পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : শরিয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে পদ্মা সেতুর চতুর্থ স্প্যান (সুপার স্ট্রাকচার) বসানো হয়েছে। গতকাল রোববার সকালে সেভেন-ই নামক চতুর্থ স্প্যানটি ৪০ ও ৪১ নম্বর পিলারের উপর বসানো হয়। এর মাধ্যমে দৃশ্যমান হলো পদ্মাসেতুর ৬শ’ মিটার কাঠামো। এর আগে ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০ নম্বর পিলারে তিনটি ধূসর রংয়ের স্প্যান বসানোর মাধ্যমে ৪৫০ মিটার কাঠামো দৃশ্যমান হয়েছে সেতুতে। পদ্মা সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মোঃ আব্দুল কাদের জানান, আবহাওয়া ভাল থাকায় সকাল সাড়ে ১০টায় স্প্যান বসানোর কাজ সুসম্পন্ন হয়।
এর আগে গত শনিবার বিকেল ৩টার দিকে জাজিরা প্রান্তের ৪২ নম্বর পিলারের কাছে পৌঁছায় চতুর্থ স্প্যান বহনকারী ক্রেনটি। ওই দিন সকাল ৯টার দিকে মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ের মাওয়া কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে তিন হাজার ৬শ’ টন ধারণ ক্ষমতার “তিয়ান ই” ক্রেনে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটি আনা শুরু হয়। স্প্যান বহনকারী ক্রেনটি চলাচলের সুবিধার্থে চ্যানেল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় পিলারের পাইল স্থাপনের জন্য ফ্লোটিং ক্রেনগুলো। একজন প্রকৌশলী বলেন, মাওয়া থেকে জাজিরা প্রান্তে স্প্যানটি আনতে প্রায় ৬ ঘণ্টা সময় লেগেছে। তিনি বলেন, চতুর্থ স্প্যানটি আরো আগে আসার কথা থাকলেও আবহাওয়া এবং চ্যানেলে পাইলিংয়ের কাজে ব্যবহৃত ভাসমান ক্রেন, যন্ত্রাংশের কারণে দেরি হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, স্প্যান বসানোর আগে ওয়েট টেস্ট, বেজ প্লেট, পাইল পজিশন, টায়াল লোড টেস্ট, মেজারমেন্টসহ যাবতীয় আনুষঙ্গিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়।
গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর বসানো হয় পদ্মা সেতুর প্রথম স্প্যানটি। এর প্রায় ৪ মাস পর চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি দ্বিতীয় স্প্যানটি বসে। এর দেড় মাস পর ১১ মার্চ শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে ধূসর রঙের তৃতীয় স্প্যানটি বসানো হয়। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতুতে ৪২ পিলারের ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান। পদ্মা বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। সেতুর মোট পিলারের সংখ্যা ৪২টি। তবে আগামী মাস থেকে নদীতে ¯্রােত বেড়ে যাওয়ায় এবং ঝড়ের কারণে কাজের গতি কমে আসার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।