বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাজশাহীর তানোরে আবদুল জলিল নামের এক গ্রামপুলিশের (চৌকিদার) বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধি ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার আড়াদিঘি গ্রামের এ ঘটনাটি ঘটেছে। আবদুল মজিদ তালন্দ ইউনিয়নের ৬নং ওয়াডের্র গ্রামপুলিশের দায়িতে নিয়োজিত্ব আছে। তিনি আড়াদিঘি গ্রামের রিয়াজুল ইসলামের ছেলে। এ নিয়ে গতকাল শনিবার সকালে ওই প্রতিবন্ধি ছাত্রের মা সেলিনা আক্তার বাদি হয়ে তানোর থানায় অভিযোগ করেছেন। বর্তমানে শারিরিক প্রতিবন্ধি সেলিম রেজা (১৫) তানোর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। সে চাপড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র। অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানায়, উপজেলার তালন্দ ইউনিয়নের ওসিমদ্দিনের ছেলে সেলিম রেজার প্রতিবন্ধির কার্ড করে দেবার নাম করে একই গ্রামের রিয়াজুল ইসলামের ছেলে গ্রামপুলিশ আবদুল জলিল নিতশত টাকা নেয়। অথচ টাকা নেয়া প্রায় একবছর অতিবাহিত হলেও প্রতিবন্ধির কার্ড করে দিতে পারেনি আবদুল জলিল। ফলে সেলিম রেজা গত কয়েকদিন ধরে তার কাছে তিনশত টাকা ফেরৎ চাই। কিন্তু টাকা ফেরৎ না দিয়ে সময়ক্ষেপন করে আসছিলো তিনি।
এমন্তঅবস্থায় গত শুক্রবার সন্ধ্যায় আড়াদিঘি গ্রামের মোড়ের উপর জলিলকে দেখে টাকা চাই প্রতিবন্ধি সেলিম রেজা। এসময় গ্রামপুলিশ আবদুল জলিল ওই শারিরিক প্রতিবন্ধি ছাত্রকে কিসের টাকা পাবি বলে তার হাতে থাকা পুলিশি লাঠি দিয়ে বেধড় মারপিট করে মাথা ফাঠিয়ে রক্ত্যক্ত জখম করে। জখম অবস্থায় শারিরিক প্রতিবন্ধি সেলিম রেজা মাটিতে পড়ে চিৎকার করলে এলাকাবাসিরা এগিয়ে আসে তাকে উদ্ধার করে। পরে সেলিমকে একটি অটোচার্জার ভ্যানযোগে তানোর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে এসে ভর্তি হরা হয়। বর্তমানে সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। তিনি চাপড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর মানবিক বিভাগের ছাত্র বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উক্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষক জিল্লুর রহমান।
এ ব্যাপরে আবদুল জলিল জানান, বিষয়টি মিমাংসা করার প্রক্রিয়া চলছে। সে হাসপাতাল হতে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্যলেই গ্রামে বসা হবে। ইতিমধ্যে তার শারিরিক চিকিৎসার জন্য তার পরিবারকে কিছু নগত টাকা দেয়া হয়েছে। সংবাদ না করলে ভালো হয়। এ বলে প্রতিবেদককে আর্থিক অর্থ দিতে চান তিনি। এ নিয়ে সেলিম রেজার মা সেলিনা আক্তার জানান, প্রতিবন্ধি ভাতা কার্ড করে দেয়ার নাম করে জলিল তিনশত টাকা নেয়। প্রায় একবছর আগে। অথচ সে কার্ড করে না দিয়ে টাকা আত্নসাত করেছে। আর সেই টাকা ফেরৎ চাওয়ার কারণে আমার প্রতিবন্ধি ছেলেকে মেরে রক্ত্যক্ত জখম করেছে জলিল। এর সঠিক বিচার চাই বলে জানান এ নারী। এ ব্যাপারে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল ইসলাম জানান, আমি দুদিনের ছুটিতে বাড়িতে ছিলাম। বিষয়টি আমার জানা নেই। খোজখবর নিয়ে দেখে অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্তকরে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।