নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
‘কিছুটা মুটিয়ে গেছ’- কিছুদিন আগেও এমন শব্দ ঘুরে ফিরেই শুনতে হত তামিম ইকবালকে। তবে এখন ড্যাশিং এই ওপেনারকে দেখলে চমকে যেতে পারেন অনেকেই। ওজন কমিয়েছেন অনেক। ঝরঝরে শরীর। গত দু’মাস ফিটনেস নিয়ে যে কঠোর পরিশ্রম করেছেন, সেটিরই প্রতিফলন। নিজেই বলছেন এখন তিনি আগের চেয়ে অনেক বেশি ফিট। আফগানিস্তান সিরিজের ক্যাম্পে আবার পুরোপুরি অনুশীলন শুরু করেছেন, গতকাল মিরপুরে ক্রিকেটারদের সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচে শুরুতে ব্যাটিংও করেছেন।
গত মার্চের শ্রীলঙ্কায় ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালের পর পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) একটি ম্যাচ খেলেছিলেন তামিম। তার পর থেকেই হাঁটুর চোট নিয়ে মাঠের বাইরে। খেলতে পারেননি বিসিএল ও ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে। চোটের কারণে বাইরে থাকার সময়টুকুকে নিজের জন্য আশীর্বাদ করে নিয়েছিলেন তামিম। শুরুতে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শেষ করেছেন সুনিপুণ ভাবে। এরপর লড়াইয়ে নেমেছিলেন নিজের ফিটনেসের উন্নতিতে। অন্যরা যখন ছুটিতে, তামিম নিয়মিত ঘাম ঝরিয়েছেন শের-ই-বাংলার জিমে। সেটির ফলও মিলেছে। এমনিতে তামিমের ফিটনেস নিয়ে অনেক সময়ই শোনা গেছে অভিযোগ। সেই তামিমের ফিটনেস দেখেই এবার মুগ্ধ ট্রেনার মারিও ভিল্লাভারায়ন। তামিম নিজেও অনুপ্রাণিত নিজের পরিশ্রমের ফল দেখে।
ক্যারিয়ারে এখনই কি ফিটনেস সবচেয়ে ভালো? গতকাল অনুশীলনের আগে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ওই প্রশ্নটায় সায় দিলেন তামিম। তবে জানিয়ে দিলেন, ফিটনেসে উন্নতির লড়াইয়ে থামতে চান না এখানেই, ‘ওই অবস্থাই বলতে পারেন- (ক্যারিয়ারের সেরা ফিটনেস)। আগের চেয়ে ফিটনেসে অনেক ভালো অবস্থায় আছি। সব ঠিক। তবে এটিই মানদন্ড নয়। এখান থেকে আরও ভালো হতে পারি। কারণ আমাদের দলেই এমন অনেকে আছে, যাদের পর্যায়ে যেতে হলে আমাকে আরও কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। অনেক কষ্ট করতে হবে। হ্যাঁ, বলতে পারেন যে গত ৬ মাসের কথা বললে, এখন অনেক ভালো অবস্থায় আছি।’
একটা সময় ফিটনেস ট্রেনিং থেকে একটু দূরেই থাকতে চাইতেন তামিম। গত দুই মাসে সেই তিনিই বারবার চ্যালেঞ্জ করেছেন নিজেকে। নিজেকে নিয়ে যেতে চেয়েছেন পরের ধাপে। ফিটনেস যাচাইয়ের একটা ভালো সুযোগ ছিল এদিন অনুশীলনে, ম্যাচের মতো করে অনুশীলন করেছে দল। সেই অনুশীলনে নামতে তর সইছিল না তামিমের, ‘অবশ্যই খুব রোমাঞ্চিত, কারণ প্রায় ২ মাস আমি পুনর্বাসনে ছিলাম। আজকেই প্রস্তুতি ম্যাচের মতো থেলব। যে ইনজুরিটি ছিল, আশা করি ভালো ভাবেই কাটিয়ে উঠতে পেরেছি। আমাদের হাতে যতটুকু ছিল, তার চেয়ে বেশিই করেছি আমরা। ফিজিও বলেন বা ট্রেনার, তাদের নিয়ে আমার যতটুকু স্ট্রেংথ দরকার ছিল, তার চেয়ে বেশিই করেছি। ফিটনেসের দিক থেকেও আগের চেয়ে ভালো অবস্থায় আছি। সব মিলিয়ে আমার মনে হয় প্রতিটি বক্স টিক করেছি। এখন দেখা যাক, খেলায় কোনো ঝামেলা না হলেই হয়।’
অনেকদিন পর ক্রিকেটে ফেরা। শুরুতেই আন্তর্জাতিক সফর। প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান বলেই এই ফিটনেসের একটা ভালো পরীক্ষাক্ষেত্র বলেই বনে করছেন তামিম। সিরিজে নিজে কী করতে চান? তামিম বলটা ঠেলে দিতে চাইলেন টিম ম্যানেজমেন্টের কোর্টেই, ‘আমাকে যদি অ্যাংকরের ভূমিকা দেওয়া হয়, আমাকে সেটাই করতে হবে। এমনিতে প্রথম ৬ ওভারে শট খেলেতেই হবে। সুযোগ নিতেই হবে। ৬ ওভারের মধ্যে আউট হয়ে গেলে তো হয়েই গেলাম। ওপেনারদের এই ঝুঁকি নিতেই হবে। কিন্তু যদি সেটা পার করে দিতে পারি, তাহলে আমার লক্ষ্য থাকবে লম্বা ইনিংস খেলা। ছয়ের পর থেকে ১৫ ওভারের সময়টুকুই টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ওখানে যদি আমরা বেশি উইকেট না হারাই এবং একজন যদি লম্বা ইনিংস খেলতে পারে, সেটিই আমাদের জন্য সবচেয়ে ভালো হবে। আমি ওরকম করতে পারলে দারুণ হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।