পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধ ইসলামের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী ঘটনা। মহানবী সা. এর নেতৃত্বে ৩১৩ জন সাহাবীকে নিয়েরাসুল সা. কাফেরদের একটি বিরাট স্বশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে জিহাদ করে আল্লাহর গায়েবী মদদে বিজয় অর্জন করেছিলেন। তাই বদর যুদ্ধের চেতনায় মাদক, সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও কায়েমী স্বার্থবাদের মূলোৎপাটনের মাধ্যমে ইসলামী শাসন কায়েম করে মজলুম জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর উদ্দ্যোগে ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধের চেতনা ও আমাদের করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই একথা বলেন। সংগঠনের মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম এর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী মাওলানা এবিএম জাকারিয়া এর পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজী, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক হাফেজ মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, কে এম আতিকুর রহমান, শেখ ফজলুল করীম মারুফ, আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন, মাওলানা এইচ এম সাইফুল ইসলাম প্রমূখ।
মাদক বিরোধী অভিযানে প্রসংঙ্গে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, আমরা মাদকের মূলোৎপাটন চাই। কিন্তু অভিযানের নামে বিনা বিচারে মানুষ হত্যা সমর্থন যোগ্য নয়। রাঘব-বোয়ালসহ সত্যিকারের দোষীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি মাদকের পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি, অবৈধ অস্ত্র, ও পর্ণোগ্রাফির বিরুদ্ধেও যুদ্ধ ঘোষণার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট দাবী জানান।
নির্বাচন সম্পর্কে পীর সাহেব বলেন, ইসলামী আন্দোলন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে। তিনি বলেন, রাষ্ট্র ও জনগণের কোটি কোটি টাকা খরচ করে প্রহসণের নির্বাচনের কোনো অর্থ হয় না। এর দায় নির্বাচন কমিশন ও সরকারকেই নিতে হবে। খুলনা সিটি নির্বাচনসহ তাদের অধীনে অনুষ্ঠিত সকল নির্বাচনে কমিশন ক্ষমতাসীনদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। তাই প্রধান নির্বাচন কমিশনার সাংবিধানিক এগুরুত্বপূর্ণ পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে। পীর সাহেব নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ৫ জানুয়ারির মত নির্বাচনের নামে নাটক করবেন না। দেশের জনগণকে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দেয়ার ব্যবস্থা নিন ।
মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, স্বাধীনতার ৪৭ বছরে অনেক নেতা ও দফার পরিবর্তন হয়েছে। তারা জাতির ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে পারেনি। তাই আগামী নির্বাচনে শান্তির প্রতীক হাতপাখাকে বিজয়ী করতে হবে।
মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ বলেন, বদর যুদ্ধ মুসলমানদের ঈমান ও মনোবলকে শানিত করে। তাই বদরের চেতনায় সকল প্রকার অপশক্তি ও অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেন, বদর যুদ্ধ ছিল হক-বাতিলের প্রথম সামরিক যুদ্ধ। বদর আমাদের শিক্ষা দেয় সকল অন্যায়, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, গুম-খুনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার।
পীর সাহেব চরমোনাই ঢাকার বিভিন্ন আসনের প্রার্থীদের হাতপাখা দিয়ে পরিচয় করিয়ে দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।