Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শালিখায় খাস জমিতে গুচ্ছগ্রাম

মাগুরা থেকে সাইদুর রহমান | প্রকাশের সময় : ২৩ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

মাগুরার শালিখায় ১একর ১০শতক খাস খতিয়ানের জমি দখলমুক্ত করে ভূমিহীন ২০টি পরিবারের পুনর্বাসন করা হচ্ছে। গুচ্ছগ্রাম দি¦তীয় পর্যায় প্রকল্পের আওতায় আড়পাড়া মৌজায় গুচ্ছ গ্রামের কাজ শুরু হয়। কিন্তু সেখানে মামলা সংক্রান্ত জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় পরবর্তীতে উক্ত গুচ্ছগ্রাম পার্শবর্তী পোড়াগাছি মৌজায় সরকারি খাস জমি অবৈধ দখল মুক্ত করে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। উল্লেখ্য সরকারি খাস খতিয়ানের ১একর ১০শতক জমি দীর্ঘ ৩০/৩৫ বছর যাবত সম্পূর্ন অবৈধ দখলে ছিলো। পরে মাগুরা জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশে উপজেলা প্রশাসন অবৈধ দখল মুক্ত করে ৩১ লক্ষ টাকা নির্ধারণ করে গুচ্ছ গ্রামের ২০টি ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এ সফল উদ্যোগ গ্রহনে পুড়াগাছি মৌজায় ভ‚মিহীন ও গৃহহীনদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার কাজ চলমান রয়েছে।গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের সার্বিক লক্ষ্য হলো ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে সরকারী খাস জমিতে পুনর্বাসন করানো। যে কারনে পুড়াগাছি খাসজমিতে ভূমিহীনদের পুনর্বাসনে গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। জমি ও বসত ঘর পেয়ে আনন্দিত সেখানকার ভ‚মিহীন ও গৃহহীন মানুষগুলো। চলতি বছরের ১৪ইূ ফেব্রæয়ারী পুড়াগাছি গুচ্ছগ্রাম নির্মাণকাজ শুরু করা হয়। ভূমি মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনায় (সিভিআরপি) প্রকল্পের আওতায় পুড়াগাছি গ্রামে গুচ্ছগ্রাম-দ্বিতীয় পর্যায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ইতো মধ্যে ইতোমধ্যে ২০টি ঘর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। গুচ্ছগ্রামের প্রতিটি ঘরের জন্য থাকছে একটি করে স্বাস্থ্য সম্মত শৌচাগারের পাশাপাশি সুপেয় পানির গভীর নলকুপ যা চলমান রয়েছে। এ ছাড়াও প্রতিটি পরিবারের জন্য থাকছে উন্নত চুলা, ফলদ ও বনজ ঔষধী গাছ। সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা হাসিয়ারা খাতুনের সাথে। তিনি বলেন নিজস্ব কোনো জায়গা ছিলোনা। পরিবার নিয়ে বাস করতেন পাড়া-প্রতিবেশীর জায়গায়। গুচ্ছগ্রামে একটি ঘর পেয়ে তিনি বেশ স্বস্তিতে। ইব্রাহিম মোল্যা ঘর-জমি কিছুই নেই। দিনমুজুরি করে দিন কাটান। তিনি বললেন, সরকারিভাবে আমাদের ঘর করে দেয়া হয়েছে। ঘর পেয়ে আমার পরিবার খুব খুশি। মাজেদা বেগম বললেন স্বামী সন্তান নিয়ে খুব কষ্ট করে থেকেছি মাথা গুজার ঠাই পেয়ে নিজেকে ভাগ্যবান মনে হচ্ছে। দিন মুজুর দুখু মিয়া অতি আবেগ জড়িত কন্ঠে বললেন ঠিকমত খাই আর না খাই গুচ্ছগ্রামের একটি ঘর পেয়েছি। পরিবার নিয়ে অনেকটা সুখেই আছি। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহি অফিসার সুমী মজুমদারের সাথে কথা বললে তিনি বলেন,পুড়াগাছি গুচ্ছগ্রামকে একটি আদর্শ গুচ্ছগ্রাম হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করা হবে। সেখানে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পুনর্বাসনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ছিন্নমূল মানুষের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে এ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এই প্রকল্পের সদস্য সচিব সহকারি কমিশনার(ভূমি)শেখ সামসুল আরেফীনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, গুচ্ছগ্রামের কাজটি চলমান রয়েছে। এব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মিরাজ হোসেন খান বলেন গুচ্ছগ্রামের কাজ ভালো ভাবে চলছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য ও মাটির কাজের প্রকল্প সভাপতি মোঃ রাকিবুল ইসলাম জানান, গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের ঘর পেয়ে ভূমিহীন ও গৃহহীনরা খুবই খুশি। এলাকাবাসী গৃহহীন ও ভূমিহীনদের স্থায়ী আবাসের ব্যবস্থা করায় উপজেলা ওজেলা প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খাস জমি

২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