পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
ইনকিলাবের প্রিয় পাঠক ভাই-বোনেরা আমার কাছ থেকে কি ধরনের লেখা চান সে ব্যাপারে আমি সব সময় অনুসন্ধান করার চেষ্টা করি এবং সজাগ হওয়ার প্রয়াস পাই। আমি তাদের সেই মনের ক্ষুধা তথা তাদের আত্মিক চাহিদা যতদূর সম্ভব পূরণ করার চেষ্টা করি। পাঠকের চাহিদা মোতাবেক লেখা বা কাজ করাকে ইংরেজিতে বলে Populist Writing. ইংরেজিতে আরেকটি শব্দ আছে। সেটি হলো Playing to the gallery. তাই বলে কেউ যদি পপিউলিজমকে Demagogy বা Rabble rousing বলে মনে করেন তাহলে তিনি ভুল করবেন।
বিএনপি এবং বেগম খালেদা জিয়ার কারাদন্ড ও মুক্তি সম্পর্কে আজ আমি কতগুলো চরম সত্য কথা বলবো। এসব সত্য কথার কিছু কিছু অংশ পাঠকদের মনের ক্ষুধা বা মনের প্রত্যাশা পূরণ নাও করতে পারে। কিন্তু একজন কলামিস্টের কাজ তো শুধুমাত্র পাঠকদের খুশি রাখাই নয়, তারা পছন্দ করুক আর নাই করুক, তাদেরকে চরম সত্যের মুখোমুখি দাঁড় করানো। আমি আপনাদেরকে সেই চরম সত্যের মুখোমুখি দাঁড় করাতে চাই। আর সেটি হলো বেগম জিয়ার মুক্তি প্রসঙ্গ। আমি বিএনপি স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য সদ্য কারামুক্ত নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের উক্তি দিয়ে শুরু করছি।
প্রিয় পাঠক, আপনরা হয়তো লক্ষ করেছেন যে, গয়েশ্বর বাবু প্রায় দু’মাস কারা ভোগের পর যখন বেরিয়ে আসেন তখন প্রথম কয়েকদিন তিনি বেশ নিশ্চুপ থাকেন। প্রথম কয়েক দিন তিনি কেন নীরবতা অবলম্বন করেন সেটি তিনি নিজেই বলেছেন। গত ১৮ এপ্রিল দৈনিক ইনকিলাবের প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত খবরে গয়েশ্বর বাবু বলেছেন, আমি জেল থেকে বের হওয়ার পর অনেকেই পরামর্শ দিয়েছেন, কম কথা বলার। কিন্তু কী করব, না বললে তো মনে কথা জমা হয়ে যায়। সে কারণেই বলছি, শেখ হাসিনার অধীনে যদি আগামী নির্বাচনে যাই, তাহলে ২০১৪ সালে কেন গেলাম না? বিগত বছরে যে এত নির্যাতন হলো, নেতাকর্মী ও জনগণের কাছে এখন কি জবাব দিবেন? নেতাকর্মী ও জনগণের কাছে এতো নির্যাতন হয়েছে। আমরা সবসময় নিরপেক্ষ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চেয়েছি, এদেশের মানুষও তাই চায়। এই দাবি আদায়ের পর আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আমরা নির্বাচনে যাবো কিনা। এজন্য কেউ কেউ আমাকে বলেছেন চুপচাপ থাইকেন।
আন্দোলন করে সরকারের পতন ঘটাতে না পারলে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে শেখ হাসিনা জীবিত মুক্তি দিবেন না বলে মন্তব্য করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, আন্দোলন না করলে জেলগেটে তার (খালেদা জিয়া) লাশ ফেরত নিতে আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। গত মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও এম ইলিয়াস আলীর সন্ধানের দাবিতে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় তিনি একথা বলেন।
