মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : চীন গত সোমবার বলেছে যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং চলতি সপ্তাহে উহানে তাদের অনানুষ্ঠানিক সম্মেলনে বিশ্বায়ন এবং ক্রমবর্ধমান সংরক্ষণবাদের হুমকি নিয়ে আলোচনা করবেন এবং বিশ্ব এ ব্যাপারে অত্যন্ত ইতিবাচক আওয়াজ শুনতে পাবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই রোববার ঘোষণা দেন যে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নের জন্য ২৭-২৮ এপ্রিল মোদি ও শি মধ্য চীনের শহর উহানে বৈঠকে বসবেন। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লু কাং বলেন, উহানে দুই দেশের নেতা দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত ইস্যু এ বিশ্বের চলমান গতিপ্রকৃতি নিয়ে মতবিনিময় করবেন যাতে বিশ্বের উন্নয়ন একটা স্থিতিশীল গতিতে হতে পারে। লু বলেন, “যে প্রেক্ষাপটে এই বৈঠক হতে যাচ্ছে, আমার বিশ্বাস আপনারা এ বিষয়টি অবগত আছেন যে বিশ্বায়নের বিস্তারের সাথে সাথে একপাক্ষিক মনোভাব এবং সংরক্ষণবাদেরও উত্থান ঘটছে।” অপরদিকে আসন্ন বৈঠকের বিষয়ে ইসলামাবাদকে আশ্বস্ত করে বেইজিং বলেছে যে দুই দেশের সম্পর্ক খুইই দৃঢ় এবং তা কখনো টুটবে না। মোদির সফর নিয়ে ইসলামাবাদে অস্বস্তি রয়েছে বলে খবর প্রকাশের প্রেক্ষাপটে চীনের পক্ষ থেকে ওই কথা বলা হয়। চীন ও পাকিস্তান পরস্পরকে সর্ব মওসুমের বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে এবং এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখে পাকিস্তানের প্রতিবেশী ও ঐতিহ্যগত শত্রæ-ভারত। গত এক বছর ধরে সীমান্ত সমস্যা থেকে শুরু করে দালাই লামা পর্যন্ত বিভিন্ন ইস্যুতে চীনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক শীতল হয়ে পড়ে। তাই সম্পর্কে উষ্ণতা আনতে চীন যাচ্ছেন মোদি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘যুক্তরাষ্ট্র প্রথম’ নীতি এবং সেটা থেকে সৃষ্ট সংরক্ষণবাদী পদক্ষেপ যার মধ্যে বর্তমানের চীন-মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধও রয়েছেÑ এগুলোর দিক ইঙ্গিত করে লু বলেন, বিশ্বের এই সব নতুন ধারাগুলোর উপর নজর রাখা হচ্ছে এবং এগুলো নিয়ে অনেক বিতর্ক হচ্ছে। মোদি ও শি-এর বৈঠকের পর বিশেষ করে মার্কিন একপক্ষীয় সংরক্ষণবাদের বিরুদ্ধে কোন যৌথ বার্তা দেয়া হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে লু এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “এরকম পরিস্থিতিতে চীন ও ভারতের আলোচনার অনেক বিষয় রয়েছে। আমরা উভয়েই উদীয়মান অর্থনীতির দেশ এবং উন্নয়নশীল দেশ এবং উভয়েরই বিপুল জনসংখ্যা রয়েছে।” তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি দুই দেশ বিশ্বায়নকে সমুন্বত রাখার ব্যাপারে কাজ করে যাবে যাতে এখানে সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করা যায়। আমাদের অনেক অভিন্ন স্বার্থ, উদ্বেগের বিষয় ও সম্ভাবনা রয়েছে”। বাণিজ্য ও বিশেষ করে মার্কিন একচেটিয়া সংরক্ষণবাদের বিরুদ্ধে কোন যুক্ত বার্তা দেয়া হবে কি না, এমন সুনির্দিষ্ট প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বৈঠকের আগে এ ব্যাপারে আগাম কিছু বলতে পারছেন না তিনি। “এটা নিশ্চিত যে দুই নেতা এই বিষয়গুলো নিয়ে মতবিনিময় করবেন কিন্তু আমার বিশ্বাস আপনারা অত্যন্ত ইতিবাচক বক্তব্য শুনতে পাবেন”। সাউথ এশিয়ান মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।