্রি।