পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : বিশ্ব মুসলিমকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইসরাইলের মোকাবিলা করার আহŸান জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যিপ এরদোগান। গাজা উপত্যকায় গত সপ্তাহে গণহারে ইসরাইলি সেনারা ফিলিস্তিনিদের হত্যা করেছে। এমন দাবি করে এসব হত্যার জন্য অবশ্যই ইসরাইলকে জবাবদিহি করানোর জন্য তিনি ইসলামিক দেশগুলোর সংগঠন ওআইসির নেতাদের প্রতি আহŸান জানান। ইসরাইলি বাহিনীর পাশবিক দমনপীড়ন এবং হামলা থেকে ফিলিস্তিনিদের রক্ষা করতে তাদের জন্য একটি আন্তর্জাতিক সুরক্ষা বাহিনী মোতায়েনের আহŸান জানিয়েছেন মুসলিম নেতারা। ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের বর্বর হত্যাকাÐের পরিপ্রেক্ষিতে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা ওআইসি›র যে জরুরি সম্মেলনের আয়োজন করা হয় সেখান থেকে তারা এ আহŸান জানান। এ সংগঠনের প্রেসিডেন্ট এখন এরদোগান। এদিকে ইসরাইলকে চূড়ান্তভাবে বয়কট এবং তেল আবিবের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য মুসলিম দেশগুলোর প্রতি আহŸান জানিয়েছেন ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি। পাশাপাশি তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্বিবেচনা করারও আহŸান জানিয়েছেন। ওআইসি’র বিশেষ শীর্ষ সম্মেলনে তিনি এ আহŸান জানান। সম্মেলনে তিনি মুসলিম বিশ্বের প্রতি জোরালো আহŸান জানিয়ে বলেছেন, ইসরাইলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রতিরোধ আন্দোলনগুলোকে আপনারা সর্বসম্মত সমর্থন দিন। এ সময় তিনি ফিলিস্তিনিদের ওপর সা¤প্রতিক ইসরাইলি গণহত্যা এবং তেল আবিব থেকে বায়তুল মুকাদ্দাসে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তর করার নিন্দা জানান। এ ধরনের শত্রæতামূলক নীতির অবসানে তিনি বেশ কিছু প্রস্তাবও তুলে ধরেন। ইসরাইলি দখলদারিত্বের ৭০তম বছর উপলক্ষে ফিলিস্তিনিরা বিক্ষোভ প্রতিবাদ করছেন। আর তাদের ওপর বৈষম্যপূর্ণভাবে গুলি ছুড়ে হত্যা করছে ইসরাইলি সেনারা। এর প্রেক্ষিতে শুক্রবার তিনি ওআইসির ব্যতিক্রমী সম্মেলন আহŸান করেন। তাতে বক্তব্য রাখেন এরদোগান। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদেরকে এভাবে হত্যার ফলে আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় নিন্দার ঝড় উঠেছে। এশিয়া থেকে শুরু করে মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকাজুড়ে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভ হচ্ছে। তুরস্কের সবচেয়ে বড় শহর ইস্তাম্বুলে এরদোগান এ সম্মেলনে বলেন, ইসরাইলি দস্যুরা ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে। তাই ইসরাইলের বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ নিতে হবে যাতে সারা বিশ্বকে দেখানো যায় যে, মানবতা মরে যায় নি। তিনি ইসরাইলের এই কর্মকান্ডকে গুন্ডাপনা, নৃশংসতা ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস হিসেবে অভিহিত করেন। ফিলিস্তিন সমস্যার জন্য তিনি এ সময় যুক্তরাষ্ট্রকেও দায়ী করেন। ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিনের জেরুজালেম যখন ইসরাইল দখল করে নেয় তখন সেখান থেকে জোর করে বের করে দেয়া হয় সাড়ে সাত লাখ মুসলিম ফিলিস্তিনিকে। এসব ঘটনায় মুসলিম বিশ্বে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ইস্তাম্বুল সম্মেলন আহŸান করেন রিসেপ তায়্যিপ এরদোগান। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পদক্ষেপ নিতে আহŸান জানান ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। শুক্রবার দিনশেষে চূড়ান্ত ঘোষণা দেয় ওআইসি। এ বিষয়ে দেয়া বিবৃতিতে গাজায় গণহত্যার আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি করা হয জাতিসংঘের প্রতি। একই সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের সুরক্ষা দিতে একটি আন্তর্জাতিক প্রতিরোধ বাহিনী গড়ে তোলার আহŸান জানানো হয়। যেসব দেশ জেরুজালেমে ইসরাইলের দখল স¤প্রসারণকে সমর্থন তা স্বীকৃতি দেবে এমন দেশ বা কোম্পানি বা ব্যক্তিবিশেষের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক কড়াকড়ি আরোপের আহŸান জানানো হয় ওআইসির প্রতি। আনাদোলু, আল-জাজিরা, পার্সটুডে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।