Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বিশ্বভারতীর শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাইলেন মোদি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ মে, ২০১৮, ৩:৩৫ পিএম

পশ্চিমবঙ্গের শান্তি নিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে পানির স্বল্পতা থাকায় উপস্থিত শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসেবে এর দায় তারই।  

বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে যোগ দিতে শুক্রবার সকালে শান্তিনিকেতন পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

শুক্রবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসেবে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মোদি। শুরুতে তিনি বাংলায় বলেন, ‘সকলকে আমার সশ্রদ্ধ প্রণাম। শান্তির নীড় কবিগুরুর শান্তিনিকেতনে আমি অত্যন্ত আনন্দ ও শান্তি অনুভব করছি।’ শান্তিনিকেতনের আম্রকুঞ্জে সমাবর্তনের মঞ্চে বক্তৃতা দিতে গিয়ে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চান নরেন্দ্র মোদি। তিনি জানান, অনুষ্ঠানস্থলে আসার সময় কয়েকজন শিক্ষার্থী তাকে ইশারা-ইঙ্গিতে পানির স্বল্পতার কথা জানিয়েছে। অনুষ্ঠানস্থলে পানির এমন স্বল্পতার জন্য ক্ষমা চেয়ে মোদি বলেন, ‘অনুষ্ঠানস্থলে আসার সময় আমি দেখলাম কয়েকজন শিক্ষার্থী পানির সরবরাহ কম বলে অভিযোগ করছিলো। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসেবে আমি পুরোপুরি এর দায় নিচ্ছি এবং আপনাদের কাছে ক্ষমা চাইছি।’

শিক্ষার্থীদের প্রশংসা করে মোদি বলেন, ‘আপনাদের ডিগ্রি আপনাদের মেধাকেই প্রতিফলিত করছে।’

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে উদ্ধৃত করে মোদি বলেন, “গুরুদেব বলতেন, ‘যদি তোমার ডাকে কেউ সাড়া না দেয় তবে একলা চলো। অবশ্য আমি বলতে চাই, আপনারা যদি একটি পদক্ষেপ নেন, তবে সরকার উন্নত ভারত গড়ার কাজে আপনাদেরকে আরও চার ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।’

মোদি জানান, মঞ্চে ওঠার সময় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের কথা তার মনে হচ্ছিলো। তিনি বলেন, ‘যখন মঞ্চের দিকে আসছিলাম, আমি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথা স্মরণ করছিলাম। তিনি এখানে মহাত্মা গান্ধী এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সবসময় বিশ্ব নাগরিক হিসেবে স্মরণীয় থাকবেন। আমি যখন তাজিকিস্তান গিয়েছিলাম, তখন সেখানে রবীন্দ্রনাথের একটি ভাস্কর্য উন্মোচনের সুযোগ পেয়েছিলাম। রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস করতেন, প্রত্যেক ব্যক্তিই জীবনে কিছু করার জন্য জন্মগ্রহণ করেছে। সঠিক পথের নির্দেশনা দেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রদান খুব জরুরি, যেন তারা সঠিক গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে। তিনি বলতেন, শিক্ষা কেবল স্কুল, কলেজেই দিতে হয় না, বরং বিভিন্ন উপায়েই শিক্ষা দেওয়া যায়।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মোদি

২৮ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