Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ বাড়ছে

প্রকাশের সময় : ২১ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

২০১৫ সালে সদর দফতরে আট হাজার পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা এক বছরে ৯ হাজার ৯৫৮ জনকে বিভাগীয় শাস্তি চাকরি থেকে বহিষ্কার ৭৪ জন
উমর ফারুক আলহাদী : অন্তহীন অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। অভিযোগের পর তদন্ত কমিটি হয়, তদন্ত হয়। কিন্তু অধিকাংশ তদন্ত প্রতিবেদনই থেকে যায় আড়ালে। শাস্তিও হয় না তেমন একটা। প্রত্যাহার, সাময়িক বরখাস্ত, বদলি এর মধ্যেই আটকে থাকে। একশ্রেণীর অসাধু পুলিশ সদস্যের নানা অপকর্ম, অনিয়ম ও অপরাধের কারণে সরকারি এ সংস্থাটি এখন নানা প্রশ্নের মুখে। পুলিশের অপরাধ প্রমাণের পরে মাঝেমধ্যে শাস্তি হলেও থেমে নেই পুলিশের অপরাধমূলক কর্মকা-। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় প্রতিদিনই চাঁদাবাজি, ধর্ষণ, মাদক ব্যবসা, অপহরণ, খুন, ছিনতাই, নির্যাতন, আটক করে ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়, মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়াসহ প্রচুর অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এ অভিযোগের মাত্রা বেড়েই চলেছে। কিছু কিছু অভিযোগ পুলিশের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নজরে আসলে অনেক ঘটনাই থেকে যায় লোকচক্ষুর আড়ালে। রাজনৈতিক তদবিরে বদলি এবং পদোন্নতির কারণে অনেক পুলিশ সদস্যই তাদের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পর্যন্ত পাত্তা দিচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগকারীরা বলছেন, পুলিশ এখন বেপরোয়া।
ব্যাংক কর্মকর্তা ও সিটি করপোরেশনের এক কর্মকর্তাকে নির্যতনের দায়ে মোহাম্মদপুর ও যাত্রাবাড়ী থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার ৩ দিনের মাথায় এবার ধর্ষণের অভিয়োগে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জসহ ৫ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার জন্য অভিযোগ হয়েছে। গতকাল ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অবনী শংকরসহ পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঢাকার একটি আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এক নারী বাদী হয়ে বুধবার ঢাকার ২ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে যাত্রাবাড়ী থানার ওসি অবনী শংকর, এসআই জসিম, এসআই জামান, কনস্টেবল দেবাশীষ ও মুগদা থানার এসআই আবদুল কাদেরকে।
বাদীর আইনজীবী শহীদুল হক বলেন, ট্রাইব্যুনালের বিচারক শফিউল আজম বাদীর আংশিক জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার বাকি জবানবন্দি গ্রহণ করে মামলা গ্রহণের বিষয়ে আদেশ দেবেন আদালত।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গতকাল সন্ধ্যা ওসি অবনী শংকর কর ইনকিলাবকে বলেন, আমি বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের স্ক্রলে দেখেছি, এ ব্যাপারে কিছুই জানি না। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ভাই এটা কেমন সাংবাদিকতা। আমার স্ত্রী ও মেয়ারা এটা দেখছে। এখন যদি আমার স্ত্রী আত্মহত্যা করে তাহলে এর দায় দায়িত্ব কে নেবে। তিনি আরো বলেন, আমার বিরুদ্ধে কে বা কারা কেন মামলা করেছে তা জানি না।
এদিকে রাজধানীর পল্টনে শিকড় পরিবহনে আইয়ুব নামে ব্যাংক এশিয়ার এক কর্মচারীকে মারধর করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে সচিবালয়ের পেছনে মেহেরবা প্লাাজার সামনে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, এ ঘটনার পর অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল মাহবুবকে গাড়িতেই আটকে রাখে গাড়ির যাত্রীসহ পথচারীরা। পরে পুলিশের এসআই হারুন উপস্থিত হলে পরিস্থিতি আরো বেসামাল হয়ে পড়ে। এসময় গাড়িটির সামনের গ্লাস ভাঙচুর করে পথচারীরা। এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলে ব্যাংকের কর্মকর্তারা এলে বিষয়টির সুরাহা হয়। তবে পুলিশ গাড়িটি থানা নিয়েছে।
এদিকে ৯ জানুয়ারি রাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের কর্মকর্তা গোলাম রাব্বী টহল পুলিশের নির্যাতনের শিকার হন। রাব্বী অভিযোগ করেন, মোহাম্মদপুর থানার এসআই মাসুদ শিকদারসহ পুলিশ ও আনসারের পাঁচ সদস্য তাকে আটকের পর ৫ লাখ টাকা দাবি করে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন।
