নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
এক বছরেরও বেশি বাকি। তারপরও আইসিসি ২০১৯ বিশ্বকাপের সূচি চূড়ান্ত হবার পর থেকেই ছড়িয়ে পড়েছে এর উত্তাপ। ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের সেই উত্তাপের আঁচ এরই মধ্যে লাগতে শুরু করেছে সাত সমুদ্র তের নদীর এপার বাংলাদেশেও। দু’দিন আগে শহীদ সোহরাওয়ার্দি ইনডোর স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ভলিবল দলের ফাইনাল খেলা দেখতে এসেছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এবারের ফরম্যাটটা একটু ভিন্ন হচ্ছে বিশ্বকাপের। বিশ্বকাপ খেলার টিকিট পাওয়া সব দলের বিপক্ষেই লড়তে হবে বাংলাদেশকে। এ নিয়েই খটকা বেধেছে বিসিবি বসের। জানিয়েছিলেন, আশাবাদী হতে পারছেন না নিজের দল নিয়ে! বলেছিলেন, ‘বিশ্বকাপে বাংলাদেশ নিশ্চিত ভালো করবে, এটা বলা কঠিন। এখন বাংলাদেশ ভালো খেলছে। কিন্তু বাংলাদেশের চেয়ে অনেক দলই আরো ভালো খেলছে। জিততে হলে দুটি জিনিস দরকার- ভালো খেলোয়াড় আর ভালো দল। ভালো খেলোয়াড় আছে কিন্তু আমাদের পুরো দল এখনো প্রস্তুত নয়। সেদিক দিয়ে অনেক পিছিয়ে আছি অনেক দল থেকে।’ কারণ হিসেবে বিসিবি সভাপতির কথা উঠে এসেছিল কন্ডিশনের চিন্তা, ‘আমাদের বেশির ভাগ সাফল্য দেশে বা উপমহাদেশে। উপমহাদেশের বাইরে খুব বেশি সাফল্য পাইনি। যেহেতু বিশ্বকাপটা উপমহাদেশের বাইরে, কী করা উচিত আমরা জানি, চেষ্টা করব। তবে সাফল্য নির্ভর করছে আমাদের ছেলেরা কেমন করছে আর প্রতিপক্ষ কেমন করছে সেটির ওপর। এটা একদিনের খেলা। যেদিন যে ভালো খেলবে সে জিতবে। তবে বাংলাদেশের উন্নতির অনেক জায়গা আছে।’
ঠিক তার একদিন পর পাপনের উল্টোসুরে কথা বললেন বাংলাদেশ দলের তারকা ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল। জানালেন নতুন ফরম্যাট বলেই আরো বেশি রোমাঞ্চিত তিনি। হাঁটুর চোট থেকে আপাতত সেরে ওঠার প্রক্রিয়ায় আছেন ড্যাশিং এই ওপেনার। প্রতিদিনই জিম করছেন, গতকাল রানিং সেশনও শুরু করেছেন। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে এরই ফাঁকে জানালেন, ১৩ মে থেকে ক্যাম্পেও যোগ দেওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। তবে নিজের চেয়ে তামিম আজ কথা বললেন দল নিয়েই।
১৯৯২ বিশ্বকাপের ফরম্যাট ২০১৯ বিশ্বকাপে ফিরছে আবার। গ্রæপ পর্বে সবগুলো দলই মুখোমুখি হবে একে অন্যের, সেখান থেকে চারটি দল যাবে সেমিফাইনালে। তামিম বাংলাদেশের জন্য এটা সুযোগ হিসেবেই দেখছেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে ফরম্যাট খুবই রোমাঞ্চিত। একটা টুর্নামেন্টে সবার সঙ্গে খেলা, এই সুযোগ আমরা পাব। প্রতিটি টেস্ট খেলুড়ে দেশের সঙ্গে খেলা হবে, একটা সহযোগী দেশও আছে। এটা এমন ফরম্যাট, যদি কোনো দল শিরোপা জিততে চায় পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে সেই দলকে ভালো খেলতে হবে। প্রতিটি দলকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। লম্বা সময় ধরে অনেক ম্যাচ জিততে হবে কোয়ালিফাই করতে। ফরম্যাটটা চ্যালেঞ্জিং হবে। আমি খেলতে উন্মুখ।’
তামিম মনে করিয়ে দিচ্ছেন, এবারের বিশ্বকাপে লম্বা সময় ভালো খেলার বিকল্প নেই, ‘গ্রæপ থাকলে বোঝা যায় কটা ম্যাচ আমাদের জিততে হবে কোয়ালিফাই করতে। গ্রæপে এক-দুইটা ম্যাচ জিতলে কোয়ালিফাই করা সম্ভব। কিন্তু এখানে হয়তো ৫-৬টা ম্যাচ জিততে হবে কোয়ালিফাই করতে হবে। এটা অবশ্যই একটা চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার আমাদের জন্য। লম্বা সময় ভালো খেলতে হবে। টুর্নামেন্টে যদি আমরা স্মরণীয় করে রাখতে চাই, সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, বিশ্বকাপের এখনো এক বছর সময় আছে। এই সময়ে যে সিরিজগুলো আছে, আমরা যদি ভালো খেলি, সিরিজ যদি জিতি তবে আত্মবিশ্বাস নিয়ে যাওয়া যাবে।’
কিছুদিন বিরতির পর সামনে বাংলাদেশের টানা খেলা। এফটিপিতেও সামনে অপেক্ষা করছে ব্যস্ত সময়। তামিম ব্যাপারটা দেখছেন ইতিবাচক দৃষ্টিতেই, ‘আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশ যত ম্যাচ খেলবে গত ১০-১৫ বছরে মনে হয় এত ম্যাচ খেলেনি। এটা ইতিবাচক দিক। সবাইকে কৃতিত্ব দেওয়া উচিত। বোর্ড খেলোয়াড়কে। খেলোয়াড়েরা ভালো খেলেছে বলেই অনেক কিছু সম্ভব হয়। আগামী পাঁচ বছর আশা করি দলের সঙ্গে থাকব আর যত বেশি ম্যাচ খেলতে। চেষ্টা করব যে সুযোগগুলো আসছে দু’হাতে লুফে নিতে। শুধু খেলার জন্য খেলা নয়, চেষ্টা করব ভালো খেলতে।’
এই চেষ্টায় প্রধান অন্তরায় হয়ে দেখা দিতে পারে কোচ সমস্যা। প্রায় ৬ মাস হতে চলল প্রধান কোচ শূণ্য বাংলাদেশ দল। পাপনের কাছে জানতে চায়া হয়েছিল, কবে নতুন কোচ পাচ্ছে বাংলাদেশ? আশাব্যঞ্জক কোন উত্তর দিতে না পারলেও বিসিবি প্রধানের ভাষ্য ছিল এরকম, ‘কোচের ব্যাপারে অবশ্যই অগ্রগতি হয়েছে। চুক্তিপত্র সই হয়ে হাতে না আসা পর্যন্ত আমরা কিছু বলতে পারছি না। আশা করি হয়ে যাবে। ওটা (চুক্তিপত্র) হাতে পেলেই হয়ে যাবে।’ এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এটিকে ‘ভালো দিক’ দেখতে পাচ্ছেন তামিম, ‘আমার কাছে যেটা ভালো লাগছে, তারা তাড়াহুড়ো করছে না। চাইলে হুট করে একজন নিয়েও আসতে পারত। তাড়াহুড়ো না করে যাকেই নিয়ে আসুক সময় নিয়ে করছে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। যথার্থ কোচকে খুঁজতে সময় নিচ্ছে, এটা ভালো দিক।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।