খালেদা জিয়া ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে যাবে না মন্তব্য করে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, আমরা যদি এই সরকারের পতন ঘটাতে না পারি তাহলে খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে না, শেখ হাসিনাও আমাদের নেত্রীকে মুক্তি দেবে না। জেলগেটে লাশ ফেরত দেবে, জীবিত মুক্তি দেবে না। আমাদেরকে নেত্রীর লাশের জন্য জেলগেটে অপেক্ষা করতে হবে। সুতরাং খালেদা জিয়াকে যারা জেলে পাঠিয়েছে, তাদেরকে ক্ষমতায় রেখে এদেশে গণতন্ত্রের কোনো ভবিষ্যৎ নাই।
তিনি বলেন, বিএনপির অনেকেই যুক্তি দেখায়, আমরা নির্বাচনে অংশ নেবো নেত্রীর মুক্তির আন্দোলনের অংশ হিসেবে। নির্বাচনে অংশ নিতে চান আন্দোলনের কৌশল হিসেবে। এ-ও কথা আছে। সরকার নাকি ৩০ থেকে ৯০টি আসন বিএনপিকে দিতে চায়। আমি জানতে চাই, আসনের মালিক কি শেখ হাসিনা? যদি তাই হয় তাহলে আমরা গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলন করছি কেনো? আমাদের কৌশল এখন একটাই হওয়া উচিত। তা হলো, জনগণকে সাথে নিয়ে রাস্তায় নামা। দলীয় ঐক্যের গুরুত্ব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের ঐক্য হতে হবে। সেই ঐক্য যেন মান্নান ভুঁইয়ার মতো না হয়। খালেদা জিয়া আর তারেক রহমানকে বের করে দিয়ে নয়। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরো বলেন, আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যদি জনগণকে অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ দিতে পারি, তাহলে বিএনপি যত আসনে দাঁড়াবে তার প্রত্যেকটি আসনেই জয়লাভ করবে।
\দুই\
পত্র পত্রিকার মাধ্যমে আমরা সকলেই জানি যে, বেগম খালেদা জিয়া একজন আয়রন লেডি। তিনি একজন শক্ত মনের মানুষ। রাজনীতিতে তিনি ভাবাবেগকে প্রশ্রয় দেন না। তার ৩৩ বছরের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে দেখা গেছে যে, তিনি সুবিধাবাদের সাথে অথবা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নীতির সাথে আপোস করেন না। এজন্যই তার নাম হয়েছে আপোসহীন নেত্রী। বিগত ১০ বছর ধরে দেশ যখন ধীরে ধীরে স্বৈরতন্ত্রের রাহু গ্রাসে চলে যাচ্ছিল তখন বেগম জিয়াই একমাত্র ব্যক্তি যিনি বিগত ১০ বছর ধরে স্বৈরতন্ত্রের কবল থেকে গণতন্ত্রকে রক্ষার জন্য আপোসহীন লড়াই করে যাচ্ছেন। সেজন্যই দেশবাসী তাকে শ্রদ্ধাভরে উপাধি দিয়েছেন, ‘গণতন্ত্রের মাতা’ বা Mother of Democracy.
এগুলোর সবই সত্য। সবার ওপর সত্য হলো, তিনি একজন মানুষ। অস্থি-মাংস এবং রক্ত দিয়ে গঠিত একজন মানব সন্তান। তাই একজন সাধারণ মানুষের মতো তারও আছে আবেগ অনুভ‚তি, অনুরাগ বিরাগ, ক্রোধ এবং শান্তশিষ্টতা। যেখানে কোটি কোটি দেশবাসী তার মঙ্গল ও সুস্থতা চাচ্ছেন, সেই সময় তিনি যখন অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সামনে কারা মুক্তির কোনো আলোক বর্তিকা তার চোখে পড়ে না তখন তিনিও আবেগ প্রবণ হয়ে পড়েন।
সেজন্যই ১লা বৈশাখ ১৪ এপ্রিল শনিবার তার পুত্রবধু শর্মিলা রহমান সিথি (মরহুম কোকোর স্ত্রী) যখন তার দুই কন্যাকে অর্থাৎ বেগম জিয়ার দুই নাতনীকে নিয়ে যখন কারাগারে বেগম জিয়ার সাথে দেখা করেন তখন বেগম জিয়া স্বাভাবিকভাবেই আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। দুই নাতনীকে বুকে জড়িয়ে ধরে ধরা গলায় তিনি বলেন, ‘তোমরা চলে যাও। জানি না, আর দেখা হবে কিনা। যদি বেঁচে থাকি তাহলে আবার দেখা হবে।’ পরদিন রোববার দুই কন্যাকে নিয়ে কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান সিথি লন্ডন চলে যান।