এর ৫ দিন পর ১৫ জানুয়ারি ভোরে রাজধানীর মীর হাজীরবাগে কর্তব্যরত অবস্থায় সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে আহত করে পুলিশ। যাত্রাবাড়ী থানার এসআই আরশাদ হোসেন আকাশের নেতৃত্বে ৫ থেকে ৬ জন পুলিশ বিকাশকে ছিনতাইকারী আখ্যা দিয়ে মারধর করে বলে অভিযোগ করেন বিকাশ চন্দ্র দাস। পুলিশের প্রহারে আহত এ দু’জন বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।একই দিন গভীর রাতে কমলাপুর রেল স্টেশনে ওভারব্রিজের ওপর এক হিজড়াকে যৌন হয়রানি ও মারধর করার অভিযোগ ওঠে। কমলাপুর রেল পুলিশের কয়েক সদস্যের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনেন হান্নান ওরফে টোকাই হান্নান নামে এক হিজড়া। এ সময় তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় বলেও তিনি অভিযোগ করেন। এমনকি এ ব্যাপারে অভিযোগ করতে গেলে কমলাপুর জিআর পুলিশ তাকে গলাধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দেয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তবে রেলওয়ে থানা পুলিশ প্রথম থেকেই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
গত বছরে সিলেটে শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যার ঘটনায় জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেনকে প্রত্যাহার এবং উপ পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম ও জাকির হোসেনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। তদন্তে পুলিশের গাফিলতির প্রমাণ মিলেছে বলে জানা যায়। সর্বশেষ সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাকে নির্যাতন করা অভিযোগে যাত্রাবাড়ী থানার এসআই আরশাদ হোসেন আকাশকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা গোলাম রাব্বীকে মারধর, হত্যার হুমকি ও চাঁদার দাবিতে মোহাম্মদপুর থানার এসআই মাসুদ শিকদারকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, ২০১৫ সালে বিভিন্ন অপরাধে ৯ হাজার ৯৫৮ পুলিশকে বিভাগীয় শাস্তি দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ৭৬ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধে থানা এবং আদালতে মামলা হয়েছে। এদের মধ্যে কনস্টেবল থেকে সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ৭০ জন, উপপরিদর্শক (এসআই) ৪ জন এবং পরিদর্শক ২ জন। যাদের আদালতে বিচার চলছে। তাদের চাকরিচ্যুত হয়েছে। বাকিদের বিভিন্ন অপরাধে বিভাগীয় দন্ড দেয়া হয়েছে। কেউ লঘু দন্ডে, কেউ কেউ গুরুদন্ডে দন্ডিত হয়েছেন। তবে পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলেও সাধারণত তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না এমন অভিযোগও পাওয়া গেছে।
এদিকে গত শনিবার বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার শিহিপাশা গ্রামে পুলিশের বেধড়ক পিটুনিতে গুরুতর আহত হন ব্যবসায়ী বাদল সেরনিয়াবাত। রাস্তার পাশে গাছ ফেলে রাখার অপরাধে আগৈলঝাড়া থানার ওসি মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ ওই ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে আহত করে। ওই ব্যবসায়ীও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনা জানাজানি হলে জেলা পুলিশ সুপার আক্তারুজ্জামান ওসির গাড়িচালক কনস্টেবল মোকলেসুর রহমানকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাহারের (ক্লোজড) নির্দেশ দেন। তবে বহাল তবিয়তে রয়েছেন ওসি মনিরুল ইসলাম।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, পুলিশের কোনও সদস্য কিংবা কর্মকর্তা ফৌজদারি অপরাধ করলে তাকে বাহিনী থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। মামলা দায়ের করে বিচারে সাজা নিশ্চিত করা হয়। ফৌজদারি অপরাধের বাইরে বাহিনীর নিয়ম-শৃঙ্খলা ভঙ্গ করাসহ বিভিন্ন অনিয়মের কারণে বিভাগীয় মামলা দায়ের করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নেয়া হয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা।
পুলিশ সদর দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১০ থেকে ২০১৪ সাল এই ৫ বছরে কনস্টেবল থেকে এসআই পদে ৬৩ হাজার ৩৪৯ জনকে লঘুদন্ড, তিন হাজার ৫৯০ জনকে গুরুদন্ড, ৪৬১ জনকে বরখাস্ত বা চাকরিচ্যুত ও ১২৩ জনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। সব মিলিয়ে ৬৭ হাজার ৫২৩ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। একই সময়ে ২৩৪ জন পুলিশ পরিদর্শকের (ইন্সপেক্টর) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এদের মধ্যে ২০৭ জনকে লঘুদন্ড ও ২৭ জনকে গুরুদন্ড দেওয়া হয়েছে। এএসপি থেকে এর ওপরের কর্মকর্তা পর্যায়ে ৪৭ জনকে লঘুদন্ড, ১২ জনকে গুরুদন্ড, একজনকে বরখাস্ত ও পরে চাকরিচ্যুত ও তিন জনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
