নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
খাজা রহমত উল্লাহ ক্লাব কাপ হকির ফাইনালে জায়গা করে নিল ঢাকা আবাহনী লিমিটেড ও মেরিনার ইয়াংস ক্লাব। গতকাল বিকালে মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনালে মালয়েশিয়ান ইজওয়ান ফেরদৌসের হ্যাটট্রিককে আবাহনী ১১-১ গোলে বিধ্বস্ত করে ভিক্টোরিয়াকে। ইজওয়ান হ্যাটট্রিকসহ চার গোল করেন। একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ঢাকা মেরিনার ইয়াংস ক্লাব ৩-০ গোলে সোনালী ব্যাংক কে হারিয়ে ফাইনালে আবাহনীর সঙ্গি হয়। আজ সন্ধ্যা ছয়টায় শিরোপা নির্ধারনী ম্যাচে আবাহনী-মেরিনার মুখোমুখি হবে।
ঘরোয়া হকিতে মৌসুমের প্রথম আসর ক্লাব কাপের প্রথম সেমিফাইনালটি শুরু হবার কথা ছিলো বিকাল পাঁচটায়। কিন্তু ভারী বর্ষণের কারণে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ৪০ মিনিট পর শুরু হয় খেলা। ম্যাচে আবাহনীর সামনে দাঁড়াতেই পারেনি ভিক্টোরিয়া। তাদেরকে নিয়ে অনেকটা ছেলেখেলা করেছে বিজয়ীরা। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাতœ হকি উপহার দেয় আবাহনী। ফলে মাত্র দু’মিনিটের মাথায় প্রথম পেনাল্টি কর্ণার (পিসি) থেকে আশরাফুল ইসলাম গোল করে আবাহনীকে এগিয়ে দেন। মালয়েশিয়ান ইজওয়ান ফেরদৌসের পুশ আজোয়ার বিন রহমানের কানেক্টে বল পোস্টে ঠেলে দেন আশরাফুল (১-০)। মিনিট দুয়েক পর ব্যবধান দ্বিগুণ করে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ইজওয়ানের ফিল্ড গোল করেন (২-০। ম্যাচের ১০ মিনিটে আবাহনীর পক্ষে তৃতীয় গোলটি করেন সেই ইজওয়ান (৩-০)। ২০ মিনিটে পোস্টের খুব কাছে বল পেয়ে দর্শনীয় রিভার্স হিটে লক্ষ্যভেদ করে ব্যবধান আরো বড় করেন মহসিন (৪-০)। ২৩ মিনিটে মহসিন নিজের দ্বিতীয় ও দলের পক্ষে পঞ্চম গোলটি করেন। এ সময় সতীর্থের পাসে বল পেয়ে শুয়ে পড়ে রিভার্স হিটে বল পোস্টে ফেলেন এই ফরোয়ার্ড (৫-০)। ২৪ মিনিটে মালয়েশিয়ান ফরোয়ার্ড আজোয়ার বিন রহমানের গোলে ৬-০ তে এগিয়ে যায় আবাহনী। রীতিমতো কোনঠাসা ভিক্টোরিয়া ম্যাচের প্রথমার্ধে এক গোলও শোধ দিতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণের ধারাবাহিকতায় ছিল আকাশী-হলুদরা। তবে ম্যাচে ফিরতে মরিয়া ভিক্টোরিয়াও আক্রমণের চেষ্টা চালায়। যে কারণে দ্বিতীয়ার্ধে গোল পেতে কিছুটা বেগ পায় টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ৪০ মিনিটে আরশাদ হোসেন পোস্টের কাছে বল পেয়ে হিট করলেও প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক বল আটকে দেন। ম্যাচের ৪৭ মিনিটে পিসি থেকে সোহানুর রহমান সবুজের গোলে আবারো উল্লাসে মাতে আবাহনী শিবির (৭-০)। দু’মিনিট পর দারুণ এক গোল উপহার দেন ইজওয়ান। তার জোড়ালো হিটে উড়ন্ত বল পোস্টে লেগে বাক খেয়ে বোর্ডে আছড়ে পড়ে (৮-০)। ৫০ মিনিটে সার্কেলের ভেতর থেকে আবারো হিট করেন ইজওয়ান। বল অল্পের জন্য লক্ষ্যে পৌছায়নি। ৫৩ মিনিটে জটলা থেকে সামান্য উচু হিটে আবাহনীকে আরো এক গোল উপহার দিয়ে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন ইজওয়ান (৯-০)। ম্যাচে এটি তার চতুর্থ গোল। ৬২ মিনিটে ম্যাচের ধারার বিপরীতে এক গোল শোধ দেয় ভিক্টোরিয়া (১-৯)। পোস্টের কাছ থেকে রাকিব দর্শণীয় গোল করলেও পরে আরো দু’গোল হজম করতে হয় তার দলকে। ৬৩ মিনিটে দশম গোল আদায় করে নেয় আবাহনী। আবারো পিসি থেকে আশরাফুলের হিটে গোল পায় বিজয়ীরা (১০-১)। ৬৪ মিনিটে ইজওয়ানের পাস থেকে মহসিন গোল করলে বিধ্বস্ত হয় ভিক্টোরিয়া (১১-১)। শেষ পর্যন্ত তাদেরকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে ফাইনালে নাম খেলায় আবাহনী।
অন্য সেমিফাইনালে মেরিনারের সামনে পাত্তা পায়নি সোনালী ব্যাংকও।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।