গত ২৯ মার্চ কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিথি দুই কন্যাকে নিয়ে লন্ডন থেকে ঢাকা আসেন। তখন তারা এবং সেই সাথে বেগম জিয়ার কোটি কোটি ভক্ত আশা করেছিলেন যে, যেহেতু হাইকোর্ট তাকে জামিন দিয়েছেন তাই তিনি আদালতের বিশেষ অনুমোদন ক্রমে কিছু দিনের জন্য শরীর স্বাস্থ্য ঠিক করার উদ্দেশ্যে লন্ডন যাবেন। পত্র পত্রিকা এবং সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে একটি ধারণা হয়েছিল যে, জামিনের পর শর্মিলা রহমান সিথি হয়তো বেগম জিয়াকে নিয়েই লন্ডন ফিরে যাবেন। কিন্তু কে জানতো যে হাইকোর্টে প্রাপ্ত জামিন সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগে বিনা মেঘে বাজ পড়ার মতো অকস্মাৎ আটকে যাবে।
আবেগ এক বিষয়, আর কঠিন বাস্তব অন্য বিষয়। এই সরকারের একটি দিক যদি বিএনপি নেতৃবৃন্দ ভালোভাবে বুঝতে না পারেন তাহলে তারা পদে পদে ভুল করবেন এবং করে যাচ্ছেন। বিএনপি তথা বিরোধী দল সমূহের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ যা বলছে সেখান থেকে তারা এক চুলও নড়ছে না। গত ৯ বছর ধরে বিএনপি আওয়ামী লীগের কাছে সংলাপ চাই সংলাপ চাই বলে মাথা কুটেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ প্রতিবার বিএনপির সংলাপের এই আবেদন তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছে। ৯ বছরেও কি বিএনপি বুঝতে পারেনি যে আওয়ামী লীগ সংলাপে বসবে না? তারা একমাত্র তখনই বিএনপি বা বিরোধী দলের কথা শুনবে যখন তারা বাধ্য হবে। কোটা সংস্কার দাবি ৩ দিনের মাথায় সরকার মেনে নিয়েছে, যখন তারা দেখেছে যে, ঢাকা শহর এবং মফস্বলের লক্ষ লক্ষ ছাত্র রাস্তায় নেমে এসেছে। এই দাবি না মেনে তাদের উপায় ছিল না। দাবি না মানলে তারা পদত্যাগ করতে বাধ্য হতো। মনে আছে, কিছু দিন আগে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপর ভ্যাট আরোপের কথা ছিল। সাথে সাথে সারা ঢাকা মহানগরীতে লক্ষ বেসরকারি ছাত্র রাস্তায় নেমে পড়েছিল। মহানগরী অচল হয়ে গিয়েছিল। সরকার দুই দিনের মাথায় ভ্যাট বসানোর সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটে।
বিএনপি তো ভাবতেই পারেনি যে এই সরকার বেগম জিয়ার মতো এত বড় মাপের নেত্রীকে কারাদন্ড দেবে। কিন্তু ওরা কারাদন্ড দিয়েই ছাড়লো। বিএনপি ভাবতেই পারেনি যে, কারাদন্ড দিলেও তারা তাকে জেলে ঢুকাতে পারবে। কিন্তু ওরা তাকে জেলে ঢুকিয়েই ছাড়লো। জেলে যাওয়ার পর বিএনপির অন্তত ৫/৬ জন সিনিয়র মোস্ট নেতা প্রকাশ্যে বলেছেন যে, দুই চার দিনের মধ্যে বেগম জিয়ার জামিন হয়ে যাবে। কিন্তু আমাদের মতো মানুষ যারা প্রায় ৪৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি, তারা বলেছি যে, ছেড়ে দেওয়ার জন্য বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৬টি মামলা করা হয়নি। ছেড়ে দেওয়ার জন্য তাকে কারাদন্ড দেওয়া হয়নি। ছেড়ে দেওয়ার জন্য তাকে জেলে ঢুকানো হয়নি। ছেড়ে দেওয়ার জন্য জামিনের শুনানি দেড় মাসের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হয়নি।
