দীর্ঘদিনের ইতিহাসের পরিক্রমায় সম্প্রতি ফিলিস্তিনের মুসলিমদের ওপর চালানো ইসরাইলী আগ্রাসনের প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ইসরাইলের বিধ্বংসী হামলাকে মানবিক বিপর্যয় উল্লেখ করে এর প্রতিবাদে মুসলমানদেরকে এক হওয়ার আহ্বান জানান তারা। তারা বলেন, এ অবস্থায় সমগ্র মুসলিম বিশ্বের উচিত ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়ানো।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তারা এ আহবান জানান। ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীবৃন্দ’র ব্যানারে তা অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ইসরাইল রাষ্ট্র অন্যায় ও অবৈধভাবে ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী মুসলমানদের উপর আক্রমণ করছে।
বিগত কয়েক বছরে তারা হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করছে। শিশুদেরকেও তারা রেহাই দিচ্ছে না। সেখানে মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করছে তারা। এ অবস্থায় সমস্ত মুসলিম বিশ্বের উচিত ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়ানো। এ সময় ফিলিস্তিনের প্রতি বাংলাদেশকেও সাহায্য সহযোগিতা করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান শিক্ষার্থীরা। শুধু মুসলিম হিসেবে নয় বরং একজন মানবতাবোধসম্পন্ন মানুষ হিসেবে তারা মানবন্ধনে দাঁড়িয়েছেন বলে মন্তব্য করেন।
মানববন্ধনে ঢাবির সমাজকল্যাণ বিভাগের শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমান বলেন, ফিলিস্তিনের এই সংকট সম্প্রতি নয়। দীর্ঘদিন যাবৎ তাদের এই সংকট চলছে। তাদের মদদ দিচ্ছে সৌদি আরব। সৌদি আরব ইহুদি, খ্রিস্টানদের সঙ্গ নিয়ে তারা মুসলমানদের বিরুদ্ধে যাচ্ছে।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল রাশেদ বলেন, জাতিসংঘ একটি খেলাঘরে পরিণত হয়েছে। তারা ফিলিস্তিনের উপর হামলাকারী ইসরাইলদের কিছুই বলছে না। আন্তর্জাতিক একটি সংস্থা হয়ে তাদের কর্মকাণ্ড এখন প্রশ্নবিদ্ধ। তারা ক্ষমতাধর দেশগুলোকে দালালি করছে। বাংলাদেশকে তাদের পাশে দাঁড়াতে সরকারের প্রতি আহবান জানাই।
ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের শিক্ষার্থী আল মামুন বলেন, মুসলমানরা আজ পৃথিবীতে একমাত্র নিষ্পেষিত জাতি। কিন্তু সমস্ত মুসলিম বিশ্বের নেতারা ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়াচ্ছে না। আমরা সমগ্র বিশ্বের মুসলমানদের এক হওয়ার আহবান জানাই।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচশতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুকাভিনয় গ্রুপ ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাইম অ্যাকশন’ মুকাভিনয়ের মাধ্যমে ইসরাইলের আগ্রাসনের প্রতিবাদ জানান।