সূত্র জানায়, পুলিশ সদর দফতরের হিসেবে ২০১০ সালে কনস্টেবল থেকে এসআই পদ মর্যাদার ১১ হাজার ৩৩ জনকে লঘুদন্ড, ৫৩৮ জনকে গুরুদন্ড, ৪৯ জনকে চাকরিচ্যুত ও ৬৪ জনকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়। ২০১১ সালে ১২ হাজার ৯৭২ জনকে লঘুদন্ড, ৬১২ জনকে গুরুদন্ড, ৯০ জনকে চাকরিচ্যুত ও ৩৭ জনকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়। ২০১২ সালে ১১ হাজার ৭৭০ জনকে লঘুদন্ড, ৯২১ জনকে গুরুদন্ড, ১৭৪ জনকে চাকরিচ্যুত ও ১৪ জনকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে। ২০১৩ সালে ১৩ হাজার ১৭৪ জনকে লঘুদন্ড, ৭৫৭ জনকে গুরুদন্ড, ৭৫ জনকে চাকরিচ্যুত ও একজনকে বাধ্যতামূলক অবসর এবং ২০১৪ সালে ১৪ হাজার ৪০০ জনকে লঘুদন্ড, ৭৬২ জনকে গুরুদন্ড, ৭৩ জনকে চাকরিচ্যুত ও সাতজনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
অপরদিকে ২০১০ সালে পুলিশ পরিদর্শক পদে ৩৪ জনকে লঘুদন্ড ও ১০ জনকে গুরুদন্ড, ২০১১ সালে ৩৭ জনকে লঘুদন্ড ও আটজনকে গুরুদন্ড, ২০১২ সালে ৪৫ জনকে লঘুদন্ড ও একজনকে গুরুদন্ড, ২০১৩ সালে ৩৬ জনকে লঘুদন্ড ও তিনজনকে গুরুদন্ড এবং ২০১৪ সালে ৫৫ জনকে লঘুদন্ড ও পাঁচজনকে গুরুদন্ড দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে পাঁচ বছরে এএসপি থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পদে ৪৭ জনকে লঘুদন্ড, ১২ জনকে গুরুদন্ড, একজনকে চাকরিচ্যুত এবং তিনজনকে বাধ্যতামূলক অবসর দেয়া হয়।
অপরাধে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ফৌজদারিসহ বিভাগীয় মামলায় বিচারে সাজা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু অপরাধে জড়ানোর হার কমছে না। মাঠ পর্যায়ে কতিপয় পুলিশ সদস্য ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ধর্ষণের মতো অপরাধ করছে। তাছাড়া অপরাধী গ্রেফতারে সোর্স হিসেবে যাদের রাখা হয় তাদেরকে ব্যবহার করে পুলিশ সদস্য অপরাধ ঘটাচ্ছে।
পুলিশ সদর দফতর সূত্র আরো জানায়, ২০১৫ সালে সদর দফতরের সিকিউরিটি সেলে ৭ হাজার ৯১৬ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ জমা পড়ে। এর মধ্যে গুরুতর অভিযোগ এসেছে ৪ হাজার ৭৮৮ জনের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে হত্যা, ধর্ষণ কিংবা মাদক ব্যবসার মতো অভিযোগও রয়েছে। বাকি ৩ হাজার ৯১২ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে টাকা না পেয়ে নির্যাতন, বিভিন্ন মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়া, সাধারণ মানুষকে হয়রানিসহ বিভিন্ন অসদাচরণের।
গত বছর অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে ঘটনাস্থলেই হাতেনাতে ৩২ পুলিশ সদস্য ধরা পড়েছেন বলে সদর দফতর সূত্র জানায়। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে ১ হাজার ৩৪ জনের বিরুদ্ধে। গুরুতর অভিযোগে গত বছর মোট ৭৪ জনকে চাকরিচ্যুত ও বাধ্যতামূলক অবসর দেয়া হয়েছে, যার মধ্যে কনস্টেবল ও এএসআই পর্যায়ের সদস্য বেশি। এছাড়া বিভিন্ন অভিযোগে লঘুদন্ড দেয়া হয়েছে ৯৬০ পুলিশ সদস্যকে। এর মধ্যে অনেকের নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য বেতন স্কেলে দক্ষতাসীমা অতিক্রম বন্ধ, বেতন স্কেল নি¤œধাপে অবনমিতকরণ এবং কর্তব্যে অবহেলায় সরকারের আর্থিক ক্ষতির সম্পূর্ণ বা অংশবিশেষ বেতন হতে আদায় করা হচ্ছে।



 

Show all comments
  • নুর আলম জমদ্দার ২০ জুলাই, ২০১৭, ৯:১৮ পিএম says : 0
    আমি এক জন ফেনী জেলার বাসিন্দা। আমার জায়গা নিয়ে জায়গার মুল মালিক ছেরু মিয়া তার মৃতুর পরে তার কোন ওয়ারিশ না থাকায় তার এক মাত্র মামাতো বোন মালিক হয়। আমার জায়গা আমার প্রতিপক্ষ বলে তারা নাকি ক্রয় করেছে। কিন্তু তারা কোন প্রমান দিতে পারে নাই।কিন্তু তারা পুলিশ দিয়ে এস আই আজিজ আহাম্মদ সে আমাকে কোন নোটিশ ছাড়া হয়রানি করতেছে।আমার প্রতিপক্ষ থেকে টাকা নিয়ে। তার জন্য আমি সবাইর সহযোগিতা চাই।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ বাড়ছে
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