\তিন\
এগুলো এই সরকার করার সাহস পেত না যদি বিএনপি এবং তার মিত্ররা রাজপথ প্রকম্পিত করতে পারতো। জেলখানায় ঢোকার পর আজ আড়াই মাস হলো, টেলিভিশনে যেসব টক শো হচ্ছে, সেসব টক শোর প্রায় প্রতিটিতে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য, বুদ্ধিজীবী সাংবাদিক, উকিল প্রমুখ প্রতিদিন বলছেন যে, বেগম জিয়াকে জেল দেওয়ার ব্যাপারে সরকার খুব টেনশনে ছিল। তারা আশঙ্কা করছিল যে কারাদন্ডের রায় ঘোষণার পর এবং কারাগারে নিয়ে যাওয়ার সময় ঢাকা এবং সারা বাংলাদেশে জন বিক্ষোভ প্রলয়কান্ড সৃষ্টি করবে। কিন্তু এখন তারাতো টক শোতে প্রতিপক্ষ আলোচককে টিটকারি মেরে বলছেন যে, কই আপনারাতো খালেদা জিয়ার কারাদন্ড এবং জেলে যাওয়ার ব্যাপারে কিছুই করতে পারলেন না।
বিএনপি বছরের পর বছর ধরে দাবি করে আসছে যে, নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করতে হবে। আওয়ামী লীগ বলছে যে, সংবিধানে নির্বাচনকালীন সরকারের কোনো বিধান নাই। তখন বিএনপি বলে যে, সংবিধানে তো কেয়ার টেকার সরকারেরও কোনো বিধান ছিল না। কিন্তু আমরা দিয়েছি। তখন আওয়ামী লীগ বলে যে, আপনারা দেননি, আপনাদেরকে আমরা দিতে বাধ্য করেছি। তারা আরো স্পষ্ট ভাষায় বলে যে, হাসিনা সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে আপনারা বাধ্য হবেন। যদি সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে চান তাহলে আমাদেরকে অর্থাৎ আওয়ামী লীগ সরকারকে সংবিধান সংশোধন করতে বাধ্য করুন।
আরো অনেক কথা বলার আছে। কিন্তু একটি লেখায় এত কথা বলা সম্ভব নয়। বিগত ৩/৪ বছর হলো বিএনপি ভারত সম্পর্কে সম্পূর্ণ নীরবতা অবলম্বন করেছে। ট্রানজিট, করিডোর, তিস্তা এগুলো সম্পর্কে বিএনপির মুখে কোনো কথা নাই। বিএনপি যদি মনে করে যে, আওয়ামী লীগকে ভারত ১০০ ভাগ সমর্থন দিয়ে ক্ষমতায় আনছে, তাই তারাও যদি নীরব থেকে ভারতকে খুশি করতে পারে, তাহলে ভারত বিএনপিকেও ক্ষমতায় আনতে পারে। সম্ভবত সেই কারণে ইন্ডিয়ার ব্যাপারে বিএনপি স্পিকটি নট। এখানেই বিএনপি ইন্ডিয়াকে চিনতে ভুল করেছে। ইন্ডিয়ার সাথে, বিশেষ করে কংগ্রেসের সাথে, আওয়ামী লীগের সম্পর্ক সুমধুর, সেই পাকিস্তান আমল থেকে। সেজন্যেই ইন্ডিয়ার সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য এই সরকার সেভেন সিস্টার্সের আন্দোলনকে টুঁটি চেপে হত্যা করায় সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে। ইন্ডিয়ার সাথে আওয়ামী লীগের যে হরিহর আত্মার সম্পর্ক সেই সম্পর্ক বিএনপির সাথে ইন্ডিয়ার কোনো দিন গড়ে উঠবে না।
তবে হ্যাঁ, ইন্ডিয়াও বিএনপিকে পাত্তা দেবে, যদি বিএনিপ রাজপথে তার শক্তি দেখাতে পারে। জনগণকে সাথে নিয়ে আওয়ামী লীগের অপশাসন এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদ বিরোধী দুর্বার আন্দোলন করতে পারে তবে ভারতও বিএনপিকে গণনার মধ্যে নেবে, আর আওয়ামী লীগও সংলাপে বসবে। সেই সাথে বেগম খালেদা জিয়ার জামিন লাভ এবং অন্যান্য মামলার গতিপ্রকৃতি সোজা-সরল হবে।
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।